আজ শুক্রবার, ৯ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

শীঘ্রই ফিরিবো– সুবর্ণা ডাকে

।। আবির আবরাজ ।।

তোমারে বলবো, স্বাধীনতা
বাংলার ইতিহাস
তার জন্মকথা নিয়ে নির্বোধ বাহাস

বলো দেখি—
১৬ই ডিসেম্বর নাকি ২৬-এ মার্চ?
ঠিক কবে বাংলা হঠাৎ বাংলাদেশ হয়ে গেল?

কোনো বেদনায় প্রতি শীতে পাতাগুলি ঝরে পড়ে মৃত শিউলির মতোন?
এমনসব বিষয়ে বসাবো মুশায়রা যখন

নিচের সরুপথে হেঁটে যাইতেছে ছেলেরা তখন
ওরা মেয়েদের পাশাপাশি—
তোমারে দেখাবো এই দৃশ্য

শামুককুড়ানির জন্য কবিতা

খুদকুঁড়া, ছোট মাছ, ভাত, জাউ, পানার মধ্যে কচুরি থেকে টোপা সবই খায়। সর্বভূক তবু হাঁসগুলিরে তোমার শামুকই খাওয়াতে হবে। কুড়াতে যাও গঁজাইড়ার মাঠে। এটা দৃশ্য।
নেপথ্য বলে অন্য কথা। সেখানে কায়দা করে তুমি শামুক তোলার ফাকে ফেলে আসো মন। কে পাবে বলে, তা এখনও গোপন। পাবে সত্য। তুমি জানো বলেই তা সূর্যাস্তের মতোন সত্যতা।
প্রতি বিহানে সে এই শুষ্কতার, এই বর্ষায় ডুবে গিয়ে শীত এলে গতর উদাম করে বিস্তার হওয়া মাঠটার আড়াআড়ি যায়, যাবে। যার প্রেমে তুমি আগেই পড়ে ছিলা, আরও পড়বা বলে—
কেবলই মন ফেলতে চলে যাও শামুক কুড়াবার ছলে।

মুকুল ফুটিছে কাননে

কাগজ, তুলি আর রঙের থ্রিসাম— তুমি ধীরে হয়ে উঠছো মায়াবী পোর্ট্রের্ট। যেন পাখি তুমি, মধুখেকো। উড়বে বলে, ক্যানভাসকে অস্বীকার করে রটিয়ে দিচ্ছো বিদ্রোহের ছোঁয়াচ। এখন হাওয়া বড় অনুকূল নয়, তবে বলা যেত—
ধিক সে হাসনাহেনা নিক, ততোটাই ধিক; তোমার ঠোঁট ধরেছে যেভাবে ঘ্রাণ তার অধিক আর মিষ্টতাও তাই।
তুমি পাখি, বিদ্রোহ তুমি উড়বে বাসনায় চোখ নয় যেনো কোটরে জমিয়েছ অগ্রহায়ণী সূর্যের সুতীব্র রোশনাই। আর বলছো— হাওয়া, সে প্রতিকূল হোক যতোটাই; আমার উড়ালপথ অনুসারে, মুকুল ফুটিছে কাননে, চলো সেথা মধু ও ঘ্রাণের লালচে পাশাপাশি উড়ে যাই।

স্নোফল

ইয়াতিমখানা এখানে পুরাতন নাম ধরে আছে কেবল
কোরানের গুনগুন ফেলে চলে গেছে ফেরেশতার দল
বৃষ্টির মৌসুমে ভিজে কালভার্ট
একা নয় সে,
বাফাদার সিন্দাবাদ হয়ে আলোর বিভ্রাট আছে
ভয়ের মতোন রঙহীন যখন শুধুই কালো সমস্ত বাতাসের কণা
অলৌকিক শব্দ ভাসে চারপাশে —
ভয় পেও না- সোনা
গায়েবী মাজার সাগুনরূপে পাঠিয়েছে ঝাড়ফুঁক
যেন ঢিল পড়েছে চাকে,
তাই ঝাঁকেঝাঁকে ধুন ধরা মধুপুক
চারদিকে উড়ে উড়ে রটিয়েছে মোমবাতির আলো
যেন আসমান চিড়ে সহসা বিদ্যুৎ’ও চমকালো
এইখানে এইররূপ বহু সিনারিও মিশে আছে
ভোগ হয়ে কারোর সিজদার কাছে
প্রিয়জনের চলাচল
সমস্ত কোলাহল ঠিকঠাক রেখে ঘটাচ্ছে নৈঃশব্দের স্নোফল।

ছাদে এসো, তোমাকে চাঁদে নিয়ে যাবো

ছাদে এলে তোমাকে চাঁদ তো দেখাবোই
তার আলোর সন্ধানে দেবো মেঘের উড়াল
বিকালের দিকে এসো আপার নিরলে
এখন সময় শুষ্ক; বিবাহের কাল

তোমারে বলবো, স্বাধীনতা
বাংলার ইতিহাস
তার জন্মকথা নিয়ে নির্বোধ বাহাস

বলো দেখি—
১৬ই ডিসেম্বর নাকি ২৬-এ মার্চ?
ঠিক কবে বাংলা হঠাৎ বাংলাদেশ হয়ে গেল?

কোনো বেদনায় প্রতি শীতে পাতাগুলি ঝরে পড়ে মৃত শিউলির মতোন?
এমনসব বিষয়ে বসাবো মুশায়রা যখন

নিচের সরুপথে হেঁটে যাইতেছে ছেলেরা তখন
ওরা মেয়েদের পাশাপাশি—
তোমারে দেখাবো এই দৃশ্য

খইলস্যা মাছের মতো তুলে নেবো তার ভেতরের প্রেম
দৃষ্টির দরদ
বলবো তোমাকে গোপন জনপদ
সোনা আবিষ্কৃত হও

যদিও ভাস্কো দা গামা কেউ নয় আমার
তুমি তো কিছু একটা হও
হও না?

আমি যুদ্ধাপরাধী আর
তোমার বাসাটি যেনো শত্রুঘাটি
যেখানে প্রেমের পাশাপাশি গুটিসুটি থাকে আমার ভয়

তারে জয় করিয়ো
হইয়ো উৎপলের কবিতার মতোন আধুনিক

ফাঁকি দিয়ো আব্বাকে
ছাদে যেতে হবে
মিথ্যা করে বোলো, তাকে—
কী জানি কী জরুরি কথা, শীঘ্রই ফিরিবো– সুবর্ণা ডাকে।

অ্যাসাসিন ৭

প্রতিটা মৃত্যুই ভেঙে যাওয়া বাঁচার ভ্রম
শীতার্তদিন করে রৌদ্রতামাশা
বসন্তের বাইরেও কিছুদিন থাকে এমন
ফুলের জাতক
অত্যুষ্ণ পরিচয় ভুলে
গ্রীষ্ম মাখে কুয়াশার আতর
স্পর্শের অভাবে মরে যায় অনেকে
অনেকেই স্পর্শকাতর।

আবির আবরাজ

কবিতা লেখেন। এখনো কোনো বই প্রকাশিত হয়নি। কবিতার পাশাপাশি ফিকশনও লেখেন
অনুবাদ করেন। পড়াশোনা করছেন বিবিএ, ফাইনাল ইয়ারে। বসবাস ঢাকায় থাকেন ।

Share

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top