চতুরঙ্গ ও যৌথতা

পরীক্ষামূলক কবিতার আলাপ- ১

।। আর্যনীল মুখোপাধ্যায় ।।

প্রায় সমস্ত ভাষাসমাজেই চলমান কবিতা লেখালিখির বাইরে একটা বিকল্প কাব্যসাহিত্যধারা গড়ে ওঠে। এর অনেকটাই গড়পড়তা কবিতার আধেয়, বিষয়, রচনাশৈলি, ভাষাবিন্যাস, পদান্বয়, ছন্দগতিকে এড়িয়ে, বা তার বিরোধিতায় এক বা একাধিক সমান্তরাল ধারা নির্মাণ করে। পশ্চিমবঙ্গে এই সমান্তরাল ধারার বা পরীক্ষামূলক ধারার অন্যতম কবি আর্যনীল মুখোপাধ্যায়। নিজের ‘পরীক্ষা কবিতা’ ভাবনসমূহ ও তাঁর পরীক্ষামূলক কবিতার একাধিক প্রকল্প নিয়ে লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আর্যনীল। সেগুলি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে চলেছে ‘প্রতিপক্ষ’ পত্রিকায়। আজ প্রথম পর্ব।

চতুরঙ্গ ও যৌথতা

চতুরঙ্গ এক অদ্ভুত খেলা। বিচিত্র, আনন্তিক, প্রাচীন। অনেকের মতে আদি ভারতেই এই খেলার জন্ম। বোর্ড বা কাপড়পাতা যতো খেলা, সেই সমস্তেই ছক্কার ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু দাবা ব্যতিক্রম। সেখানে ছক্কার ব্যবহার নেই। ফলে অনিশ্চয়তার কোনো সুযোগ নেই। প্রায় সব  বোর্ডভিত্তিক খেলাই একাধিক লোক খেলতে পারে, কিন্তু দাবা সম্ভব কেবল দুজনের মধ্যে। পারস্পরিক চাল বা দান দেওয়া নেওয়া করে এই খেলা এগোয় – এমন খেলা যার নিষ্পত্তি থাকতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। যৌথ লেখার ব্যাপারটাও অনেকটা এরকম। লেখালিখির এই যৌথ খেলার মাধ্যমেই প্যাট ক্লিফর্ডের (Pat Clifford) সাথে আমার বন্ধুত্বের ঘনতা বাড়ে। 

 সিনসিন্যাটি আমেরিকার একটা মাঝারি শহর। এলাকায় কলকাতার চেয়ে বড় হলেও, প্রযুক্তিতে অত্যাধুনিক হলেও, মানুষ শিল্প-সংস্কৃতিহীন। এখানেই একদিন, ২০০৭ সালে, এক কবিতাপাঠের আসরে প্যাট ক্লিফর্ডের সাথে আলাপ হয়ে যায়। ঝকঝকে, বিনম্র, অত্যন্ত সুদর্শন, শিক্ষিত প্যাট তখন শহরকেন্দ্রে ‘ড্রপ-ইন-সেন্টার’ (Drop-Inn Center) নামে একটা আশ্রয়কেন্দ্র ও লঙ্গরখানা চালায়। ছেলেটিকে এক আলাপেই প্রচন্ড ভালো লেগে গেল। অত্যন্ত মুখচোরা, লাজুক সে। কিন্তু কোথায় তার ভেতরে যেমন এক গোপন সন্তপ্রাণ, তেমনি এক একরোখা প্রত্যয়। সমাজজীবনের চোরা রাজনীতি সে চমৎকার বোঝে যেমন, গরীব মানুষের জন্যেও তার প্রতিদিনের লড়াই। তার কবিতার কণ্ঠস্বর জোরালো হলেও প্যাট অত্যন্ত লাজুক স্বভাবের, অনুচ্চ। ল্যাঙ্গোয়েজ পোয়েট্রির প্রতি তার ঝোঁক।  

