আজ বৃহস্পতিবার, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশ: গোদি মিডিয়া কেন মিথ্যা প্রচার করছে?

পশ্চিমবঙ্গের গোদি মিডিয়ার টিভি চ্যানেলগুলি খুললে দেখা যাবে, তারা তারস্বরে প্রায় সারাক্ষণ বাংলাদেশে ‘এক ভয়ঙ্করতম পরিস্থিতি’র কথা ছবিতে-বার্তায় উগড়ে চলেছে। এই ‘বাংলাদেশ রোগটা’ আরও বেড়েছে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ইস্কন থেকে বিতাড়িত জনৈক চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির পর। ৫ অগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর পর চারদিন মতো বাংলাদেশে যখন কোনও কার্যকরী সরকার বা প্রশাসন ছিল না, তখন বেশ কিছু জায়গায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব ঘটেছিল। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর সেই গোলযোগ ধীরে ধীরে প্রশমিত হয় এবং সরকার ও জনসাধারণের এক বড় অংশ কার্যত রাস্তায় নেমে হিংসা ও ভাঙচুরের ঘটনাকে প্রতিহত করে। ফলে, সেইভাবে ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে তেমন গুরুতর অভিযোগও আর ওঠেনি। এখানকার হাসিনা-প্রিয় মিডিয়া এরপর কিছুটা চুপও মেরে যায়।

কিন্তু দেখা গেল, গত ২৫ নভেম্বর ইস্কনের প্রাক্তন সাধু চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির পর ভারতীয় গোদি মিডিয়া আবারও তেড়েফুঁড়ে আসরে নেমে পড়েছে। বলাই বাহুল্য, ইস্কনের যে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক এবং বিপুল-বিস্তৃত রাজনৈতিক ও অর্থের প্রভাব, তা ব্যবহার করে তারা বিষয়টিকে এক হই-হট্টগোলের পর্যায়ে নিয়ে যায় এবং এই ধারণা তৈরি করে যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষত হিন্দুরা সর্বতোভাবে বিপন্ন ও আক্রান্ত; যদিও বাংলাদেশের হিন্দু মহাজোটের পরিচিত ও জনপ্রিয় নেতা গোবিন্দ প্রামাণিক এই ধারণাকে অতিরঞ্জিত বলে বারবার প্রেস ও মিডিয়ার সামনে সশরীরে জানান দেন। অথচ গোদি মিডিয়াতে বিষয়টাকে ক্রমেই ব্যক্তি চিন্ময় দাসের মুক্তির সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণকে সমতুল করে দাঁড় করানো হয় যার পিছনে স্পষ্টতই রাজনৈতিক অভিসন্ধিটা অনেকেই বুঝতে পেরেছেন। উল্লেখ্য, আদালত চত্বরে প্রথম যে দিন চিন্ময় দাসকে পুলিশ নিয়ে আসে, সেদিন তাঁর অনুগামীদের বিক্ষোভ-উদ্ভুত বিশৃঙ্খলায় সাইফুল ইসলাম নামে একজন আইনজীবী গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে পৌঁছলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই একটি মৃত্যুই কিন্তু বাংলাদেশে ব্যাপক অশান্তি ও দাঙ্গা সৃষ্টির পক্ষে যথেষ্ট ছিল। কিন্তু সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জনসাধারণের পরিণত হস্তক্ষেপে এই ঘটনা কোনও তুমুল বিপর্যয়ের দিকে এগোয়নি। অথচ, চিন্ময় দাসের জামিন না পাওয়াকে কেন্দ্র করে এখানকার গোদি মিডিয়া এক অসম্ভব ঘৃণা ও বিদ্বেষ প্রচারে নেমে পড়ে।

