অজানা বাংলা সালের এই ফাল্গুন মাসে

।। নিষাদ প্রধান ।।

একদিন যুদ্ধ শেষ হবে আর আমি আমার কবিতার কাছে ফিরে যাবো

অজানা বাংলা সালের এই ফাল্গুন মাসে

নেক্রোপলিসে

যত কাছে যাই
তত দূর হয় স্পষ্ট

দেখি তোমার শরীর জুড়ে ছড়ানো
সংবেদন স্নায়ু
ব্যথা দেখি স্পষ্ট

ছুঁতে গিয়ে গুটিয়ে নেই হাত
খাই সাফোকেশন
হই আদর ক্ষুধায় জড়োসড়ো

ধীরে, ধীরে, ধীরে…

একটু আহ্লাদে আহ্লাদে গলো তুমি
একটু আহ্লাদে আহ্লাদের গলি আমি

একটু আহ্লাদে আহ্লাদে গলুক ব্যথা
একটু আহ্লাদে আহ্লাদে গলুক সাফোকেশন

গলি গলি, একাকার হই
গলিতে গলিতে একাকার হই, নেক্রোপলিসে

মুছি মৃততা, মুছি পুঁজি

ফসল হই

বীজ

একটা সমরাস্ত্র বহরের মতো দাঁড়ায় আছে

এই শহর

তুমি হাঁইটা পার হইতে চাও তা জলের মতোন

আর আমি মাটির মতোই দ্বিধায় স্থির

তুমি ঠেলে যাও আমায়
তুমি ঠেলে ঠেলে নিয়ে যাও আমায়

নিয়া আসো কিছু গোলাপের বীজ

পুঁতে দাও হৃদয়ে স্রোতের ক্ষিপ্রতায়

বীজ নিয়া বাড়ি আমি
বীজ বাড়ে আমার ভেতর

জলশূন্যতায়।

অজানা বাংলা সালের এই ফাল্গুন মাসে

উত্তরে এখন হলদে রোদ, কোকিলের ডাক
আর বাতাসে বেহেস্তের কিছু অবশেষ

তার মাঝেই….

তুমি ফোন কল, মেসেঞ্জার টেক্সটে
কামান দাগো কোকিলের কণ্ঠে
বাতাসে মিশায় দেও রাসায়নিক অস্ত্র
রোদকে ফিকে করে আকাশ জুড়ে থাকে যুদ্ধ বিমান

এই বিধ্বস্ততার ভেতরেও কোথাও ফুটে থাকে
একটা দুইটা লাইলাক কিংবা নার্গিস ফুল

তাদের খুঁজতে খুঁজতে আমার দুই চোখ
বিদ্ধ হয় তোমার অভিযোগের তীরে

আমি অন্ধ হয়ে যাই, অন্ধ হয়ে যাই

অন্ধ হয়েও আমি আইয়্যুব নবীর মতো

জপ করি খোদার কালাম
“সাতান্তাহি আল-হার্ব ইয়াওমান, ওয়া আউদ ইলা ক্বাসিদাতি”

একদিন যুদ্ধ শেষ হবে, আর আমি আমার কবিতার কাছে ফিরে যাবো

চিত্রকলা: লুবনা চর্যা

নিষাদ প্রধান

পড়াশুনা- পাবলিক রিলেশন, ইউল্যাব, ঢাকা। আগ্রহ- চিন্তা, ভাষা, দেহ।

Share