পাখির গানের দিকে তাক করা সিপাহীর নল

।। আফরোজা সোমা ।।

ঝরনা তলায় যেখানে মারমা মেয়ে
ভরছে কলস
সেখানে পাহাড়ের সবুজ মায়ায়
পাখির গানের দিকে তাক করা
সিপাহীর নল
হ্রদের নীল জলে বাঁকা হয়ে
ফুটে আছে যে রংধনু
তারও মালিকানায় রয়েছে বিরোধ

আমি

ফুল হতে বাতাসে মিশে যাচ্ছে যে রেণু,
এ তার মতই— অলক্ষণীয়;
কিন্তু নয় গন্তব্যহীন,
নিদারুণ ধূ ধূ একাকীত্বই এর রহস্য;
‘নাই’ হওয়াটাই তার অবিনাশের পথ।

কে বলে, এর নামে বাজি ধরো না!

পরাগ রেনু, যে উড়ে যায়
দলছুট ঘোড়ার কেশরের বাতাসের টানে;
তার নামেই শুরু হোক যত বাজির দান!

দি লস্ট সিটি

তোমার জীবনের ভেতরে সিঁধ কেটে ঢুকে গেছে একটা ঘুঘু। তোমার সূর্য একটা হাফ বয়েল্ড এগ, স্বাক্ষ্য দিচ্ছে এই নিস্প্রভ ভোর।
তুমি যাত্রার দলের ভাড়া করা নটি; ঝকমকা পোশাকে রানির ভুমিকায় করো অভিনয়। কাহিনীর মোচড়ে, মঞ্চের মধ্যে, প্রতারিত রানি যখন কাঁদে অরণ্যের ভেতর, তখন নটির খোলসের ভেতর তুমি এক বেদম ঘুঘু; রানির বেশে নটির নয়নে কাঁদা হারানো মানুষ;
তুমি একটা লস্ট সিটি, নেভার টু বি ফাউন্ড এগেইন।

আমাদের হিয়ার ভেতর আমরা যখন গান হয়ে যাই

আমরা খরচ হয়ে যাচ্ছি রোজ;
হিসেবের খাতায় ভাংতি পয়সার মতন
সেই খরচ তুলতে ভুলে যাচ্ছেন গিন্নি মা।

জীবন-জীবন করে আমরা ছুটছি
আর জীবন আমাদের নাম ধরে
ডাকতে-ডাকতে ছুটছে আমাদেরই পিছু।

আমরা একটা সার্কেলে ঘুরছি
এই ঘূর্ণনে কোনো বিরতি-বিন্দু নেই;
দৌড়ের নিয়মে চলতে থাকলে এইখানে
কোনোদিন আমাদের হবে না দেখা।

তবে, কেউ-কেউ দেখা পেয়ে যায়;
তারা নিয়ম ভাঙে
তারা দৌড় থামিয়ে দেয়;
তাদের দেখে লুথা মনে হতে পারে
তাদের দেখে বোকা মনে হতে পারে
তাদের দেখে ঋষি মনে হতে পারে
তাদের দেখে মনে হতে পারে
ফুটো পকেট গলে পড়ে যাওয়া ভাংতি পয়সা;
কিন্তু তারা জীবনের দেখা পায়
চলতে-চলতে জীবন এসে একদিন
হুমড়ি খেয়ে পড়ে তাদের বুকের উপর
সেদিন তাদের দেখা হয়ে যায়;
দৌড় থেমে গেলে।

আমিও অপেক্ষায় আছি
একদিন আমাদের দেখা হয়ে যাবে;
জীবন মিলিয়ে দেবে
তোমাকে ও আমাকে ঠিক;
সেদিন ভাদ্র মাসের রোদ্দুরে
ভরদুপুরে ঘামতে-ঘামতে হাসতে-হাসতে
দূর গাঁয়ের মেঠো পথে আমরা
বাশঁঝাড়ের নিচে এসে জিরোব;
বাঁশপাতার শন শন শব্দে
আমার শরীরে জাগবে শিহরণ;
তাই দেখে তুমি বুঁজবে চোখ,
শুনবে শনশন শব্দের ভেতর
কেমন গান বয়ে যায়।