প্রতি শুক্রবার বিকেলে অফিসের পর ‘ক্যাল্ডি’ বারে দেখা হতে থাকে প্যাটের সাথে। একদিন প্যাট হঠাৎ বুদ্ধদেব বসুর কথা তোলে। অবাক হবার পালা আমার। যে দেশের কবিদের ৯৯% বাংলা ভাষার অস্তিত্ব সম্বন্ধেই সচেতন নয়, সেই দেশের এক তরুণ কবি, আমার চেয়ে বয়সে ছোট, হঠাৎ বুদ্ধদেব বসুর কথা তুলবে – এটা আশা করিনি। মার্কিন কবি জর্জ অপেনের সঙ্গে সমসাময়িক বুদ্ধদেব বসুর আলাপ হয় নিউ ইয়র্কে ১৯৬০-৬১ সালে। অপেন সেই সময়ে এক ধরনের ‘ঢালাই’ বা ‘পলেস্তরা’ (Layering) পদ্ধতির ওপর কাজ করছিলেন। বুদ্ধদেব বসুর কিছু কবিতা (স্বকৃত ইংরেজি অনুবাদ) নিয়ে, সেই কবিতার কিছু শব্দ বদলে, ঢালাই পদ্ধতি ব্যবহার করে অপেন গড়ে তুলছিলেন এক নতুন ধরনের কবিতা।

প্যাট কম লেখে, কিন্তু চূড়ান্তভাবে পরীক্ষাবিলাসী এক কবি। মাস কয়েক দোস্তির পরেই একদিন সে যৌথ কবিতা রচনার আহ্বান জানায় – কোল্যাবোরেটিভ পোয়েট্রি। বুদ্ধদেব ও অপেনের মধ্যে যে বন্ধুত্ব ও যৌথতার জন্ম হয়, অনেকটা তারই প্রভাবে প্যাটের এই প্রস্তাব। যৌথ কবিতা লিখতে ব’সে বুঝতে পারি প্যাট খুব ভিন্ন ধরনের কবি। সমাজনীতি, রাষ্ট্রজ্ঞান, রাজনীতিচেতনা, দারিদ্র্য, বাস্তুহীনতা, অনুন্নয়ন, ভাষাকবিতা – এসব তার আগ্রহের জায়গা। আর আমার ঘোরের সূত্র সম্পূর্ণ আলাদা – শিল্পতত্ত্ব, নান্দনিকতা, মনোবিদ্যা, নৃতত্ত্ব, বিজ্ঞান, প্রকৃতি, প্রেম, যৌনতা, চলচ্চিত্র প্রভৃতি। ফলে আমরা ঠিক করি কমন সূত্র না থাকলে আমাদের পক্ষে একসঙ্গে লেখা মুশকিল। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয় ফিল্মকে ভিত্তি ক’রে আমরা কাজ করবো। প্যাট বেছে নেয় একটা ছবি – ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’।

অচিরে এই দ্বিভাষিক যৌথকবিতা নিয়ে একটা বই হয়।  বইয়ের নাম দেওয়া হয় – ‘চতুরাঙ্গিক/ SQUARES’।  প্যাট কলকাতা যায়। ২০০৮ সালের শেষ দিনে বাংলা একাডেমিতে বইটা প্রকাশিত হয়। কোনোরকম বিজ্ঞাপন ছাড়াই বইটা মোটামুটি আকর্ষণ অর্জন করে। আমরা একটু অবাক হই। যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও ইস্রায়েলের কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার বইটা কেনে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কবিতাসভায় আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। দ্বিভাষিক যৌথকবিতার বই, তাও এতটা ভিন্ন সংস্কৃতির বাঁধনদার, বোধহয় খুব বেশি নেই। মার্কিন ভাষাকবিতার প্রধানতম কবি চার্লস বার্নস্টাইনও আগ্রহী হন বইটা সম্বন্ধে এবং একটা চমৎকার ব্লার্ব লিখে দেন।

