মন্নুজানের ছেলেরা

।। ফাতেমা রিয়া ।।

মন্নুজান ঝিমোয়। তার জ্বর বাড়তে থাকে। খাতিরের কারণটা বোঝা যাচ্ছে। এমনি সময় নেতানো মুড়িও জোটে না। আজ জুটেছে তার মানে বায়না আছে। মন্নুজান উঠে পড়ার কথা ভাবে। ছেলেদের আর বিশ্বাস সে করে না। মন্নুজানের কিছুটা সোনার গয়না ছিল। সেসব বেঁচে দুই হারামিকে দোকানও পাতিয়ে দিয়েছিল। দুইমাসের মধ্যে দোকান শেষ, তারপর মন্নুজানকেও ঘর থেকে খেদিয়ে দিলো।

মন্নুজানের ছেলেরা

ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশে কালো মেঘ।  মন্নুজান বেগম হাতের লাঠিটা ধরে আস্তে আস্তে এগোল। ধারে-কাছে কোনো দোকান দেখা যাচ্ছে না। সে দাঁড়িয়ে আছে হাতিরঝিল লেকের কাছে। একটু দূরেই ফুচকার দোকানের ছাতা। সেখানে আশ্রয় নেয়া যায় কিন্তু একটু পরেই ভাগিয়ে দেবে। মন্নুজান অগত্যা গাছের ছায়া খুঁজতে লাগলো। পরনের শাড়িটা ভিজে গেলে সমস্যা। ভিজা কাপড়ে ভিক্ষা করা যায় না। মানুষজন আজেবাজেভাবে তাকায়। এমন কী বদলোকেরাও কাছে ঘেঁষতে চায়। মন্নুজানের বয়স মনে হয় ৭০ হবে।

দুইটি ছেলে। তারা রিকশা চালায়। তবে মন্নুজানকে ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তারা থাকে হাজারীবাগ বস্তিতে। মাঝে মাঝে মন্নুজান্ন সেখানে যায়। যদি ছেলেদের দয়া হয়। তবে দুই ছেলের বউই খবিশ। দেখতেও শাঁকচুন্নীর মতো, আচার-ব্যবহার ও তাই। একবার মন্নুজানকে চ্যালা কাঠ দিয়ে মারতে এসেছিল। তবে মন্নুজান তার নাতিদের ভালোবাসে। দুই ছেলের ঘরে দুইটা ছেলে মেয়ে। মেয়েটার নাম, গোলাপী আর ছেলেটার নাম মুকুল। তাদের বয়স ৬-৭-এর মতো। তারা অবশ্য মন্নুজানের ব্যাপারে উদাসীন। মন্নুজান হাজারীবাগ গেলে বাচ্চাদের জন্য চকলেট, চিপস কিনে নিয়ে যায়। নাতিদের যাবতীয় আগ্রহ খাবারের দিকেই। তবুও মন্নুজানের ভালোলাগে। তার সামনে বসেই গপগপ করে খায়।

মন্নুজান অবশেষে একটা বড় গাছের ছায়া খুঁজে পেল। তবু এর মধ্যেই সে ভিজে গেছে। জ্বর আসবে মনে হয়। মাথা টলমল করছে। তার আবার মনে হলো, নাতিদের কথা। অনেক দিন যাওয়া হয় না। বৃষ্টি থামলে হাজারীবাগের দিকে রওনা হতে হবে। মন্নুজান লাঠিটা পাশে রেখে গাছের নিচে বসে পড়লো। তার মনে হল, ফেলে আসা সংসার জীবনের কথা। মন্নুজানের স্বামী ছিল গৃহস্থ কৃষক। জমি ছিল অনেক। অগ্রহায়ণ মাসে রাশি রাশি ধান উঠত।  মন্নুজান আর তার জা মিলে কত কাজ সকাল থেকে সন্ধ্যা। একদিন এমন বৃষ্টি। ওদিকে ধান শুকাতে দেয়া হয়েছে রোদে। অসময়ের বৃষ্টি এসে শুকনো ধান গুলোকে একদম জবজবে করে গেলো। মন্নুজানের স্বামী তাই অনেক মারলো মন্নুজানকে। ছোট ছেলেটা তখন পেটে। মন্নুজান ভরা পোয়াতি। মার খেয়ে দুইদিন বেহুঁশ হয়ে থেকে বাচ্চা জন্ম দিল মন্নুজান। পরদিন বাচ্চা কোলে নিয়েই ধান শুকানো আর জ্বাল দেয়ার কাজে লেগে গেলো। এত কাজ, ফেলে রাখার সময় কই। মন্নুজান দীর্ঘশ্বাস ফেলে। এত কিছু করেও কী লাভ হলো। সেই তো ঝাটা খেয়েই জীবন পার হচ্ছে।

