কোকাকোলা

।। জেসমিন নাহার ।।

ওরে তুরা কে কুথায় আচিস, আমার ছেলে বিষ খেয়ে ফেলেচে। আমার ছেলের মুক দে শুদু বিষ বের হচ্চে। ওরে আল্লা এ আমার মাসুম বাচ্চা রে, আমার কী হলে রে, একন কী করবো রে, আমি কনে যাবো!

কোকাকোলা

ইব্রাহিমের সাড়ে তিন বছরের ছেলে রিয়াদ। বয়সের তুলনায় সে বেশ পাকা। তার ওই পাকা পাকা কথা, আর মিষ্টি চেহারার জন্য পাড়ার সকলে অন্য শিশুদের তুলনায় তাকে কয়েক আনা বেশি ভালোবাসে।

ইব্রাহিমের সেজো চাচা রমজান, তিন বোতল বিষ এনেছে। আর সেটা এনেছে কোকাকোলার বোতলে। দু’বোতল ধানে ছিটানোর জন্য কীটনাশক। এর একটা ইংরেজি সাহেবি নাম আছে ‘স্কোর’। আর এক বোতল ঘাস পোড়াবার জন্য আগাছানাশক। তামাশা শোনালেও ঘাস পোড়া বিষের নাম ‘নিড়ানি’। আগে ক্ষেত থেকে ঘাস বা আগাছা চাষি নিজেরাই তুলত, কিম্বা কামলা খাটাত। এখন কৃষক অলস, আর কামলা খাটালে খরচ হয়। কিন্তু কৃষক কোম্পানিকে টাকা দিতে রাজি, প্রতিবেশী কৃষককে কামলা খাটিয়ে হাতে দুইটা পয়সা ধরিয়ে দিতে রাজি না।

– এ রাশেদা, দ্যাখ্‌। তিন বতল বিষ আনচি, ঘরে তুলে ফ্যাল তাড়াতাড়ি, পশুপাখি ফেলে দিলি বা খেয়ে নিলি বিপদ হবে নে ।

রাশেদা ধানে ব্যবহারের বিষ ভর্তি কোকাকোলার বোতল দুটো ঘরে তোলে, আর ঘাস মারা কোকাকোলার বোতলে আনা আগাছানাশক বিষ একটা গোলার নিচে রেখে দেয়।

– গোলার নিচে রাখলাম ঘাস মারাটা। যখন স্প্রে করবা এখেন্তে নিও।
– আচ্ছা, ভাত দে তাড়াতাড়ি, খেয়ে মাঠে একপাক ঘুরতি যাতি হবে।
– দিই।

রমজানের দু-কামরা ঘর। ঘরের সামনে উঠান। উঠানের একপাশে রান্নাঘর। রান্নাঘরের বারান্দায় বসে তারা খাচ্ছে। রিয়াদ এরকম সময় তার বাড়িতে উপস্থিত হয়। গোলার নিচে তিন বছর বয়েসি শিশুর কৌতুহলী চোখ আটকে যায়। কোকাকোলা। কোকের নতুন বোতল হাতে নিয়ে জিজ্ঞাসা করে,

– সেজ দাদি কি এইডা? কোক!

রাশেদা শিশুর কৌতুহলের গুরুত্ব ধরতে পারে না। খেতে বসেছে তারা। রসিকতা করে,
– হ্যাই কোক, খাবি?
– খাবো। খাই?
– তুই একা খাবি ক্যান, দাঁড়া আমাদেরও খাওয়া হোক, সবাই একসাথে খাবানে।

