।। শৈবাল সরকার ।।
তেমন কোনও গান বাকি নেই আর
ফাঁকা দেওয়াল জুড়ে
একটা মাছের কাঁটা
গোল হয়ে ঘুরে যাচ্ছে শুধু
লেটার বক্স
তোমার ভ্রমণ পথে
আচমকা সুবাতাস
পথের ওপরে তার ছায়া
দীর্ঘতর
এখন শ্রাবণ মাস
দূরে কোনও লোকালয়ে
দু’একটা ঘর চিনে
বসবাস করে
সেইখানে চিঠি দিও
অবসর মনে আসে যদি
পার্কিং মিটার
আরও কিছু খবর পাঠাও
মাটির বাড়ির পাশে
যাতে তার তুকতাক
সাপের ছায়ার মতো নিরাপদে
ফিরে যেতে পারে।
বিগত পাখির পালক
তোমাদের হাতে দিয়ে
চলে গেছে ট্র্যাপিজের লোক
আরও কিছু খবর পাঠাও
যাতে হাওয়া আসে
তাকে কেউ সাথে নিয়ে যায়
স্ক্র্যাপবুক
আরও কিছু খবর পাঠাও
তুলে রাখি
প্রবীণ এক জাহাজের পাশে
ডুবে আছে
ইতিহাসের অজানা সংখ্যা
তাকে ঘিরে
প্রজাপতি রঙের মাছ
সিঁধকাটা
জলের চুরি যাওয়া
বাসনকোসন
জালের আয়ত্বে যা কিছু
ভেসে ওঠো
ডায়ালটোন
তেমন কোনও বাড়ি নেই আর
বৃষ্টির শব্দে যা কেঁপে উঠবে ফের
হলুদ এক আলোর সাথে
পোকাদের নাচের আসর
আর তার বেড়ে ওঠা ছায়াপথ ধরে জল
উঠে আসে ঘরের ভেতরে
তেমন কোনও গান বাকি নেই আর
ফাঁকা দেওয়াল জুড়ে
একটা মাছের কাঁটা
গোল হয়ে ঘুরে যাচ্ছে শুধু
শৈবাল সরকার
পশ্চিমবঙ্গের শূন্য দশকের অন্যতম কবি। পড়াশুনা, বেড়ে ওঠা ও স্থায়ী বসবাস পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার লিলুয়া চকপাড়ায়। হাওড়া জেলা থেকে শূন্য দশক জুড়ে প্রকাশিত হওয়া পত্রিকা ‘লালন’ পত্রিকার অন্যতম সংগঠক এবং কয়েকটি সংখ্যার সম্পাদক। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘একুশ নম্বর ভালো থাকা’ প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালে, ‘লালন’ প্রকাশনা থেকে। এরপর তাঁর আরও দুটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ, ‘বেশি বয়সের প্রেমের মতো।’ সাম্প্রতিক কাব্যগ্রন্থ, ‘পুরোনো কবিতা’, ২০২০ সালের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় ‘আদম’ প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। শৈবাল পেশায় শিক্ষক। কবিতার পাশাপাশি গানও লেখেন। অবসরে গীটারে সুর তোলেন, গেয়ে ওঠেন গান। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ান, মালভূমি-পাহাড়-সমুদ্র-অরণ্যে।র
খুব আনন্দ পেলাম।