মন্নুজান হাজারীবাগ পৌঁছালো সন্ধ্যায়। তার ছেলেদের ঘর দুটো পাশাপাশি। এক রুমের ঘর। কাঠের দরজা।

বস্তির সবার জন্য একই রান্নাঘর, একই গোসলখানা। সেখানে সারাক্ষণ ঝগড়াঝাটি লেগে থাকে। মন্নুজানের ছেলেদের ঘর দুটো রান্নাঘরের পাশেই। বউ দুটো একই সাথে রান্নাঘরে কোটা বাছা করছিল। মন্নুজানকে দেখে তারা বিরক্ত হলো কিনা বোঝা গেল না।

বড় বউ উদাস মুখে বললো, বহেন, মুড়ি খাইবেন নি?

মন্নুজান কিছু বললো না। সে বড় ছেলের ঘরের দরজার সাথে হেলান দিয়ে বসল। গোলাপী আর মুকুলকে দেখা যাচ্ছে না। তাদের জন্য মন্নুজান আজ দামী চকলেট এনেছে।

মুন্নুজান রান্নাঘরের দিকে উকি মেরে বললো, গোলাপী কই গো?
বড় বউ উদাস মুখে বললো, কই গেছে কে জানে! তারপর সে দরাজ গলায় ডাকলো, গোলাপী হারামজাদী, কই গেলি রে?
ছোট বউও ডাকলো, ও মুকুল।

গোলাপী আর মুকুল হাজির হলো। তারা রান্নাঘরের পিছনেই ছিল। জটিল কাজে ব্যস্ত। মুকুল কোথা থেকে একটা ভাঙা খেলনা গাড়ি জোগাড় করেছে। সেটার ভাগাভাগি নিয়ে জটিল সমস্যা তৈরি হয়েছে দুজনের মধ্যে।

দাদীকে দেখে তারা দৌড়ে এলো। দাদী চকলেট বের করে দিলে সেই চকলেট নিয়েই দ্বিগুণ গতিতে উধাও হয়ে গেলো। আর কোনো উচ্ছ্বাস দেখা গেলো না।

মন্নুজানের জ্বর আসতে থাকে। সে দরজায় বসে ঝিমোয়।
বড় বউ রান্নাঘর থেকে আসে। ঘরের কোনায় রাখা বাক্স থেকে নেতানো মুড়ি বের করে মন্নুজানের সামনে দেয় বাটিতে করে।

তারপর বলে, আফনের পোলার ঝামেলা হইছে কিছু।

— কী হইলো?
— রিকশা ভাইংগা ফেলছে। মালিকে এখন টেকা চায়।
— রিকশা আবার ভাংগে কেমনে?
— গাড়িতে ধাক্কা দিছে। হেও ত পইরা ব্যতা পাইছে। দুইদিন কিলিনিকে ছেল।
— ওহ। জব্বাররে ফোন দিতা।

জব্বার হাতিরঝিল বস্তিতে মন্নুজানের পাশের ঘরেই থাকে। মন্নুজানের সাথে ছেলেদের যাবতীয় যোগাযোগ জব্বারের মাধ্যমেই হয়।