ততক্ষণে রিয়াদের চোখ কোকের স্বাদ জিহ্বায় অনুমান করে চক চক করে। শিশু তার সেজো দাদা দাদির জন্য অপেক্ষা করা যুক্তিসঙ্গত মনে করে না। তাদের সামনে দশ বিশহাত দূরে দাঁড়িয়ে কচি হাতে পরম অমৃত কোকের বোতল মোটামুটি আশ্চর্যজনক স্বল্প সময়ে খুলতে সক্ষম হয়। বোতল কচি নরম হাত টের পেয়েও আপত্তি করে না। এই সুবিধাজনক শৈশবের সুযোগের পূর্ণ ব্যবহার রিয়াদ করতে সক্ষম হয়। ঘাস পোড়া বিষ কয়েক ঢোঁকে খেয়ে নেয়। সেটা ঘটে রমজানের বউয়ের নিরীক্ষণের মধ্যে কিছু বুঝে ওঠার আগেই। রমজানের বউয়ের আত্মা কেঁপে ওঠে। লাফ দিয়ে তাড়াতাড়ি কাছে যায়।

– এ যে বিষ। তুই সত্যিই খেয়ে নিলি।
ততক্ষণে যথেষ্ট দেরি হয়ে গিয়েছে।

কচি কন্ঠে থতমত আওয়াজ ওঠে,
– সেজ দাদি, মুক জ্বলচে।

ভীতসন্ত্রস্ত রাশেদা কি করবে বুঝতে পারে না। তার রসিকতা তাকে এখন অসাড় করে দিচ্ছে। কিন্তু বুঝতে পারে এখন তার কোকাকোলার বোতলে বিষ ঠিক ভাবে লুকিয়ে না রাখা এবং শিশুর সঙ্গে রসিকতা আড়াল করবার সময়।

– চুপ কর পাগল, মুখ ধোয়ায়ে দিচ্চি কিচ্চু হবে না।

রাশেদার কন্ঠ ক্ষীণ, তদুপরি চাপা কিম্বা অস্ফুট। মুখে এক খাঁ খাঁ দুপুরের উৎকন্ঠা। শিশু শুনতে পাওয়ার অধিক আওয়াজ বের করা এই মুহূর্তে রাশেদা সমীচীন মনে করে না।

কেউ টের পাবে ভেবে রাশেদা কোনওপ্রকার আহাজারিও করে না। কোনও হইচই নাই। দ্রুত শিশু রিয়াদের গাল ধোয়ায়ে তাকে বাড়িতে মায়ের কাছে পাঠায়ে দেয়।

রমজান গালি দেয় রাশেদাকে।

– ধুমড়ি মাগি, তুই কোক বললি ক্যান। বাচ্চা মারা গেলি কি হবেনে?
– চুপ করো, কিচ্চু হবেন না। বেশি খায়নি।

রিয়াদ দৌড়ে বাড়িতে ফিরে দেখে তার মা উঠান ঝাড় দিচ্ছে। রিয়াদ মায়ের ঝাঁটার মাথায় মাথায় ঘোরে, আর বলে,

– মা, সেজো দাদি আমারে বিষ খাইয়ে দিয়েচে , আমার মুক জ্বলচে । মুক জ্বলে ছাই হয়ে গ্যালো।

ইব্রাহিমের বউ বীথি তিন বছরের পাকা ছেলের কথা শুনে হাসে ,আর উঠান ঝাড় দেয়। আর ছেলে মায়ের ঝাঁটার সাথে ঘোরে,

– ওমা দ্যাখ, সেজো দাদি আমার বিষ খাইয়ে দিয়েচে, ওমা তুই বিশ্বাস করছিনে ক্যান! আমার খুপ গাল জ্বলচে, আমার গালে দ্যাক বিষ ছেন কচ্চে, সেজো দাদি আমার বিষ খাইয়ে দিয়েচে।

বীথির হঠাৎ কী হয়, সে ছেলে কোলে নেয় না, উঠানে ঝাঁটা ফেলে, ছেলেকে উঠানে রেখেই তার সেজো শাশুড়ির বাড়িতে গিয়ে তেমনি হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করে,
– সেজে মা, তুমি নাকি আমার ছেলের বিষ খাইয়েচো, আমার ছেলে উঠান ঝাইড় দিতি দেচ্চে না আমার, হাপুরাই এক কতা বলে যাচ্চে।

