হামাস হামাস ডাকে ভূমধ্যসাগরীয় হাঁসের ঝাঁক

।। সাঈফ ইবনে রফিক ।।

উচ্ছেদ, পরাধীনতা, লুঠ আর হামলায় জর্জরিত এশিয়ার একদা প্রাচুর্যে‌র ভূুখণ্ড প্যালেস্টাইন কিন্তু কখনও মাথা নোয়াতে শেখেনি। বিশ্বের সকল জাতীয় গণতান্ত্রিক আত্মনিয়ন্ত্রণের সংগ্রামগাথার গর্বের প্রতীক এই ভূখণ্ড। পাল্টা প্রত্যাঘাত ফিরিয়ে দিয়ে স্বাধীনতার সকল সম্ভাবনা ছিনিয়ে আনতে জানে প্যালেস্টাইন জায়ানিস্ট ইজরায়েলি দখলদারি, মার্কিন আধিপত্য ও উপনিবেশবাদী পশ্চিমী দুনিয়ার দাদাগিরিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্বাধীনতার জেহাদে সমুজ্জ্বল প্যালেস্টাইন। কিন্তু আধিপত্যবাদী ও সেটেলার ঔপনিবেশিক নেক্সাসের সকলপ্রকার দালাল ও মার্কিন-পশ্চিমী বয়ানমুখাপেক্ষী সংবাদমাধ্যম প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতা সংগ্রাম তথা জাতীয় গণতান্ত্রিক আত্মনিয়ন্ত্রণের লড়াইকে যথারীতি ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দিয়ে এসেছে মাঝে মধ্যেই। ইজরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্যালেস্তিনীয় স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের তৎপরতাকে ‘সন্ত্রাসী’ কার্যক্রম আখ্যা দিচ্ছে নতুনভাবে। এই প্রেক্ষাপটে প্যালেস্টাইনের প্রতি সংহতিতে সাহিত্য পত্রিকা ‘প্রতিপক্ষ’ কবিতা, অনবাদ কবিতা, প্যালেস্টাইনের প্রতিরোধী সাহিত্য বিষয়ক আলাপকে প্রকাশ করবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই উদ্যোগের প্রথম দিন থাকছে সাইফ ইবনে রফিকের একগুচ্ছ মৌলিক কবিতা ও বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা থেকে কয়েকটি অনুবাদ কবিতা।

ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়া
ক্ষুধার্ত শিশুদের মা গল্প শোনাচ্ছেন–
‘যেদিন মহান মেরাজের আকাশপথ
প্যারাগ্লাইডিংয়ে ঢেকে গিয়েছিল
ঝাঁকে ঝাঁকে আবাবিল–
গুঁড়িয়ে দিয়েছিল
শ্বেতহস্তীর এয়ার ডিফেন্স অহংকার,
আল-আকসায় সেদিনও
বোরাক এসেছে, তোমরা দ্যাখোনি।’

সাইফ ইবনে রফিকের গুচ্ছ কবিতা

শান্তির রকেট

সিনাইয়ের মার্কেট থেকে ডিম কিনে
রাফাহ ক্রসিং হয়ে
খান ইউনিসের সুড়ঙ্গে ঢোকাতেই
ওটা রকেট হয়ে গেল!
হামাস হামাস ডাকে
ভূমধ্যসাগরীয় হাঁসের ঝাঁক।
রামাল্লায় জয়তুন ছায়ায়
আশ্রয় নিয়েছে জিহাদ।
উপকূলের বাঁকে
সাগর ঘেঁষে যে মরুভূমি সবুজ হতে চায়
নাশপতি বাগানে, সেখান থেকে দূরে
পশ্চিম তীরেই বেথলেহেম–
গোয়ালঘরে যিশুর জন্ম রহস্য
তদন্তে নেমেছে মোসাদ।
আহা জেরুসালেম,
গাজায় আঙুর ক্ষেতে
তুমি যে শান্তির চাষ করতে চাইছো–
অথবা
ব্রয়লার মুরগির খামার
তাতে ডিমের বদলে বোমা
উড়ছে রকেট।
ফার্মগেটে দ্যাখো
দেশি হাসের সিদ্ধ ডিম
বিক্রি করছেন ইয়াসির আরাফাত।