— দিছিলাম। হে কইল, কমুহানে। হেরপর তো আর খবর নাই।

মন্নুজান ঝিমোয়। তার জ্বর বাড়তে থাকে। খাতিরের কারণটা বোঝা যাচ্ছে। এমনি সময় নেতানো মুড়িও জোটে না। আজ জুটেছে তার মানে বায়না আছে। মন্নুজান উঠে পড়ার কথা ভাবে। ছেলেদের আর বিশ্বাস সে করে না। মন্নুজানের কিছুটা সোনার গয়না ছিল। সেসব বেঁচে দুই হারামিকে দোকানও পাতিয়ে দিয়েছিল। দুইমাসের মধ্যে দোকান শেষ, তারপর মন্নুজানকেও ঘর থেকে খেদিয়ে দিলো।

বড় বউ আর ভনিতা করে না। সে সোজাসুজি বলে, টেহা লাগত কিছু।
মন্নুজান চোখ মুদে থাকে। তারপর আস্তে আস্তে বলে, আমি টেহা পামু কই।
— জব্বারে কইছে, আপনি মেলা টাকা জমাইছেন।
— তোগো দিবার লাইগা ত জমাই নাই’ মন্নুজান মনে মনে বললো। তবে সে মুখে কিছু বললো না।

বড় বউ বলে, আপনের পোলাই তো। বিপদে আছে। মালিকে পেত্তেক দিন ঝামেলা করে। কাইল আইয়া গাইল পাইড়া গেল।
মন্নুজান হাতের লাঠিটা হাতড়ে খুজতে লাগলো। সে চলে যেতে চায়।
তারপর বললো, খানকি মাগীরা তোগো এত ত্যাজ৷ আমারে মারতে চাস। ওই তেজ দেখাইয়া ভাতারের জন্য টেকা নিয়া আয়।
বড় বউ বললো, শয়তান বুড়ি। কুটনী বুড়ি। টাকা লইয়া কি কবরে যাবি বুড়ি?

মন্নুজান হাতের লাঠিতে ভর দিয়ে দাড়াতে দাড়াতে বললো, আমার টেকা আমি কুত্তারে খাওয়াই যামু। তোগো দিমু না।

— তোর টেকা কুত্তায় খাইব বুড়ি, তোর পোলাগো খাইব মাইন্সে।
— আমার পোলাগো খাবি তোরা দুইডা বেশ্যা। বেশ্যামী করস এহানে বইয়া।

এই পর্যায়ে ছোট বউ এর আগমন ঘটল। সেও তারস্বরে চেঁচাতে লাগল। মন্নুজান ঘর থেকে নেমে গেল। আশেপাশে মানুষ জমে গেছে।

বুড়োমতন এক লোক বললো, বুড়ির টেকার কি খাইশ। পোলাগো দিতে চায় না।

আরেকজন বললো, কির লাইগা দিব? পোলারা মাইরা খেদায় দিছে না।

দুই বউ এর তারস্বরে চেঁচামেচিতে মন্নুজান কাবু হয়ে পড়লো। সে চলে যাবার জন্য পা বাড়ালো। এসময় ছোট বউ এসে মন্নুজানের চুলের মুঠি ধরে ফেলে দিলো। পিঠে লাথিও দিলো।

মন্নুজান প্রবল ব্যথায় চিৎকার করে পড়ে গেল। সে দেখলো কেউ এগিয়ে এলো না।

মন্নুজান নিজের ঘরে ফিরে এলো রাতে। রিকশা করেই হাজারীবাগ থেকে চলে এসেছে। দুজন মানুষ তাকে ধরাধরি করে রিকশায় তুলে দিয়েছে। তার বিশেষ কিছুই মনে পড়ছে না। শুধু পিঠে লাথির ব্যথাটা আছে। ঘরে খাবার কিছুই নেই। বৃষ্টি আর ছেলেদের দেখতে যাবার খপ্পরে পড়ে আজ রোজগার কিছু হয় নাই। জমানো টাকা থেকে ভাঙতে হবে। মন্নুজান খিঁচ মেরে পড়ে থাকে।

