একটি কিশোরী বেঁচে থাকা

।। পৌলমী গুহ ।।

একটি কিশোরী বেঁচে থাকা
আজীবন তাড়া করে ফেরে তবু,
নাগালে আসে না।

বাল্মিকী ও চাঁদ

কন্ঠনালীতে বেঁধে থাকে ধুতরার বীজ।
সংজ্ঞাহীন চাঁদ

একাকী প্রশ্নচিহ্নের মতো ঝুলে থাকে,
ত্রিভঙ্গ মুরারী। জিভে আছে,
কবেকার তেতো সব অ-সুখ।

একটি কিশোরী বেঁচে থাকা
আজীবন তাড়া করে ফেরে তবু,
নাগালে আসে না।

ভাষাহীন ক্ষোভ

পায়ে দলে দলে থেঁতো হয়ে যায়
পুরানো বেদনা যত।

একটি নাবিকসম দুপুরকে নুন-লঙ্কার
বশবর্তী করে আলগোছে চিবোই।

চিবোই আর কষ বেয়ে ঝরে
মায়ের অশ্রুর মতো সুস্বাদু গোপনতা।

অমিল

রক্তের ভেতর জারিত হয় বিষাক্ত ক্ষুধা,
নখে, দাঁতে, বুকে লালন করি।
ক্ষুধা হাঁটায় অনন্ত রেললাইন ধরে
অথচ তা সন্ধ্যাভাষার মতো অবোধ্য।

আর হাঁটার খবর পাক দিয়ে ওড়ে বাতাসে,
যে ক্ষুধা শৈশবের ন্যায় অবধ্য।

প্রচ্ছদের ছবি: কবির নিজের

পৌলমী গুহ

নিবাস পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার। ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। বর্তমানে কোনো পেশায় যুক্ত নেই। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, ‘শিশির শিকারের পর’।

Share