।। মীর হাবিব আল মানজুর ।।
চারদিকে অনেক আতেল দুম্বা,
পাছার ভারে তারা নড়তে পারে না
বড় হলে দুম্বার খামার করব
দুম্বার পাছা কেটে কেটে খুব মজা করে খাবো
সংঘটন সূত্র
কিছু হইলেই কি তুমি কবিতা লিখো!
না, কবিতা প্রিয়ত্বের সম্ভাবনা থেকে জারিত
কবিতা জারিত হয় স্মৃতি, কল্পনা ও অবচেতনার উপযুক্তি থেকে
কিছু হওয়া মানে আর কিছু না হওয়া
একটা ইতিবাচকতা মানে একটা ঘটনার অস্তিত্ব
একটা ইতিবাচকতা মানে একটা নেতিবাচকতার সদর্থকতা
সদর্থকতা ও নঞর্থকতার চর্চা একটা আলো কালো হওয়ার মতো
তোমার থাকা তোমার না থাকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে
ক্ষুদ্রতা মানে প্রাতিস্বিক একটি বালু
বালু মানে দলছুট নিঃসঙ্গতার কাতরতা
নিঃসঙ্গতা অজস্র সঙ্গীত্বের ধারণা থেকে উদ্ভূত
একটা বালু মানে না দেখা এক মরুভূমি
মরুভূমি অসংখ্য আলেয়ার নৃত্যস্থল
আলেয়া, পিয়াস থেকে জন্ম নেয়া কাতরতা
মরুভূমি মানে একটা ছাতা ও পানির আকাঙ্ক্ষা
ছাতা ও পানি মানে চিরন্তন আশ্রয়ের প্রতি ছোটা
কিছু হলেই কি কবিতা লিখা যায়?
কিছু হওয়া মানে কিছু হওয়া নয়
কিছু হওয়া মানে সম্যকের একাংশের বিস্তার
কিছু হওয়া মানে বিশালতা সম্পৃক্ত ক্ষুদ্রতার দৃশ্যততা
তোমার চোখ নির্ঝরের গান হবার কথা
অথচ তোমার চোখে পরিচ্ছন্ন পরিত্যাজ্যতা
সমুদ্র, সমুদ্র মানেই ইতিহাস
সমুদ্র আল্লাকে স্মরণ করায়
সমুদ্র নিভৃত অসংখ্য লবণকণার গান
সমুদ্রের নামে কী লিখব!
সেখানে আমার মা’র নাম লিখা
সেখানে তোমার নাম লিখা
পাহাড় মানে হচ্ছে অত্যুচ্চ নির্মমতা
নির্মমতা এক প্রবল যৌনতার উদ্ভব ঘটায়
নির্মমতা অসংখ্য জলধারাকে সচল রাখে
পাহাড় পর্বত প্রচণ্ডতা প্রাবল্য ও দক্ষিণের দিকে যাওয়া মেঘ প্রভূত আবহের জন্ম দেয়
কিছু হলেই কবিতা লিখা যায় না
কবিতা প্রিয়ত্বের সম্ভাবনা থেকে জারিত
কবিতা পাহাড় ও পাথারকে রাস্তার দু’ধারে নিয়ে আসে
কবিতা সবুজকে শোষণের শক্তি দেয়
স্মৃতি মানে অগণন নক্ষত্রের আঁশটে গন্ধ
কল্পনা, বহুল কীটের এক প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠা
অবচেতনার উপযুক্তি, এক সুপ্ত ইন্দ্রিয়কে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দিয়ে জাগানো
একটি স্মৃতি, অজস্র স্মৃতির ইতিবাচকতা
সঙ্কল্প মানে পরিত্যাজ্যতা
একটি অনুপস্থিতি একটি আকাঙ্ক্ষার উদ্ভব ঘটায়
কিছু হইলেই কিছু লিখা যায় না
কিছু লিখা অনেক অনিশ্চয়তার দূরাভোগ
কিছু লিখা অনেক চাতুরীর পিরিতি
ফলে কিছু হওয়া মানে এক দূরতর কাজের সম্যক বিস্তার
ফেব্রুয়ারি ১৯
এই বিকাল, ঘুম ঘুম ছায়ার রোশনি
গ্রাম, ফজিলত নামের মেয়ে
গ্রাম, যৌনাশ্রয়ের সাথে দু’প্রজাপতিবোন ধীরলয়তা
হে ভঙিমা,
তুমি গ্রামের সঞ্চালন তাহিতি
আমার ইগো ফেটে বেরুচ্ছে কাঠালের স্বর
যে প্রেম মেদুরমেহনে নারী
গ্রাম শে অলীক সরাইখানা
তোমার সিনট্যাক্স সবুজ আফগানি চোখ
কোন পুস্তিকায় দেখা মিলানের ফটোগ্রাফ!
গ্রাম, জেয়াফতি গোস্তের সালুন
আলবা চালের খাটা
তোমার সিন্ধুসবুজ চোখ কোন ভাষায় বর্ণিত!
সমস্ত নারী গ্রামীণ নন্দনঘ্রাণ
গ্রাম, ফজিলত নামের মেয়ে
অদ্ভুত দীর্ঘ দেহকায়া নিয়ে
সবুজে ছেনাললাস্য নিয়ে ঘুমের সফরে
এক স্বপ্ন সারারাত তোমার দিকে লকলকে বৃত্তি
তোমার চলমানতা এক দূর পাপবোধ
ক্রমান্বয়ে
ফজিলত নামের মেয়ের দিকে ঘেষটে ঘেষটে
১২ জুলাই
দেওতিমা,
আমি কখনোই একা না
তুমি বসে আছো কী সুন্দর সবুজ গালিচায়!
যেন আরবি কবিতা লেখি, যেন উর্দু গজল করি
এভাবে আনতে চাই সুর আমার গীতিতে
উর্দু গজল থেকে তোমাকে নিব
মেহদি হাসান, ও মেহদি হাসান
বাঙলা প্রতিটা লফজ গলায় টেনে টেনে দেখলাম
উর্দুর মতো এমন মিউজিক করে না
আজকে কালাই রুটি ছিড়তে ছিড়তে তোমার জন্য পিরিতির কাসিদা লিখব, বাবুশকা
চারদিকে অনেক আঁতেল দুম্বা,
পাছার ভারে তারা নড়তে পারে না
বড় হলে দুম্বার খামার করব
দুম্বার পাছা কেটে কেটে খুব মজা করে খাবো
আজ দুইলাইন লেখলাম
কাল দুইলাইন লেখব
সাপ্তাহখানেক গেলে নতুন কবিতা পোস্ট করব
মীর হাবীব আল মানজুর
বাংলাদেশের তরুণতম কবিদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর কবিতায় নিজস্ব স্বর ও কথনভঙ্গিমা ইতোমধ্যেই অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রাতিষ্ঠানিক পত্র-পত্রিকাইয় সেভাবে লেখেন না বললেই চলে। অন্তর্জাল পত্রিকা ও ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে কবিতা লিখে চলেছেন। ১৯৯৯ সালে জন্ম, ঢাকাতে। কওমী মাদ্রাসায় পড়াশোনা।