ছেড়া কাঁথা আর তেল চিটচিটে বালিশকে তার পরম আপন মনে হয়। মন্নুজানের তন্দ্রা আসতে থাকে।   

চোখের সামনে অগ্রহায়ণের ধান ভেসে ওঠে, তার স্বামীর দাড়িভরা মুখ, দুইটা ছোট দুষ্টু ছেলে। মন্নুজান কাঁদে না। কাঁদার মত মন তার নেই। সে দুই বউকে সমানে গালি দিতে থাকে মনে মনে। তার মনে হয় তার যাবতীয় দূর্দশার জন্য ওই নাগিনীগুলাই দায়ী।

একবার ভাবে, জব্বারকে ডাকবে নাকি। বড় ছেলেটাকে ডাকিয়ে সে চুপি চুপি টাকাগুলো দিয়ে দেবে। শাঁকচুন্নী বউকে যেন না বলে।

তারপর আবার মন্নুজানের তন্দ্রা হয়। খুট করে শব্দ করে তন্দ্রা ভেঙে যায়।

সে দেখে ঘরের মেঝেতে আয়েশ করে ছেলেদের বাপ বসে আছে। ভাত খাচ্ছে। কাচামরিচে কচ কচ করে কামড় দিচ্ছে। ৪০ ওয়াটের হলুদ লাইটের আলোয় তাকে একদম জোয়ান দেখাচ্ছে।

ছেলেদের বাপ মাছ দিয়ে ভাত খাচ্ছে বোঝা গেলো। মন্নুজান বিড়বিড় করে জিজ্ঞাসা করলো, মাছ পাইলেন কই?
ছেলেদের বাপ বলে, তোমার বড় পোলা দিয়া গেল। পদ্মা নদীর ইলিশ।

— হে আইলো কুন সময়ে?
— আইছে। তুমি ঘুমাই ছিলা।
— রানলো কিডা?
— আমি রানলাম। তোমার অসুখ এর লিগা বুলাই নি।

মন্নুজান চোখ বন্ধ করে। ছেলের বাপের কচ কচ করে ভাত খাওয়ার শব্দ এখনো শোনা যাচ্ছে।
সে বললো, মাছটা ভালা, বউ। পোলা কইলো এক হাজার টেকা নিছে। তবে জিনিস ভালো। ত্যাল আছে।
মন্নুজান জিজ্ঞাসা করলো, এহানে কহন আইলেন?
ছেলের বাবা বললো, তোমার মাতামুতা ঠিক আছে নি বউ?
মন্নুজান বিড় বিড় করে বললো, না। ও আল্লাহ।
ছেলের বাবা এবার বললো, পোলাগো টেকাটা দিয়া দেও। এত কাহিনী কী?
মন্নুজান মুখ শক্ত করে বললো, না। দিমু না।
— কেন দিবি না মাগী?

সে দেখলো ছেলের বাবা ভাত খাওয়া রেখে তাকে মারতে আসছে। সারা শরীরে দুম দুম কিল ঘুষি মারছে। মন্নুজান শুধু গোঙাতে লাগলো। তার মুখ থেকে আর কোনো শব্দ বের হলো না।

মন্নুজানের ঘুম ভেঙে গেল। তার সারা শরীর ব্যথা হয়ে আছে। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। সে দেখলো তার আশেপাশে কেউ নেই। ভয়ের চোটে বিশ্বাস করতে পারলো না। মনে হল এই বুঝি কেউ মারতে আসলো।