রাশেদা ঘরের মধ্যে থেকে বের হয় না, একটা কথাও বলে না, রমজান বাইরে বসেছিল। সে উত্তর দেয়।

– খায় নি ও, একটুখানি মুকে লাগাইলো, আমরা মুক ধুইয়ে দিইচি।

এই কথা শুনে আশ্বস্ত হয়ে বীথি রাস্তা ধরে বাড়ি ফিরে তার উঠানে পা দেয়া মাত্র দেখে তার ছেলে বমি করছে। বমির রং ঘাসের মতো সবুজ। তাই দেখে বীথি ছেলে কোলে টেনে নিয়ে চিৎকার করে কান্না শুরু করে,
– ওরে তুরা কে কুথায় আচিস, আমার ছেলে বিষ খেয়ে ফেলেচে। আমার ছেলের মুক দে শুদু বিষ বের হচ্চে। ওরে আল্লা এ আমার মাসুম বাচ্চা রে, আমার কী হলে রে, একন কী করবো রে, আমি কনে যাবো!

বীথির চিৎকার শুনে তাদের বাড়ির এবং তাদের পাশের বাড়ির সকলে তার বাড়ি জড়ো হয়, রমজানও দৌড়ে ইব্রাহিমের বাড়ি যায়,গিয়ে দেখে রিয়াদ বমি করছে। রমজান কে দেখে রিয়াদ জিজ্ঞাসা করে,

– সেজ দাদা, সেজ দাদি খাতি বললে না, বল? বললে বলেই তো, কোক খালাম, কিন্তু পরে বললে, বিষ। এখন পেট জ্বলচে মা। ও মা বিষ খাইছি কোক মনে করে।

বমি করে আর কথা বলে। বীথি কাঁদে,
– আমার সোনার টুকরো ছেলে,ওরে একি হলে রে।

পাড়ার মানুষ থমকে যায়। শিশু খেয়ে ফেলেছে বিষ! তারা হঠাৎ একযোগে কথা বলতে শুরু করে –
– ওরে ভ্যান ডাক, ওয়াস করাতি হবে।

রমজান তাড়াতাড়ি বীথিকে ভ্যানের ব্যবস্থা করে করে দেয়। ইব্রাহিম এবং তার বাবা বাজারে তাদের দোকানে কাজ করছে। তাদের ফোন করে জানিয়ে দেয়।

পাড়ার মানুষ ছিঃ ছ্যাঃ করে।
– শিশুর সঙ্গে বিষ নিয়ে ইয়ার্কি করে বুড়ো মাগি আর মিনশে! শিশুর সঙ্গে ইয়ার্কি সাজে!

রমজান পড়শিদের কথা কানে তোলে না। রিয়াদের বমি সব দুই হাতে তুলে তার বউ রাশেদার কাছে নিয়ে যায়, চিৎকার করে,
– এই মাগি, তোর স্যাটার কাঠ ভেঙে দোব, আমি বললাম রিয়াদ কী ঘাস পুড়া বিষ খেয়ে ফেলেচে, তুই বললি না খায়নি, এ মাগি তালি রিয়াদ এই বিষ বমি কীভাবে কল্লে, বল মাগি, উত্তর দে? মিছে কথা দিলি ক্যান?

রাশেদা গ্যা গ্যা করে। জবাব দেয়,
– তোমার সামনেও তো গেললে। কিছু বলতি পারো নি তখন। যে বাছা ও বিষ। এখন দোষ শুধু আমার।
– ওরে মাগি আমার বিষ আনাই কাল হলে একন।
– না বকে, চুপ থাকো। আমাদের কোনও দোষ না। কিচ্চু হবে না।

রিয়াদকে গোড়পাড়া বাজারে নেয়া হয়। ইব্রাহিম ছেলেকে জড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। আইয়ুব নীরব। রিয়াদ ইব্রাহিমকে বলে,
– সেজ দাদি কলে কোক, কোক ভেবে বিষ খাইছি আব্বা। তুই কান্দিস নে আব্বা।