চতুরাঙ্গিক/ SQUARES শুরু হয় এই লাইনটা দিয়ে কিভাবে শত্রুতাকে প্রতিবন্ধি করেছি আমরা / How we have disabled rivalry’। প্রথম লাইনেই আসে শত্রুতা, প্রতিবন্ধিতা, প্রতিরোধ ও ধ্বংসের কথা। প্যাট বলেছিলো এক সাক্ষাতকারে, আর্যনীল ছবিটার কথা আমায় বলে। প্রথমবার দেখাতেই ছবির রাজনৈতিক রূপকগুলো আমার দুর্দান্ত লাগে। আমার সেই সময়কার জীবনের সাথেও মিলে যায়। আমাদের গৃহহীনআবাসকেন্দ্রকে তখন শহরের মাঝখান থেকে দূরে সরিয়ে দেবার চাপ আসছে। প্রোমোটাররা রাজনীতিবিদদের সাথে হাত মিলিয়েছে। পুনর্বাসন তখন আমার জীবনে এক ঘোর বাস্তব। ওয়াজিদ আলির মতোই। আমার মনে হয়েছিলো শতরঞ্জ কি খিলাড়ি ছবিটা আমাদের অমনোযোগিতা বিষয়ক এক ছবি। অমনোযোগিতার কারণেই ওয়াজিদ আলি রাজনৈতিকভাবে অন্ধ। একইরকমভাবে জেনারাল ঊট্রামও অমনোযোগী, মুঘল রাজার প্রতি, তার সংস্কৃতির প্রতি। তাই সে বলে, He (the king) can’t rule, he has no desire to rule, therefore he has no business to rule’। ছবিটার একটা কেন্দ্রীয় বিষয় শাসন করার ইচ্ছাশক্তি। এটাই ছবিটার রাজনৈতিক স্মৃতি বিশ্লেষণের এক জোরালো দিক।      

এই কবিতায় ভাষায় ব্যবহারটা ছিলো খুব মজার। ততোধিক জটিলও।  প্যাট কিছুটা ইংরেজিতে লিখলো। তারপর আমি ওর ছত্রটা অনুবাদ করলাম বাংলায়। সেই লেখার প্রত্যুত্তরে এবার আমি লিখলাম মূল বাংলায়। সেটার ইংরেজি অনুবাদ করে প্যাটকে দিলাম। প্যাট সেইসময় অল্পবিস্তর বাংলা শিখছিলো। ফলে কোনো কোনো শব্দ নিয়ে সে কৌতূহলী হতো। প্রশ্ন তুলতো। এই সমস্ত আইটারেশনের মাঝে প্যাট আবার আমার ইংরেজি লাইন কখনো পাল্টে দিতো। একে খানিকটা ব্যাকল্যাশ তৈরি হতো। অনুবাদযাত্রায় এক উল্টোরথের দরকার পড়তো। খুব জমে উঠছিলো এই ভাষার খেলা। বাংলা ও ইংরেজি ভাষার মধ্যে কখনো এইভাবে কবিতার খেলা গড়ে উঠেছে বলে আমার জানা নেই।  