এমন দিন আমাদের সত্যিই আসবে;
এমন প্রেমের দিন না এলে
আমরা মরব না;

পৃথিবীতে কেউ মরে না
প্রেমের দিন না দেখে;
বাস্তবে না হোক,
অন্তত কল্পনায়
বেঢপ দেখতে
ভুঁড়িওয়ালা
কুৎসিত যুবকটির ঠোঁটেও
ভালোবেসে চুমু খায় এক পরী;
আর চির জন্ম দুঃখে থাকা
ডানা খসে যাওয়া পরীটিও
কল্পনায় একদিন
ডানা খুঁজে পেয়ে দেয় উড়াল;
উড়াল রচিত না হলে
মৃত্যুর শর্ত হয় না পূরণ।

তাই, জেনে রেখো, প্রিয়
এই ঘূর্ণন চাকায় আমাদের দেখা হবেই;
সেই আশায় আমি দৌড় থামিয়ে
বসে আছি পথের ধারে;
তুমি এলে আমরা রোদের মধ্যে
ঘামতে-ঘামতে মেঠো পথে হাঁটব
আর শুনব বাঁশের পাতার সঙ্গে
পাতার স্পর্শে কেমন হচ্ছে সঙ্গীত;
শুনব, আমাদের হিয়ার ভেতর
আমরা কেমন গান হয়ে যাচ্ছি।

পদ্ম

হৃদে যদি ফুটলো কমল পাঁকের দিকে চেয়ো না। চোটের জখম, ক্লেদের ব্যথা স্মৃতিকোষে এনো না।
যে তোমাকে ঘা দিয়েছে তাকেও দাও ধন্যবাদ। নিভৃতে যে বাণ মেরেছে, ভুলে গেছে হিয়ার ঋণ তাকেও জানাও শুকরিয়া।
শরের দাগ, অবিশ্বাসের ক্ষতগুলো আশিস হয়ে এসেছে। জাতে তুমি পঙ্কজ, কাদাই যদি না মিলতো নিজের দেখা পেতে না। পঙ্কে যখন অঙ্কুরিত পদ্মফুলের বীজ, কাদার দিকে চেয়ো না।

শাপ

কুকুরের মতন প্রখর ঘ্রাণেন্দ্রিয় যার, তার নাসিকা শুধু শ্বাসটুকু নেবে, পাবে না কুয়াশার ঘ্রাণ; ধরতে পারবে না কার্তিকের ছাতিম আর সহযাত্রীর বগলের বোটকা গন্ধের ব্যবধান। যে খুব যৌনতাবিমুখ একদিন ভর দুপুরে ঘন দুধের সরের মতন উঠোনের ‘পরে থাকা উপচানো রোদ দেখে তার খুব কামবোধ হোক। স্বয়ং দুপুর ডাকাত প্রণয়ীর মতন এসে তাকে দিক জীবন টলমল করা উত্তুঙ্গ সুখ। এরপর দুপুর হলেই টাটানো রোদে তার বান ডাকুক। কিন্তু সে আর না পাক দরদীর দেখা।
এইভাবে আগুন জ্বলুক। ধিকিধিকি। তৃষিত হোক সংসার।

যুদ্ধ

গুলির শব্দে পাখি উড়ে যায়
মানুষ বসে থাকে স্থির
পরস্পরের দিকে তাক করে বন্দুক।

প্রতীক্ষা

তোমার শ্বাসে বাজবো বলে
কানুর হাতের বাঁশির মতন বসে আছি।

হিয়ার পরশ লাগি

তোমার যৌনতা চাই না মরদ—
আশ্বিনের এই তুমুল তপ্ত দুপুরে
এমন কথা কী করে বলি!