গোড়পাড়া বাজারের হাতুড়ে ডাক্তাররা শিশুর গায়ে হাত দেয় না,
– বাচ্চাকে বাঁচানো আমাদের মতো হাতুড়েদের কাজ না। নাভারন নিয়ে যান।

রিয়াদকে নিয়ে নাভারন সরকারি হাসপাতালের জন্য রওনা দেয়া হয়। হাতুড়ে ডাক্তাররা বাজারে বসে বলাবলি করে,
–ঘাস পোড়া বিষ এ, নাভারন সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররাও পারবে না।

নাভারন যেতে যেতে অটোতে মায়ের কোলে শুয়ে রিয়াদ শুধু আর্তনাদ করে,
– জ্বলে গেলো মা, পেট জ্বলে গেলো। পানি দে মা, দাদি বললে, কোক। কোক খালি তো জ্বলে না। বিষ খাইছি মা।

নাভারন সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা রিয়েদের শরীরে হাত দেয় না, ঘাসপোড়া বিষ শুনেই তারা যশোর নিয়ে যেতে পরামর্শ দেয়।
– ঘাস মারা বিষ যখন, আপনারা উপরে বড়ো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। দেখুন কী করতে পারে।

বীথি কাঁদে। ইব্রাহিম কাঁদে ছেলে বুকে জড়িয়ে ধরে। আইয়ুব কাঁদে না। তার হৃদয়ে কান্না নাই। বিষ দিয়ে সে অনেক হাঁস মেরেছে, মেরেছে মাছ। আজ তার কান্না মানায় না। লোকে হাসবে। তার হঠাৎ মনে পড়ছে তার কৃতকর্মের কথা। ইব্রাহিমের হাত দিয়েই তো সে বিষ দিতো জমির আলে। মনে মনে ভাবে আইয়ুব তার পাপ কি তবে ইব্রাহিমের ঘাড়ে বর্তালো? সে বীথিকে চুপ করতে বলে,
–কিচ্চু হবে না। মানুষ ও, বাঁচবে। ওতো পাতিহাঁস, রাজ হাঁস না যে মরবে।

যশোর সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা রিয়াদকে ভর্তি করে। প্রথম পর্যায়ের চিকিৎসা দিয়ে পরামর্শ দেয় আইয়ুবকে।
– ওতো শিশু, খেয়েছে ঘাস মারা বিষ। আপনারা খুলনায় নিয়ে যান। খুলনায় দেখুন ওরা আমাদের থেকে ভালো চিকিৎসা দিতে পারে কিনা।

খুলনা সরকারি হাসপাতালে পাঠায়ে দেয়া হয় রিয়াদকে। খুলনার চিকিৎসকরা জানিয়ে দেয়,
– আপনাদের বাচ্চা বাঁচাতে পারব না আমরা। আল্লাহ যদি চান বাঁচতে পারে। আমরা ভর্তি করে নিচ্ছি, ঘাস যেমন আস্তে আস্তে পুড়ে মরে, শিশুও আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাবে। বিশ পঁচিশ দিনের ভেতরে।

খুলনায় রিয়াদকে ভর্তি রাখা হয়। ডাক্তাররা বোর্ডে রিয়াদের নাম লিখে রাখে। রিয়াদ মৃত্যুবরণ করবে। রিয়াদের মা শুধু কাঁদে, আর রিয়াদ তার মাকে সান্ত্বনা দেয়,
– মা, তুই কান্দিস নে, তোর কান্না দেখে মনে হচ্চে আমি একনই মরে যাবানি। মা, সেজে দাদি আমাকে বিষ খাইয়ে দিয়েচে। বাড়ি গিয়ে আমরা সবাই কুটুম বাড়ি যাবানে শুদু সেজে দাদির নুবান না।