মনে রাখতে হবে, চিন্ময় দাস একজন বাংলাদেশি নাগরিক, নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে বাংলাদেশ সরকার গ্রেফতার করেছে, বর্তমানে তিনি বিচারাধীন। তাঁর মুক্তির দাবি দেশের বাইরে থেকেও উঠতে পারে, বাংলাদেশের মধ্যেও ফরহাদ মজহার তাঁর মুক্তির দাবি তুলেছেন, এ নিয়ে কোনও অসুবিধাও নেই। কিন্তু সেই মুক্তির দাবিকে যদি সাম্প্রদায়িক মিথ্যাচারের সঙ্গে মিশিয়ে ফেরি করা হয়, তবে তা দু’ দেশের সংখ্যালঘুদের পক্ষেই ভয়ঙ্কর। পশ্চিমবঙ্গে দেখা গেল, প্রায় সমস্ত গোদি মিডিয়াই গত এক মাস ধরে একতরফা ভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে গলা ফাটিয়ে চলল। এই নিপীড়নের পক্ষে তারা যে খুব তথ্য পেশ করতে পারল তা নয়, কিছু ফেক ভিডিও ও নিউজ সরবরাহ করে সেগুলিকেই বারবার দেখিয়ে চেষ্টা হল এক দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি করার। তার সঙ্গে চলল সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও কুৎসিত সব প্রচার। এই প্রচারে বহু মানুষই বিভ্রান্ত হল। এমনকী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলে বসলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যেন বাংলাদেশে শান্তি বাহিনী পাঠানোর জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জে দরবার করে (অথচ, শান্তি বাহিনী কখনই একটি বিদেশি রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রে পাঠাতে পারে না)। বামপন্থী দলগুলিও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে সোচ্চার হল, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন অফিসের সামনে বিক্ষোভও দেখাল। এই লোক ঠকানো কারবার বেশ কিছুদিন মসৃণ গতিতে বহমান রইল। এখন অবশ্য তা অনেকটাই ম্রিয়মান, কিন্তু এক চাপা ঘৃণা ও ক্ষোভ বেশ ভাল মাত্রাতেই রয়েছে।

কিন্তু মিথ্যাচারের ওপর তো দিন চলে না। তার ওপর যখন সোশ্যাল মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তির দুনিয়ায় সমস্ত খবরই হাওয়ার বেগে ছোটে। সম্ভবত ভারত সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রও বাংলাদেশ থেকে খবর নিয়ে দেখেছে যে, যা রটনা হচ্ছে ঘটনা তা নয়। ফলত, বিদেশ সচিবকে বাংলাদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হল, যিনি নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দৌত্য সেরে দু’ দেশের বোঝাপড়ার ভিত তৈরি করবেন। কারণ, বর্তমানে এমনিতেই কোনও প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভাল নয়, তার ওপর বাংলাদেশের সঙ্গে যে সু-সম্পর্ক ছিল তা যদি নষ্ট হয় তাহলে আমাদের দেশ এই উপমহাদেশ অঞ্চলে একেবারে এক ঘরে হয়ে পড়বে। তার উপর বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলিয়ে পুরনো সু-সম্পর্ক নষ্ট করারও কোনও মানে হয় না। কিন্তু তা নষ্ট হতে পারে যদি ভারতীয় গোদি মিডিয়া একতরফা ভাবে বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা প্রচার করে যায়। খবরে প্রকাশ, দু’ দেশের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক মোটের ওপর সফল এবং ভারত সরকার জানিয়েছে যে তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আভ্যন্তরীণ কাজকর্মের ব্যাপারে কোনওভাবেই নাক গলাবে না। ইউনুসের সরকার যখন নিজেরাই প্রেস বিবৃতি দিয়ে বলেছে যে ৫ অগস্টের পর তাদের দেশে মোট ৮৮টি সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে যার মোকাবিলায় সরকার ৭০ জনেরও বেশি মানুষকে আটক বা গ্রেফতার করেছে, তখন তারা যে এ ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন ও সক্রিয় তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। তবে এ নিয়ে যে দু’ দেশের মধ্যে কোনও চাপানউতোর থাকবে না, তাও বলা সম্ভব নয়। দেখাও গেল, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ২০ ডিসেম্বর লোকসভায় এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংখ্যালঘু নিপীড়নের ২২০০টি ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত এই তথ্য সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের কোনও প্রত্যুত্তর পাওয়া যায়নি, হয়তো তারা অভিযোগটি খতিয়ে দেখে এর যথাযথ উত্তর দেবে। এইসব অভিযোগ ও প্রতি-অভিযোগ নিয়ে আমাদের কৌতূহল ও শঙ্কা থাকবে, এগুলির সত্য-মিথ্যা নিয়েও বিচার চলবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কোনও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেনি যেখানে দু’ দেশের মধ্যে আলোচনা ও মীমাংসার কোনও অবকাশই আর নেই। তবুও গোদি মিডিয়ায় এমন এক উগ্র লাগাতার প্রচার চলেছে যা নিয়ে আমাদের সকলেরই বেশ আশঙ্কার কারণ আছে।