দাবা এমন এক গাণিতিক খেলা যার চাল, ফন্দি, পরিকল্পনা, সাদা-কালোর তুলনা ও শুদ্ধ জ্যামিতি (বর্গ) বারবার আমায়  নতুন করে মুগ্ধ করছিল। আমি চেয়েছিলাম কবিতার কাঠামো এই দিকগুলোকে আশ্রয় করুক। ফলে বইটার মধ্যে একটা চারকোণা ব্যাপার আসে – শরীরে ও আত্মায়। চারটে থিম এসেছিলো আমার তরফ থেকে। প্রথম দুটো স্বাভাবিক – বাস্তুচ্যুতি ও সাংস্কৃতিক সংঘর্ষ। ছবির যে দৃশ্যে পরাজিত ও প্রতারিত হবার যন্ত্রণা স্বীকার করেও ওয়াজিদ আলি শান্তভাবে তার রাজমুকুট তুলে দেয় উট্রামকে; এবং উট্রাম সেই ভারতীয় রাজমুকুটের সম্মান ও গুরুত্ব, মোগল বাদশার পরাজয় স্বীকার করার এই মহান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ‘বিরক্তিকর’ মনে ক’রে অস্বীকার করে – সেই দৃশ্যটাই হয়ে দাঁড়ায় আমার দ্বিতীয় থিমের প্রবেশপথ।   তিন নম্বর থিম ছিলো পরীক্ষা সাহিত্য ও তাকে ঘেরা এক আত্মসমালোচনা। নতুন ধারার লেখপ্রবণতার বশবর্তী হয়ে পরীক্ষা কবি পাঠকের সাথে যোগাযোগ করার সদিচ্ছা কখনো কখনো সরাসরি ত্যাগ করেন। একদিকে তার এই রোখ ও সংস্কৃতি যেমন যুক্তিযুক্ত (কেননা পাঠকের মুখ চেয়ে লিখলে প্রকৃত নতুন কিছু করা মুশকিল)  তেমনি উট্রামের ভাষা ব্যবহার করে তার সমালোচনায় বলা যায় – ‘He (the poet) can’t communicate, he has no desire to communicate, therefore he has no business to write’। আমার শেষ থিম – লিঙ্গযুদ্ধ (যা ওয়াজিদ আলি সত্যিকারের পুরুষ না এক পুরুষবেশী নারী – এই প্রশ্ন থেকে ওঠে)। এইগুলোই ছিলো আমার লেখার চার-দিক।

‘চতুরাঙ্গিক/SQUARES -এর ‘Knight/ঘোড়া’ শীর্ষক পরিচ্ছেদের প্রথম পাতা। ইংরেজি লেখা ও তার বাংলা অনুসৃজন দাবায় ঘোড়ার চাল, অর্থাৎ আড়াই-পা তফাতে সাজানো।

কাঠামোগতভাবে বইতে চারটে অধ্যায়, প্রত্যেকটায় ৮ পাতা, প্রতি পাতা দাবার বোর্ডের মত সাদা-কালো ছক কাটা।  যেকোনো দুটো বর্গে কবিতাংশ। একটা বর্গতে ইংরেজি, অন্যটায় তার বাংলা। বাংলা ও ইংরেজির পারস্পরিক অনুবাদও হুবহু নয়। ফলে দুভাষার দুটো কবিতা কিন্তু অল্প আলাদা। রুশ কবি ওসিপ মান্দেলশ্তামের কথা মনে পড়ে গিয়েছিলো – ‘কাঠামো যেন আধেয়কে স্পঞ্জের মতো শুষে নেয়’। 

পরের পাতায় একই আড়াই-পা চালে মূল লিপি ও তার অনুসৃজন। কোনটা মূল লিপি, কোনটা অনুসৃজন সেটাও বোঝার কোনো উপায় নেই। কখনো মূল লিপিটা বাংলায়, কখনো ইংরেজিতে, কখনো মিলে-মিশে। কবিতাটা প্রায় সমানভাবে দু-ভাষায় লেখা হয়েছিলো। 