মৃত্যু উপত্যকার গল্প

তোমাদের থেকে অনেক দূরে
সবখানে অন্ধকার।
বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন কারাগারে আটক
শহরের প্রতিটি আত্মা।
নিষ্প্রাণ নগরে হারিয়ে গেছে ভবিষ্যৎ।
আতঙ্কিত কংক্রিট থেকে
উধাও হয়েছে প্রেম, হাসি-কান্না।
সন্তানের শবযাত্রায়
পাথর পিতার মতো প্রতিটি হৃদয়।

যে গোলচাঁদ হাইফা থেকে একটু হেলে
গাজা উপত্যকার দিকে চেয়ে আছে,
তার আলো ম্রিয়মান! অভিমানে লাল।
ভূমধ্যসাগরীয় বাতাসে আজ
যুদ্ধাপরাধী ঘ্রাণ।

ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়া
ক্ষুধার্ত শিশুদের মা গল্প শোনাচ্ছেন–
‘যেদিন মহান মেরাজের আকাশপথ
প্যারাগ্লাইডিংয়ে ঢেকে গিয়েছিল
ঝাঁকে ঝাঁকে আবাবিল–
গুঁড়িয়ে দিয়েছিল
শ্বেতহস্তীর এয়ার ডিফেন্স অহংকার,
আল-আকসায় সেদিনও
বোরাক এসেছে, তোমরা দ্যাখোনি।’
কান্না থামিয়ে শিশুটি বলে উঠল–
‘আমরা শুধু দেখেছি রক্ত
ছটফট করা কাটা হাত, বোমার আঘাত।
আমরা পূর্বপুরুষের গৌরবগাঁথা শুনিনি
আমরা জানি না, আমাদের বাবা কোথায়?’

অশ্রু মুছে মা বললেন–
‘তোমাদের বাবা
একটা স্বাধীন ফিলিস্তিন কিনতে
জেরুসালেমের সবচেয়ে বড় বাজারে গিয়েছেন।’

বাপের নাম ভুলে গেছে ডায়াসপোরা পাখি

‘আই হেইট কাতালান রেবেলস!’
বার্সার জার্সি পরা
ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত স্প্যানিশ তরুণী
বলে উঠলো!
আমি হেসে উঠলাম। বললাম,
তোমার বুকে যে কাতার এয়ারওয়েজ—
শুধু এরা চাইলেই এক রাতের মধ্যে
একেকটা নিউইয়র্ক হয়ে উঠতে পারে
গাজা-রামাল্লা-জেরিকো-হেবরন!
আইবেরীয় উপদ্বীপে
অনারব অটোম্যানের হ্যারিকেন সাম্রাজ্যে
যতোটা জাদু—
এর চেয়ে ঢের বেশি আলো
আরব্য রূপকথার ঝাড়বাতিতে!
কর্ডোভা থেকে বসনিয়া হয়ে আলবেনিয়ায়
অপরাধপ্রবণ গ্রামগুলো জ্বলছে।
ইউরোপ! ইউরোপ!! জিকিরে অন্তপ্রাণ
হিজাবি শেতাঙ্গ কিশোরীরা
আরব না হওয়ার হীনমন্যতায় ভুগছে—
আর তুমি ভাবছো
কাতালানরা হামাস হয়ে যাক?
পশ্চিম তীরে তরী ডোবার আগে
সেনজেন ভিসায় দেখো—
কিভাবে ইউরোপ চষে বেড়াচ্ছে
আলাদিনের উড়ুক্কু কার্পেট।
অথচ মার্কেট ইকোনোমি বলছে—
মরোক্কায় আটকে থাকা
স্প্যানিশ নৌঘাঁটিও নাকি কৌশলগত ভুল!
জিব্রাল্টারে ডুবে যাওয়া তারিকের মাস্তুল থেকে
যে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ ঢুকে পড়েছে
লন্ডনের ইসলামিক সেন্টারে—
তাতেও নাকি ইহুদি খাদ।
শাহাদাতের মোড়কে
চকচকে গহনা গড়ার ষড়যন্ত্র!
আহা ভূমধ্যসাগর,
এপারে ওপারে জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ মুসলমান বাতাসে
গড়ে ওঠা আপেল-কমলা-নাশপতি বাগানে
যে রোমান আধিপত্য গুড়িয়ে দিয়েছিল
তোমার পূর্বপুরুষ। অ্যাসাইলামের মদে
তা গুলিয়ে ফেললে পুরোটাই!
বার্সেলোনায় এখন টাকারা থাকে
ফিলিস্তিনিদের মতোই বিলুপ্তপ্রায় কাতালানরা!