চাই—
তোমার ঘোরলাগা চোখ
উঠানের ওপার থেকে আমাকে দেখুক;
ঘুঘুর ডাক পড়ে থাক আমগাছের ছায়ায়
তুমি রোদে পোড়া তনুর তৃষ্ণা নিয়ে
বিড়ালের মতন আমার পায়ে-পায়ে থাকো।

এ কথা মিথ্যে নয়, জ্ঞানদাসের চরণের মতন
তোমার ‘প্রতি অঙ্গ লাগি কাঁদে প্রতি অঙ্গ মোর’,
তারও চেয়ে সত্য মরদ এই কথা জেনো
‘হিয়ার পরশ লাগি হিয়া মোর কান্দে,
পরাণ পিরিতি মোর থির নাহি বান্ধে’।

উত্তুঙ্গ-সুখ

যেভাবে বৃন্তে জাগে শিহরন
সেভাবে নিয়েছো আমার দখল, প্রভু হে!

তুমি, দুপুরের সঘন রোদ,
এমন করে লেপ্টে আছ
ভবনের গায়ে, গাছের পাতায়
যেনো মধু কেউ
দিয়েছে মেখে পরম দরদ ভরে।

আহার শেষে তুষ্ট ধার্মিক
যেভাবে চেটে-চুষে খায়
আঙুল ও হাতের চেটো
সেভাবে তোমাকে দমে দমে নিই;
অঙ্গে অঙ্গে তোমাকে আমি মাখি
নিবিড় পুলকে জাগে হিয়া
চামড়া ও হাড়ের দেয়াল মুছে
তুমি-আমি যাই মিশে
ঘোর পুলকে জাগে প্রাণ,
জাগে আরো তৃষ্ণা গভীর।

এ জীবন পুলক-তৃষ্ণা এক, জেনেছি শেষে
প্রভু হে, দুপুরের মায়া রোদ,
তোমার নামে আজ লিখে রাখি
এ জনম উত্তুঙ্গ-সুখ।

আমার পুরুষ

তার ভ্রু ধনুকের মত বাঁকা নয়। তার বাহু পাকানো দড়ির মতন নয় গ্রন্থিল। তার ঊরু নয় গজ শূঁড়ের মতন সুগঠিত সুন্দর। কিন্তু আমি ভালোবাসি তার উদোম বুক। তার নগ্ন বুক লাউয়ের কচি ডগার মতন মায়াময়। তার বুকের মধ্যিখানে কচি-কচি মায়াবী পশমে গড়া তিন পাপড়ির ফুলের মতন একখানি অলৌকিক পুষ্প। সেই পুষ্পের দিকে চেয়ে আমি ভেঙে চুরমার হয়ে যাই।

হায়! জানে না তা আমার পুরুষ।

প্রভু ও এপোকেলিপ্স

ক্ষয়ে যাবার আগে তোমরা তুমুল বাঁচতে চেয়েছিলে
উন্মুল বিকেলের দিকে ছুঁড়ে দিতে চেয়েছিলে প্রগাঢ় চুম্বন।

ডুমুর গাছের ডালে অপরাহ্নে বসে ডাকে যে একলা পাখি
জাদুর রুমাল দিয়ে তার জন্যে বানাতে চেয়েছিলে
একটি মায়াবি দোসর।

তবু, তোমাদের দিকে ধেয়ে এলো দাবানল
এলো খরা, মড়ক ও বন্যার দিন

তোমরা এর নাম দিয়েছিলে এপোকেলিপ্স
তোমরা এর দায় দিয়েছিলে পবিত্রগ্রন্থের কাঁধে
তোমরা বলেছিলে, সবই প্রভুর ইচ্ছা।

অথচ প্রভু কাঁদছিলেন
বেদনায় মূহ্যমান হয়ে
লোভাতুর সন্ততির মুখের দিকে চেয়ে ভাবছিলেন:
এই যে আমি, জননী বসুন্ধরা— তোমাদের প্রভু;
আমাকেই গণিমতের মাল ভেবে হরিলুট করছো।

