।। লুবনা চর্যা ।।
।। লুবনা চর্যা ।। ্
সুন্দরবনের উপকন্ঠ খুলনার মেয়ে লুবনা। ইংরাজি সাহিত্যে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনার পর কিছুদিন কর্মসূত্রে ঢাকায় থেকেছেন, পরে আবারও ফিরে গেছেন নিজ বাসগৃহে, খুলনায়। লুবনা কবিও। তাঁর চিত্রকলায় কবিতা থাকে আবার কবিতায় চিত্রকলা থাকে। তাঁর সচেতনতা এক ধরনের রাজনৈতিক দ্রোহকে শ্লেষ আকারে চিত্রভাষায় হাজির করে যেমন, ঠিক তেমনই তাঁর অন্দরে থাকে প্রকৃতিময়তা যা আমাদের পরম কবিতার দিকে নিয়ে যায়, যা আমাদের ঘরে ফেরার বাসনার উদ্রেক ঘটায়… কেননা সব পাখী ঘরে ফেরে কিন্তু সব নদী বহতা ধরে রাখে বড় বাংলায়, মহাপৃথিবীর নিগূঢ় চেতনায়। আমাদের রূপজগত সেই নদীর জলবিম্বে বিম্বিত হয়ে ওঠে। আসুন আমরা লুবনার সেই বিম্বজগতে প্রবেশ করি।
এখানে লুবনার ছবিগুলো কালি-কলম-কাগজে কোনোটা, কোনোটা বা পেন্সিল স্কেচ, কোনোটা জলরঙে।
– প্রতিপক্ষ
এক
ওরা তো শুধুমাত্র সংখ্যা
দুই
প্রকৃতি মাতা
তিন
আমরা একা না, আমাদের দুঃখের ছানাপোনারা থাকে আমাদের সাথে
চার
বৃক্ষের সাথে যোগসূত্র
পাঁচ
সিগারেট
ছয়
তুমি আমার শান্তির আশ্রয়
সাত
দৃষ্টি
আট
ওভার ওয়েট
নয়
প্রার্থনা
দশ
নদীটার কীভাবে জন্ম হলো
লুবনা চর্যা
জন্ম: ৩ ডিসেম্বর, ১৯৮১, খুলনায়। বেড়ে ওঠা ওখানেই। কৈশোরে থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তারপর একসময় থিয়েটার ছেড়ে নিজের লেখা ও আঁকার দিকে মনোযোগী হন। মাস্টার্সের পর ঢাকায় বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কপি রাইটার হিসাবে কাজ করেছেন। একসময় সেটাও ছেড়ে দিয়ে এখন সম্পূর্ণভাবে স্বাধীনভাবে লেখালেখি করেন, ছবি আঁকেন, লুবনার বক্তব্য, “নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াই…”।