জেরুসালেম

জেরুসালেম,
মৃত সাগরের পাশে এক আশ্চর্য
জীবিত নগরী। দখল-পাল্টা দখলে
পক্ষে-বিপক্ষে অনেক ভালোবাসা
বিরোধে জড়ায়।
সুলেমানের জ্ঞানের শহরে আজ পাপ
হাইরাইজ কোনো ফ্ল্যাটে জেগে আছে আবিশাগ।
তার কুমারীত্ব নিলামে তুলেছে
বহুজাতিক কনডম কোম্পানি।
হায় জেরুসালেম–
কবিরাজ এলো, রাজবৈদ্য, নামকরা আলেম!
তবু রাজা দাউদের
শরীরে উত্তাপ ফিরল না।

প্যালেস্তিনীয় শিল্পী শমোতের আঁকা ছবি

সাইফ ইবনে রফিক কৃত অনুবাদ কবিতা

নাথানি হান্দালের কবিতা

১.

গাজা

একদা এক ছোট্ট উপত্যাকায়
কালো গর্তগুলো হৃদয় গিলে ফেলছে।
আর এক শিশু আরেকটা বলল,
দম ছেড়ে দাও বন্ধু;
যখন আর স্বপ্নভূমিতে
রাতের বাতাস থাকছেই না।

২.

গাজাবাসী

বেঁচে থাকার আগেই মরেছি আমি
একদা কবরের মধ্যেই থাকতাম।
এখন শুনলাম, সব মৃত্যু ধরে রাখার জন্য
এটা যথেষ্ট নয়।

৩.

ছোট পা

এক মা আরেকজনের দিকে তাকালেন।
চারপাশে ছোট ছোট মৃতদেহ
পোড়া বা অঙ্গছেদে
ছড়ানো-ছিটানো লাশের সাগর।
মা প্রশ্ন ছুড়লেন,
বলো কীভাবে আমরা শোক পালন করব?

নাথানি হান্দাল

ঈসা (আ.) যে বেথলেহেমে জন্মেছিলেন, সেই পবিত্রভূমির সন্তান নাথালি হান্দাল। যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসী প্যালেস্তিনীয় এই কবি ফ্রান্স ও লাতিন আমেরিকায় বেড়ে উঠেছেন, পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাজ্য আর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর তিনটি ছোট ছোট কবিতা Gaza, The Gazans এবং Tiny Feet-এর বাংলা তর্জমা

লোলা রিজের কবিতা

প্যালেস্টাইন

এশিয়ার পুরোনো গাছটা
বিধ্বস্ত লতাগুল্ম–
ধরনীর ধমনি আঁকড়ে ধরে
শিকড় বিচ্ছিন্ন, কিন্তু অঙ্কুরোদগমে!

প্রাচীর ঘেরা মালভূমি কে চায়–
বলো, দুনিয়াটা কার বাগান?

লোলা রিজ

জন্মসূত্রে আইরিশ, বসবাস নিউজিল্যান্ড-আমরিকায়। নৈরাষ্ট্রবাদী আধুনিক কবি হিসেবে সমাদৃত। একটি আভঁগার্দ, নারীবাদী ও মার্ক্সীয় পত্রিকার সম্পাদক।

রোজ সোমালির কবিতা

অস্ত্রবিরতি

প্রতিটি যুদ্ধের পর
আবারও নির্মাণযজ্ঞ!
ধ্বংসস্তুপ ফুড়ে আবারও
আশাবাদী নতুন কনস্ট্রাকশন!