মন্নুজান বিড়বিড় করে ডাকলো, জব্বার, ও জব্বার।

এর দুইদিন পরে মন্নুজানের লাশ দরজা ভেঙে বের করা হলো। প্রথমে সন্দেহটা জব্বারেরই হয়েছিল। বুড়ির ঘর বন্ধ দেখে ভেবেছে হয়তো অসুখ করেছে, তাই খুলছে না। দুদিন পার হবার পর জব্বার দরজায় ঘা দিল অনেকবার। কেউ খুললো না দেখে তার খুলতে সাহস হল না। সে পুলিশকে খবর দিলো। একবার নিজ থেকে ঘর খুলে লাশ বের করে যে ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল বলার না।
একজন ইন্সপেক্টর আর দুইজন কনস্টেবল আসল। তারা এসে বিরস মুখে দরজা খুলে বুড়ির লাশ বের করলো।

ইন্সপেক্টর জব্বারকে ডেকে বললো, বুড়ির কেউ আছে?
—দুই পোলা থাকে। হাজারীবাগ।
— খবর দিছস নি?
—জ্বি দিছি।
— বুড়ি কী করত এখানে?
—খয়রাত করত। পোলারা খেদাইয়া দিছিলো।

‘ ওহ’! ইন্সপেক্টর মুখ চোখ বিকৃত করলেন। তারপর কনস্টেবলদের বললেন, ওই ঘর চেক কর।

চেক করে যা পাওয়া গেল তা গুপ্তধনের মতই। দুই লাখ টাকা আর সোনার দুটো বালা। বালা কই থেকে চুরি করেছে কে জানে!

পুলিশ খুশি মনে জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে চলে গেল। দু একটা উৎসাহী মিডিয়াওয়ালা পাওয়া গেল, প্রাপ্ত টাকা নিয়ে নিউজ করবে বলে। তাদেরও ব্যবস্থা করা হল।

যাওয়ার আগে পুলিশ বলে গেল, লাশ আনজুমান মফিদুলে দিয়ে দিতেছি। তারা ব্যবস্থা করবে।

জব্বার বললো, আইচ্ছা।
— এর পোলারা আসলে কইস থানায় গিয়া দেহা করতে।নবাবের বাচ্চারা।
— আইচ্ছা সার।

ছেলেরা থানায় গিয়ে দেখা করলো। দুই ছেলেকে দেখে ইন্সপেক্টর বললো, খয়রাতি মহিলার পোলা নি তোরা?
তারা মাথা নাড়লো।

— মায়রে খেদাইছিস কেন?
তারা চুপ করে রইলো।

একটু পর বড় ছেলে বললো, স্যার, আমার মায়ের টাকাডা..।
ইন্সপেক্টর বিস্মিত হয়ে বললেন, তোর মায়ের কিসের টাকা?
— জব্বারে কইলো..।
—জব্বার কেডা? ইন্সপেক্টর সিগারেট ধরালেন।
তারপর বললেন, তোগো বউরা যে আগেরদিন বুড়িরে মারছে এই খবর কিন্তু আমি লইছি।

—সার, আপনে যদি কিছু নিয়া…
— আমি কী নিমু? ওই এই দুইডারে হাজতে ঢুকা। বাইচলামি করতে আইছে।

দুইজন কনস্টেবল এসে ধরে দুইজনকে লকাপে ঢুকিয়ে দিলো। ইন্সপেক্টর সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বললেন, ফাজিলের বাচ্চা ফাজিল।
তাদের বউয়েরা আসলো কাঁদতে কাঁদতে এরপরে। ২০ হাজার টাকার বন্দোবস্ত করে দুইজনকে ছাড়াতে হল।

মন্নুজানের টাকার কী বন্দোবস্ত হল এটা অবশ্য জানা যায় নি। তবে ইন্সপেক্টর সাহেবের বউ সে বছরের বিবাহ-বার্ষিকীতে দুটো সোনার বালা উপহার পেলেন।

ছবি- হেমলতা

ফাতেমা রিয়া

তরুণ গল্পকার, উপন্যাসও লিখেছেন। দেশের বাড়ি বরিশাল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পড়েছেন। সাহিত্য, সঙ্গীত, দর্শন ও রাজনীতিতে বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।

Share