মা ছেলের কথা শোনে, পোড়া পেট থেকে রক্তের মতো লাল নাল বের হয় মুখ দিয়ে, তাই টিস্যু দিয়ে মোছে আর কাঁদে। বীথির কান্না আর রিয়াদের পাকা কথা শুনে হাসপাতালের ডাক্তার এবং নার্সরাও কাঁদে। খুলনা হাসপাতালে পাঁচদিন কাটানোর পরে ইব্রাহিমের ফুফাতো বোন বিলু রিয়াদকে ঢাকায় নিয়ে যায়। ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তাররা বলে দেয়,
– বাঁচবে না। ধুঁকে ধুঁকে যে কয়েকদিন বাঁচে শিশু।

বীথি ছেলেকে বাঁচানোর শেষ প্রচেষ্টায় মেডিকেলে দশদিন কাটানোর পরে রিয়াদকে স্কয়ারে নেয়। রিয়াদ বীথিকে জিজ্ঞাসা করে,
–বেঁচে যাবান মা?
মা ছেলের মাথায় হাত বুলায়।

স্কয়ারের ডাক্তাররাও কোনও আশা দেয় না। তবে ভর্তি রাখে। দিন বাড়তে থাকে। রিয়াদের মুখ দিয়ে রক্তের মতো নাল বেশি বের হতে থাকে। রিয়াদের কথা থামে না। আর বীথির কান্না থামে না।

স্কয়ারে কাটানোর চতুর্থ রাতে ইব্রাহিম আইয়ুবের সাথে ঝগড়া বাঁধায়।
– সব তোর পাপের শাস্তি আব্বা, তুই আমাকে দিয়ে ধানের জমিতে বিষ দোয়াতিস,চোখের সামনে অবুঝ হাঁস মুরগিগুলো মারা যেতো। সেই হাঁস মুরগিগুলো যাদের থাইকতো তারা কান্তো, আহাজারি কইরতো। যেদিন বিষ দিয়ালি খালেকের পুকুরি,তোরা সব ভাই মিলে আমারে দিয়ে, সেই রাত সকাল হলে দ্যাকিলাম খালেকের বেদনায় ভরা মুখ আর মরা মাছেদের ভেসে থাকা। একন আমার ছেলে আমার পাপে মরে যাচ্চে। তুই বুজবিনে এই যন্ত্রণা।
– চুপ কর, বাপ চুপ কর। এই বেদনা আমি কাউরে বলতি পারব না। চুপ কর, মানুষ শুনে ফেলবে।

স্কয়ারে কাটানোর পঞ্চম দিনে রিয়াদ বীথির কাছে খাবার চায়,
– মা আমাকে পাউরুটি, মটর ভাজা, পেয়ারা কিনে দে, খাবো। ভাত দে,খাবো।

খাবার খাওয়া হয়ে গেলে বীথিকে বলে,
– মা, ঐ দ্যাখ সিনহা, তানিয়া,তানজিনা।

এভাবে পাড়ার প্রায় বারো তেরো জন ছোট মানুষের নাম বলে,
– দ্যাখ মা, উরা আমাকে ভয় দেকাচ্চে।

কথা বলতে বলতে রিয়াদ তার শরীরে লাগানো নল খুলে ফেলতে চায়। বীথি তাকে শাসন করে,
–আব্বু, তুমি নল খুললি আমি কাঁনবো।

রিয়াদ তখন দেহের যন্ত্রণা সহ্য করেও নল মুখে রাখে। আর বলে,
– না, মা তুমি কানবা না, আমি নল খুলচিনে।

এভাবে নল মুখে দিয়ে রিয়াদের উনিশ দিন কেটে যায়। উনিশতম দিন সকালে রিয়াদ নল খুলে ফেলতে চায়। বীথি তাকে একই ভয় দেখায়,
– আব্বু, তুমি নল খুলে ফেললি আমি কাঁনবো।

রিয়াদ জবাব দেয়,
– মা, আইজ তুমি কান্দো !!

Share