আবারও!
সুবিন্যস্ত সামরিক
নৃশংস অগ্রযাত্রা। ধ্বংসপুরাণ।
মৃত্যুখেকো যুদ্ধে কেঁপে ওঠে মরুগ্রাম,
গোগ্রাসে গিলে খায়
স্বাভাবিক জীবনযাত্রা!

রোজ সোমালি

প্যালেস্টাইনের রামাল্লায় বাস করেন থাকেন আরব ক্রিশ্চিয়ান কবি রোজ সোমালি। আন্তর্জাতিক সাহিত্যমহলে তাঁর খ্যাতি রয়েছে।

ক্যারেন আলকালায়-গাটের কবিতা

প্রেশার কুকার

আজ তো যে কেউ শিখতে পারে
একটা প্রেশার কুকার বোমা বানানোর কৌশল।
মানবতার একটা ভিড় উড়িয়েও দিতে পারে;
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে–
কেন অথবা কেন নয়?

কারেন আলকালায়-গাট

তেলআবিবের কবিকারেন আলকালায়-গাট। কারেন যুক্তরাষ্ট্রের রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি পড়েছেন, পড়িয়েছেন তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয়ে। ব্রিটেন থেকে ইজরায়েল মাইগ্রেট করলেও বরাবরই তিনি মধ্যপ্রাচ্য শান্তির পক্ষে কথা বলেছেন। ইজরায়েলে বসেই তিনি প্রকাশ্যে যুদ্ধবিরোধী প্রচারণা চালান, সামরিক আগ্রাসনের প্রকাশ্য বিরোধিতা করেন। সত্তরোর্ধ এই অধ্যাপক শিক্ষকতা থেকে অবসর নিলেও সামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। গত বছর ফিলিস্তিনে ইজরায়েলি সামরিক অভিযানের সময় যখন সৌদি রাজপরিবারসহ গোটা মুসলিম বিশ্ব তামাশা দেখছিল, তখন এই ইহুদি বৃদ্ধাই খোদ তেলআবিব থেকে রিলিফ সংগ্রহ করে তা গাজায় পাঠিয়েছিলেন।

অদা অহারনির কবিতা

এক ইহুদি বা প্যালেস্তিনীয় মা

নীড় গড়তে পারলি না
প্রিয় আমির,
এখনও প্রতি রাতে কাছে আছিস,
আর তোর চাপা কান্নায়
আমার হৃদয়ও চুপসে গেছে।
‘মা, মা, বাঁচাও!’
অথচ আমি তোকে বাঁচাতে পারলাম না।

অদা অহারনি

একজন মিশরীয় বংশোদ্ভূত ইজরায়েলি কবি, লেখক ও সমাজবিজ্ঞানী।

বাদশাহ সোলায়মান (আ.)-এর কবিতা

তোমার বাগানে

আমার হৃদয় ভেঙে একটা ফুল ফুটল,
বিকশিত হল এবং
আল্লাহর জন্য একটা ফল ধারণ করল।

তুমি আমাকে ভাঙলে,
টেনে ছিড়ে হৃদয় উম্মোচিত করলে;
আমাকে পরিপূর্ণ করলে ভালোবাসায়।
তোমার আত্মা ঢেলে দিলে আমার মধ্যে;
যেভাবে নিজেকে চিনি, চিনি তোমাকেও।
তোমার ঝর্ণা থেকে নেমে আসা
বাকশক্তিসম্পন্ন জলধারা আমাকে স্পর্শ করে,
জীবনের উৎস।
সেই মৃত্যুহীন জল পান করে
আমিও মাতাল।
তোমার সংস্পর্শে আমার মাতলামিও ছিল গোপন।

আর তুমি সব কিছু নতুন করে গড়লে;
দেখালে, সব কিছু উজ্জ্বল; স্বস্তি দিলে,
আমিই জান্নাত হয়ে উঠলাম।
এমন একটি বাগান যেখানেই আনন্দই ফল,
তুমি আমার ওপর সূর্য হয়ে উঠেছ।

