ভাষার ভাঙাচোরা হয়, বর্ণের উড়ান ধরা থাকে ছাঁচঘরে, আলো খেলে বেদনায়, বেদানার লালগুলো মিশে যায় রক্তকরবী দিনে, ভাষার আলাপে, কিংবা তোমার নীরবে, নীরবতায়
।। কৌসইক ।।
গাধার মতো লোডশেডিং
৫ ।।
তুমি কি শুয়ে কাঁদছিলে
আমি এই বানিয়ে তোলা মুকুট ছিঁড়ে
মেঘ উড়ছিল রাতকালীন
উড়ে যাচ্ছিল গংগার মতো
আর য্যানো উঠানে কুকুরগুলি দৌড়োচ্ছে
কী একটা পাখী ডাকলো
আহঃ হাওয়া দিয়ে বানানো
য্যানো পাটির উপর শুয়ে আছে কেউ
এভাবে দর্শন হোলো
এভাবে লুকিয়ে ছিলে তুমি
৬।।
উচ্চারণ বন্ধ রাখো
সবে মাত্র বিড়াল মারা গ্যাছে
মালসা ফেলে পালিয়েছে সকলে
ঘিরে ঘিরে আসা উচাটন ফুল
জামা কাপড় তোষক
তার পাশে মা এলো
পায়ের তলায় বড্ড উড়ে যাচ্ছে কান
শূন্য পথে
তোমার গোলাপি স্যান্ডেল
গতকাল গংগা স্নান সেরে
চিবোচ্ছে আর জাবোর কাটছে
কয়েকবার য্যানো তারা
কলিংবেল বাজিয়ে গ্যালো
৭।। প্রবঞ্চনা
কোলে শুয়ে আছে বাসনা
ফুল্লোরা নামে স্নান ক’রে
ফুলের মতো রক্ত
আহা গাছ মূলে
দুর্গার মতো চুল
সবুজ নামে
নামে এমন ক’রে
য্যানো মাথায় চড়ে বসবে
৮।।
গাছের ছায়া গাছেরই চারপাশে
রোদ্দুর হোলে ভেসে ওঠে জলে
পাহাড় থেকে পাহাড় কুড়িয়ে
পোয়াতি মা খুঁজি খালি
আর কালোয়ে শংখো গুঁড়ো
ঢেউয়ের দাগ-লাগানোগুলো
হ্যালান দিয়ে আছো
তারপর
রাত্তির
হাতির মতো নড়ে
৯।।
পাতা কাঁপা শুরু হোয়ে গ্যাছে
আয়না উড়ে নামানো পর্দায়
হাওয়ার মতো আগুন
আর খালি সোমবার আসে
মাছের গন্ধ মুখে লাগিয়ে
বেড়াল ঘুরে বেড়ায়
বিড়াল নয়
কোনো রূপ নয়
বিনুনীর মতো সে
কোনো তারিনী
মুখ তুলে তাকালে
ছলছল করে তুলো
তাড়া খাওয়া সাপের মতো
দুখলতা আসে
কৌসইক
পশ্চিমবঙ্গের শূন্য দশকের কবি। পেশায় চলচ্চিত্র সম্পাদক। জন্ম ১৯৮২। নিবাস, বারাসত, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, ‘ওলা ওলা’ (১৪১৫ বঙ্গাব্দ) এবং ‘শয়নযান ও সমুজ্জ্বল কালোয়ে’ (১৪১৯ বঙ্গাব্দ)