ঝাঁ ঝাঁ রোদ্দুরে বিষণ্ন বুলফাইট

ফুর্তিবাজ স্পেনীয় তরুণ
তুমি জানলে না কতটা বিষণ্ন
দুপুরের এই ঝাঁ ঝাাঁ রোদ্দুর

ঝরনা তলায় যেখানে মারমা মেয়ে
ভরছে কলস
সেখানে পাহাড়ের সবুজ মায়ায়
পাখির গানের দিকে তাক করা
সিপাহীর নল
হ্রদের নীল জলে বাঁকা হয়ে
ফুটে আছে যে রংধনু
তারও মালিকানায় রয়েছে বিরোধ।

বেপথু বাতাস শুধু বেরিকেড বোঝে না
আঁরাকের ঝোঁক ছাড়াই
নলের ফাঁক গলে উঁকি দেয়
তোমার জানালায়

অভিমান নিও না যুবক
কানে কানে একবার
তোমাদের বুলফাইটের ষাঁড়টিকে
জিজ্ঞেস করে দেখো
অনর্থ বিরোধ বাধিয়ে
রাজারা কেমন আনন্দ পায়।

প্রেম: জল্লাদের রেশমি সুতা

সে আমাকে কবিতা পাঠায়।
কয়েক দিন হলো;
রোজ।
কয়েক লাইন।
নিজেই লেখে।

ছবিও পাঠায়;
বারান্দার ফুল
ভোরের আকাশ
পড়শীর ব্যালকনিতে বসা
ডোরাকাটা বেড়াল;
জানলার পাশে
ডুমুর গাছে বসা
একটা দোয়েল;
ড্রয়িংরুমের ফ্লোরে
তেরছা হয়ে পড়ে থাকা
অপরাহ্নের আলো।

কফির আমন্ত্রণও পাঠিয়েছে
আজ দু’দিন।
আমন্ত্রণের জায়গায় বরং
আবেদন পড়া ভালো।

কিন্তু আবেদনে সাড়া দেবে না কর্তৃপক্ষ
ফেসবুক ও ফোনে তাকে ব্লক করা হবে।

প্রকৃত প্রেমে পড়া মানুষ এক অপ্রতিরোধ্য বালাই
প্রেমে পড়া মানুষের চোখের চেয়ে তীব্র নয়
জল্লাদের রেশমি সুতা।

সুইমিংপুলে মনোলগ

কেমন যেন ভালোবাসা ভালোবাসা বোধ হচ্ছে
কেমন যেনো বোধ হচ্ছে শূন্যতা:
মুখের ভেতর কেমন যেনো তেতো তেতো লাগছে
এ-কি প্রেম!

এই সুন্দর রোদ্দুরে, ফুরফুরে হাওয়ায়
সুইমিংপুলের চারিদিকে ছড়ানো প্রাণের মাঝে এসে
প্রেম প্রেম ওম ভেবে এ কেমন শূন্যতার ধাত!

শোনো, সামান্য বিরতি নিয়ে জল থেকে উঠে
মেয়নিজ দিয়ে ফ্র্যাঞ্চফ্রাই আর একটা বিয়ার নিয়ে
রোদ্দুরে খানিক বসো, খাও, জিরাও,
সঙ্গে একটা সিগারেট ধরিয়ে দাও আরামসে টান;
তারপর দেখো— রোদেলা আকাশের নিচে
গাছের সবুজ কী সুন্দর!
ছেলেদের সুঠাম শরীর কী সুন্দর!
মেয়েদের গোলাপ তনু,
ছিনালের মুখের পবিত্র আভা,
পকেটমারের মুখ– কী সুন্দর!
তোমার মুখের তেতো স্বাদ– কী সুন্দর!
ভালোবাসা ভালোবাসা বোধ– কী সুন্দর!
অদ্ভুত অলঙ্ঘনীয় শূণ্যতা,প্রেম, সেও, আহা! সুন্দর!