তোমার আত্মায় আমার উদ্দীপ্ত চোখ,
তোমার ঘ্রাণে ভরে গেছে নাক
তোমার গানে উদ্বেলিত কান
তোমার শিশিরে ঢেকে আছে আমার মুখ।

তোমার পৃথিবীতে রোপিত সেই সব
নারী ও পুরুষ আশীর্বাদপুষ্ট;
যারা তোমার বাগানে গাছ আর ফুলের মতো
বেড়ে ওঠে, অন্ধকারকে আলোয় রূপান্তর করে।
তাদের শেকড় অন্ধকারে ডুবে যায়
তাদের মুখ আলোর দিকে তাকায়।

তারাই সুন্দর, যারা তোমাকে ভালোবাসে;
তোমার অস্তিত্বে তারা ভাসমান
ভালো কাজ ছাড়া তারা আর কিছুই করতে পারবে না।
তোমার বাগানে অসীম জায়গা,
প্রতিটি নারী ও পুরুষকে এখানে স্বাগত,
প্রত্যেকেরই এখানে আসা দরকার।

হযরত সোলায়মান (আ.)

[পবিত্র কোরআনে যেকজন নবীর কথা উল্লেখ আছে হযরত সোলায়ামান ( আঃ) তাঁদের অন্যতম। এই কবিতাটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

বাংলায় যাবুর পাঠ

১.

প্রশংসা করার আগে
তোমাকে ধন্যবাদ, হে আল্লাহ
আমার পুরোটা হৃদয় থেকে।

২.

তোমার মসজিদে মাথা নত করেছি;
দৃঢ় ভালোবাসা আর বিশ্বস্ততার জন্য,
তোমাকে ধন্যবাদ।
সব কিছুর ঊর্ধ্বে
তোমার নাম, তোমার বাণী।

৩.

যেদিন আমি ডাকলাম,
তুমি সাড়া দিলে।
তুমি আমার আত্মার শক্তি বাড়ালে।

৪.

হে আল্লাহ
পৃথিবীর প্রতিটি রাজাই
তোমাকে ধন্যবাদ দেবে;
তারা তোমার বাণী শুনেছে।

৫.

আল্লাহর পথেই তারা গাইবে,
স্তুতিগাঁথা, আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব।

৬.

সুউচ্চে থেকেও আল্লাহ
নিচের খোঁজ-খবর সবই জানেন।
দূর থেকেও টের পান, অহংকার।

৭.

সমস্যার মধ্যদিয়ে হাঁটলেও
তুমি আমায় রক্ষা করো;
আমার শত্রুদের ক্রোধে হস্তক্ষেপ করো,
আমাকে বাড়িয়ে দাও ডান হাত।

৮.

আমার জন্য আল্লাহ তার ইচ্ছা পূর্ণ করবে।
তোমার দৃঢ় প্রেম চিরন্তন, হে আল্লাহ
হাত উঠিয়ে নিও না।

যাবুর

ইসলামী ধর্মবিশ্বাস অনুসারে যাবুর হযরত দাউদ (আঃ) এর উপর অবতীর্ণ (নাযিল) হওয়া ঐশ্বরিক ধর্মগ্রন্থ (আরবি আসমানী কিতাব)। এটি হিব্রু ভাষায় লিখিত। হযরত দাউদ (আঃ)-এর পুত্র হযরত সুলায়মান (আঃ)-এর রাজত্ব কালেও এটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হত।

সাঈফ ইবনে রফিক

কবি। মুক্ত চিন্তক। পেশায় সাংবাদিক। বসবাস বাংলাদেশের ঢাকায়। চরিত্রে প্রতিষ্ঠানবিরোধী। বাবা-মার চাকরিসূত্রে শৈশব কেটেছে লিবিয়ার মিসরাতায়, কৈশোর কেটেছে বরিশাল ক্যাডেট কলেজে, যৌবন কবিতায়।

Share