।। পৌলমী গুহ ।।
সন্ধ্যার হা হা ধ্বনি,
সবৎসা গাভীর মতো উতলা হয়
প্রতীক্ষার অবসর
১
দূর থেকে সানাইয়ে সুর তোলে কেউ।
কেউ বমালসমেত ধরা পড়ে।
আর লাল ওড়নায় একটি গোধূলি,
সন্ধ্যাতারার জন্য ওঠে।
২
আমার রক্তে উপনিষদ বাজে।
বাজে ভৈরব।
শুদ্ধ ধৈবতে ভর করে,
আমি অজস্র ঢেউ গুনি।
জোছনার মীড়ে থাকে
কবেকার সিঁথির সাক্ষী।
সানাই বেজে চলে নাছোড়।
৩
সব ঋণ শোধ হয়ে গেছে।
এমনটাই হয়ে যায়,
যা বাকি থাকে
স্মৃতি এসে ভুলিয়ে দেবে।
৪
দুধে-আলতার পাথরে
ঝরে রজোঘ্রাণ।
একটি স্বপ্ন, আশীর্বচন হয়ে
যজ্ঞের আগুনে শুদ্ধ হয়।
সমান্তরাল
একটি ছায়ার হাতে তরবারি ধরিয়েছি।
অপরটি বেহায়া আঁচলে সুগন্ধী ঢালে।
দু’জনের কাজলে,
বহু যুদ্ধের ইতিহাস লেখা আছে।
যদিদং এবং…
যে ব্যথার যা গতি,
আলতো শুয়ে থাকে উঠোনে।
সন্ধ্যার হা হা ধ্বনি,
সবৎসা গাভীর মতো উতলা হয়।
ফুল ছড়িয়ে থাকে অনাদরে।
পৌলমী গুহ
নিবাস পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার। ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। বর্তমানে কোনো পেশায় যুক্ত নেই। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, ‘শিশির শিকারের পর’।