সমাজকর্মীর সাথে একজন বারবণিতার অন্তরঙ্গ আলাপের পর

পুরুষের শরীরে তবু হৃদয় আছে নাকি?
ভাবে সে। ধরি, তার নাম অনাদৃতা;
বেঢপ ভূঁড়ির নিচে মেলে ধরে দুই ঊরু
শুয়েছিল সে বানিয়া শান্তায়।

মায়া ছিল একদিন
উঠোনের পরে ছিল ক্ষেত থেকে
কেটে আনা সোনালি ধানের বুনো ঘ্র্রাণ;
ছিল বাড়ির দেউরির কোণায়
একটা শিউলি গাছ;
আর সে ছিল
অক্ষিগোলকে নিয়ে কাতর প্রণয়।

তারপর আর কোনো কথা নাই
নাই কোনো দোষারোপ কাউকে দেবার;
তারপর একদিন প্রেম এসে ঠেকেছে
এই বানিয়া শান্তায়।

তবু, মাঘের কুয়াশাঘন রাতে
যখন টিনের চালে টুপটাপ
বাঁশের পাতা থেকে টুপটাপ
ঝরতে থাকে শিশির সারা রাত;
যখন সকলে ঘুমিয়ে যায়
অথবা যখন আর কোনো ঘরে
আর কেউ আর কারো সামনে
খুলে দেয় ব্লাউজের বোতাম;
কিন্তু কাউকে ঘরে নিতে
ইচ্ছে করে না অনাদৃতার
তেমন বুক খালি করা রাতে
দুয়ার খুলে হিমের ঘ্রানের ভেতর
সে পায় সুবাস— প্রেমের;

হিমের ভেতর পুরণো ঘ্রাণে সে পায় টের
একদিন প্রেম ছিল
অক্ষিগোলকে কেউ ধরেছিল তুমুল প্রণয়।

অলংকরণ- সাইদ উজ্জ্বল

আফরোজা সোমা

কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক। তাঁর লেখালেখির জগৎ বিস্তৃত। কবিতার পাশাপাশি সোমার সাহিত্যকর্মের অন্যতম অংশ জুড়ে আছে নন-ফিকশান ক্রিয়েটিভ রাইটিং। গল্পও লেখেন, অনিয়মিতভাবে।

তাঁর প্রকাশিত কবিতার বই পাঁচটি (৫) আর প্রবন্ধের বই একটি (১)। প্রথম কবিতার বই ‘অন্ধঘড়ি’ প্রকাশ হয় ২০১০ সালে। এরপর যথাক্রমে প্রকাশ হয় ‘হারমোনিকা’, ‘ডাহুক’, ‘পরমের সাথে কথোপকথন’, ও ‘রোদে ঘোর লাগা একলা শালিক’। আর বাংলাদেশে বিদ্যমান লিঙ্গ বৈষম্য ও জেন্ডার পলিটিক্স বিষয়ক গবেষণাধর্মী প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প’ প্রকাশ হয় ২০২১ সালে।

আফরোজা সোমা পেশাগত জীবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। বর্তমানে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন অ্যামেরিকান ইন্টারনশেনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর মিডিয়া এন্ড ম্যাস কমিউনিকেশান বিভাগে।

ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট হিসেবে দেশি-বিদেশি রেডিওতে সাংবাদিকতা করেছেন দীর্ঘ দিন। কাজ করেছেন ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি নিউজ বাংলা, জার্মানীর প্রধান বেতার ‘ডয়চে ভেলে’ রেডিওর বাংলা বিভাগ এবং বাংলাদেশের রেডিও টুডেতে।

এছাড়া, দেশ টিভিসহ কাজ করেছেন বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনে।

আফরোজা সোমার জন্ম ২রা অক্টোবর, ১৯৮৪-সালে, বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে। ইমেল: afroja.shoma@gmail.com

Share