দাবা এমন এক গাণিতিক খেলা যার চাল, ফন্দি, পরিকল্পনা, সাদা-কালোর তুলনা ও শুদ্ধ জ্যামিতি (বর্গ) বারবার আমায়  নতুন করে মুগ্ধ করছিল। আমি চেয়েছিলাম কবিতার কাঠামো এই দিকগুলোকে আশ্রয় করুক। ফলে বইটার মধ্যে একটা চারকোণা ব্যাপার আসে – শরীরে ও আত্মায়। চারটে থিম এসেছিলো আমার তরফ থেকে। প্রথম দুটো স্বাভাবিক – বাস্তুচ্যুতি ও সাংস্কৃতিক সংঘর্ষ। ছবির যে দৃশ্যে পরাজিত ও প্রতারিত হবার যন্ত্রণা স্বীকার করেও ওয়াজিদ আলি শান্তভাবে তার রাজমুকুট তুলে দেয় উট্রামকে; এবং উট্রাম সেই ভারতীয় রাজমুকুটের সম্মান ও গুরুত্ব, মোগল বাদশার পরাজয় স্বীকার করার এই মহান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ‘বিরক্তিকর’ মনে ক’রে অস্বীকার করে – সেই দৃশ্যটাই হয়ে দাঁড়ায় আমার দ্বিতীয় থিমের প্রবেশপথ…

চতুরাঙ্গিককে নিয়ে দুটি আশ্চর্য আলোচনা বেরোয়। একটা বাংলায়, অন্যটা ইংরেজিতে। ‘আশ্চর্য’ বলার কারণ এই ছোট, চতুষ্কোণ বইটা গোয়ার প্রকাশনী সিনামন-টীল থেকে বেরয় ও দ্রুত ফুরিয়ে যায়। বলাই বাহুল্য বাংলা-বাজারে কোনো রিভিউ হয়নি। আজ বইটা ফেরারী। তবু এই দুই আলোচক আন্তর্জাল থেকে বইটার সম্বন্ধে জানতে পেরে আমার সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে বই সংগ্রহ করে লেখাদুটি রচনা করেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা সুমনা দাস ২০১৪ সালের মে-মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালে লেখেন ‘সতরঞ্জ কে খিলাড়ী ও চতুরাঙ্গিক/SQUARES : যৌথযাপনে চলচ্চিত্র ও কবিতা’। সুমনা অনেকটা গবেষণা করেছিলেন, কলকাতায় আমার সাক্ষাতকার নেন, প্যাটের সাথে চিঠিতে কথা হয়। দ্বিতীয় লেখাটি জর্মণীর মার্টিন-লুথার বিশ্ববিদ্যালয়ের (হ্যালঅ-উইটেনবর্গ) অধ্যাপক রাহুল-পিটার দাস-এর লেখা ‘Games of Empires’। লেখাটা বেরয় জর্মনী থেকে প্রকাশিত ‘Transcultural Anglophone Studies’ সংকলনে। এই দুই গবেষকের প্রতি অবিমিশ্র শ্রদ্ধা রইলো।        

অধুনালুপ্ত প্রাচীন বইঠাসা পানশালা ‘ক্যাল্ডিজ’-এ সন্ধ্যার যৌথকবিতায় আর্যনীল মুখোপাধ্যায় ও প্যাট ক্লিফোর্ড।

আর্যনীল মুখোপাধ্যায়

দ্বিভাষিক কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, চিত্রনাট্যকার ও সম্পাদক। বাংলা ও ইংরেজী মিলিয়ে ৯টি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে Conversation about Withering (২০২১, ক্রিস্তিনা স্যাঞ্চেস লোপেসের সাথে), অনাম আন্দ্রেসের একক ইস্তাহার (২০২০), স্মৃতিলেখা (২০১৩, ২০১৫), সুনামির এক বছর পর (২০০৮), চতুরাঙ্গিক/SQUARES (২০০৯, প্যাট ক্লিফোর্ডের সাথে), late night correspondence (2008), হাওয়ামোরগের মন (২০০৪) ও খেলার নাম সবুজায়ন (২০০০,২০১১)। গদ্যগ্রন্থ ‘কিনারার রূপকথা’। চারটি প্রবন্ধের বই। ইংরেজী ও ইস্পানি কবিতা সংকলিত হয়েছে অসংখ্য বিদেশী কাব্য-আয়োজনে। কৌরব অনলাইন ও The MUD Proposal সম্পাদনা করেন। পেশা – কারিগরি গণিতের গবেষণা।

Share