কিন্তু কেন বা কোন উদ্দেশ্যে এ রাজ্যের গোদি মিডিয়া ও একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতারা বাংলাদেশ সম্পর্কে এমনতর কুৎসা প্রচার করে চলেছেন? উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর কলকাতায় ‘বিজয় দিবস’এর অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এ নিয়ে আর কোনও উচ্চবাচ্য করেননি, বরং তিনি বলেছেন যে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না এবং এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার যা করবে তাতে তাঁর সম্মতি থাকবে। চিন্ময় দাসের উকিল রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে যে কথাবার্তা বলেছেন তাতে কখনই এমন কিছু বলেননি যে ও দেশে সংখ্যালঘুরা ভয়ঙ্কর ভাবে বিপর্যস্ত ও আক্রান্ত। কিছু ঘটনাবলী নিশ্চয়ই ঘটেছে (ভারতে সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে যা আকছার ঘটছে), সংখ্যালঘুদের মধ্যে কিছু আতঙ্কও বিরাজ করছে, যা অন্তর্বর্তী সরকার স্বীকারও করেছে; কিন্তু এই আতঙ্ক আরও সহস্র গুনে বর্ধিত হচ্ছে এখানকার গোদি মিডিয়ার তাণ্ডবে। বাংলাদেশের অনেকেই (হিন্দু সহ) বলছেন, যেভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতনের গল্প ছড়ানো হচ্ছে তা ও দেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের বরং আরও বিপদ ডেকে আনছে। কারণ, এই অযাচিত মিথ্যাচার কিছু মানুষকে খেপিয়ে তুলছে।

দেখাই যাচ্ছে, এই অশান্তি সৃষ্টির কাজটি তীব্রতা পেয়েছে বিশেষ করে চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির পরে। সে গ্রেফতারি যথার্থ কিনা তা বাংলাদেশের আদালত বিচার করে দেখবে, তার ওপর এ দেশের উৎসাহী মানুষজনের নজরও থাকবে। আমরা জানি, কিছুদিন আগে সিলেট জেলার সুনামগঞ্জে হিন্দুদের অনেকগুলি বাড়িঘর পোড়ানো হয়েছে। এই ঘটনার সূত্রপাত জনৈক হিন্দুর একটি প্ররোচনামূলক ফেসবুক পোস্ট থেকে। এই ঘটনাতেও ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার সঙ্গে যারা বাড়িঘরের ওপর হামলা চালিয়েছে তারাও রেহাই পায়নি। বোঝা যাচ্ছে, সাম্প্রদায়িক ঘটনাবলীতে যে ধর্মের মানুষেরাই ইন্ধন দিক বা গণ্ডগোলে অংশ নিক না কেন, কাউকেই রেয়াৎ করা হচ্ছে না। অর্থাৎ, অন্তর্বর্তী সরকার এ ব্যাপারে সদর্থক পদক্ষেপ নিচ্ছে। যদি তেমন কোনও ঘটনা থাকে যার সমাধানে সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, সে ঘটনা সম্পর্কে সরকারের নজর কাড়া যেতে পারে, সমালোচনাও উঠতে পারে, কিন্তু তাই বলে বেপরোয়া সংখ্যালঘু নির্যাতনের গুজব ছড়ানো দু’ দেশের পক্ষেই বিপজ্জনক।

ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত বিজেপি’র মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বাংলাদেশের ওপর ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’এর হুমকি দিয়েছেন। ও দেশেরও প্রাক্তন এক সেনাকর্তা চারদিনে কলকাতা দখলের ডাক দিয়েছিলেন। এইসব গুলতানির নিশ্চয়ই কিছু প্রভাব আছে, কিন্তু দু’ দেশের সরকারেরই উচিত এই ধরনের আলটপকা প্ররোচনামূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া। এখানকার একটি টিভি চ্যানেলের সঞ্চালক তো ‘চট্টগ্রাম দখলের’ ডাক পর্যন্ত দিয়েছেন। এইসব উত্তেজনাকর বক্তব্য ছড়ানোর উদ্দেশ্যই হল ১) নিজেদের চ্যানেলের টিআরপি বাড়ানো ২) ধর্মীয় সম্প্রদায় ভিত্তিক দল ভারী করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন এবং সর্বোপরি ৩) ইস্কন জাতীয় কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থার নানাবিধ স্বার্থপূরণ। কিন্তু সব থেকে বড় কারণ সম্ভবত শেখ হাসিনার পতনকে এ দেশের অনেকেই মেনে নিতে পারছে না। কারণ, আমাদের দেশের অনেকেরই অবচেতন বা সচেতন মনে বাংলাদেশকে একটি উপনিবেশ বা অঙ্গ রাজ্যে হিসেবে গণ্য করার মানসিকতা বেশ ভালোরকমেই আছে। তারা ভাবতেই পারে না যে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের নিজস্ব একটা চলার পথ নির্মিত হতে পারে। তার উপর, দেশভাগের কালিমা হিসেবে হিন্দু-মুসলমানের বিবাদকে এখনও বহু হিন্দু উচ্চবর্ণ ও উচ্চকোটির লোকেরা মনে করে যে তার চূড়ান্ত ফয়সালা হয়নি, ফলে, সেই লড়াইটা বাকী আছে। এই ভিত্তির ওপরে দাঁড়িয়েই বিজেপির মতো দলগুলির এ রাজ্যে রমরমা। বাংলাদেশেও এমনতর প্রবণতা সমান ভাবে বহমান– সেখানকার ইসলামিয় কিছু দল ও ব্যক্তির ধর্মীয় অনুশাসনের বাতাবরণ তৈরির বাসনা প্রবল। এইসব বিষাক্ত ক্ষতগুলি থেকে কখনও কখনও রক্তক্ষরণ হয়; এতে শুধু মনের বিষ ও ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থই তৃপ্ত হয় না, অর্থনৈতিক মুনাফারও হিল্লে হয়। তাই, লড়াইটা দু’ দেশের উদার মনোভাবাপন্ন মানুষজনের মিলিত লড়াই, একসঙ্গে বেঁচে থাকার একান্ত প্রচেষ্টা।

মনে রাখতে হবে, এ দেশে এখনও উমর খালিদ সহ বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে বছরের পর বছর কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তাঁরাও কিন্তু দীর্ঘদিন জামিন পাচ্ছেন না। কারাবন্দী অবস্থায় অসহনীয় নীরব নির্যাতনে স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এই উপমহাদেশের দেশগুলির গণতন্ত্রের পরিসর বারেবারেই প্রশ্ন ও আক্রমণের মুখে পড়েছে। তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক ও সত্য-মিথ্যার দোলাচলও আছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হল, প্রত্যেকটি দেশের সার্বভৌমত্বকে যেন মান্যতা দিয়ে সকলেই প্রতিবেশীসুলভ আত্মীয়তা বজায় রাখেন ও সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে হানাহানির হাত থেকে মানবসভ্যতাকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন।

Share

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top