।। মূল আরবি থেকে ভাষান্তর: আরিফ বিল্লাহ ।।
তোমার কণ্ঠস্বর তুমি বহন করছ আমার ক্কলবে, আমার শিরা উপশিরায়
অতএব যদি রণক্ষেত্র ছেড়ে যাও, তাতে তোমার কোনো ক্ষতি নাই।
আমি বাতাসকে আমার কবিতা আস্বাদন করিয়ে রেখেছি
এবং সাজগুজু করেছি তাকে অলঙ্কারে।
যদি তুমি আগুনের তলোয়ার না হও, হে আমার কাব্য
সেই হরফের উপরই আমার ঈমান…
হয়তো মরবো অথবা নিজেকে মিটিয়ে দেব
জলপাইয়ের স্তুপ
হে ক্বারী, হে পাঠক
আমার কলবে কৃষ্ণপদ্ম
আমার ঠোঁটে লেলিহান অগ্নি
কোন বন থকে এসেছো তুমি
হে আক্রোশের ক্রুশদণ্ড!
আমার দুঃখগুলো স্বীকার করে নিয়েছি আমি।
আমার উদ্বাস্তু অনাহারি জীবনের সাথে আমি মোসাফাহা করেছি।
ক্রুদ্ধ আমার হাত
ক্রুদ্ধ আমার মুখ
আমার ধমনীতে বইছে তরল ক্রোধের নির্যাস, রক্ত!
হে আমার ক্বারী, আমার পাঠক
তুমি আমার কাছ থেকে ফিসফাস আশা কোরো না।
যেন উচ্ছ্বাসে কো্নো তরঙ্গ কেঁপে না ওঠে।
এই আজাব কেবলই আমার।
একটি বেকার আঘাত হানছি বালুতে,
আরেকটি অন্ধকারাচ্ছন্ন মেঘে,
আমি ক্রুদ্ধ, এটাই আমার পছন্দ।
সবার আগে আছে ক্রোধ।
বন্ধুত্ব
তোমার কণ্ঠস্বর তুমি বহন করছ আমার ক্কলবে, আমার শিরা উপশিরায়
অতএব যদি রণক্ষেত্র ছেড়ে যাও, তাতে তোমার কোনো ক্ষতি নাই।
আমি বাতাসকে আমার কবিতা আস্বাদন করিয়ে রেখেছি
এবং সাজগুজু করেছি তাকে অলঙ্কারে।
যদি তুমি আগুনের তলোয়ার না হও, হে আমার কাব্য
সেই হরফের উপরই আমার ঈমান…
হয়তো মরবো অথবা নিজেকে মিটিয়ে দেব
অথবা ফাঁসির বদলা ফাঁসি
দ্বিতীয়টিতেই আমার ঈমান
যদি আগুনে কাজ না হয়
তাহলে আমি ছাই অথবা আমি আমারই জালিম শাসক
যদি তাও কাজ না করে, আমার প্রজ্ঞা উন্নীত হবে অমরতায়
আলবৎ মানুষ আমার কবর ফলকে লিখে রাখবে
‘সে কখনই মরে নি’
স্বগতোক্তি
ওঠো! এগিয়ে যাও! তুমি একা। তুমি একা!
অনেক জ্যোতিষী তোমার আশপাশে
আল্লাহর হুকুমের অপেক্ষায়।
অতএব উঠো …
হে পাথুরে বেদির কোরবানি, । হে বলির ভেড়া- আমাদের ভেড়া… প্রচণ্ডশক্তিতে ওঠো!
তোমার জন্যে রইল আমার প্রীতি এবং আমাদের অমুখাপেক্ষি মরুভূমির রূঢ়তা: যাও মরীচিকার ধাঁধা থেকে পানি নিয়ে আসো ।
মৃতদের জাগিয়ে তোলো! তোমার রক্তে আছে তাদের জবাব।
আর আমরা তোমাকে কখনো হত্যা করিনি… (আমরা কোন নবীকে হত্যা করি না)
তবে আমাদের কেয়ামতের পরীক্ষা, তাই আমরা মরুভূমির খনিজ ধুলিকণার বিপদে পড়েছি। আমি মরেছি, যেন তোমাকে জানতে পারি।
আমি তোমাকে কত যে ভালোবাসি! কত যে ভালোবাসি। তুমি মরেছো, যেন আমরা জানতে পারি।
আমাদের দোয়ার ওপর তোমার পরিপূর্ণ কল্প দেখো, কীভাবে পড়ছে,
সিক্ত, নতজানু।
অর্থের সুরত আছে তোমার । তুমি তোমার দেহে ফিরে যেও না । তৃষ্ণাকাতর ব্যক্তির মধ্যে তোমার নাম রেখে দাও।
কিছু একটা বিশেষণ হও। হও বিভ্রান্তদের জন্য দিক নির্দেশ। বিনিদ্র মানুষের সজ্জা। শহীদ হয়ে যাও, হও, সাক্ষী।
খোদ হায়াতকেই নাহয় তুমি তালাক দিয়ে দাও।
অতএব তুমি ছাড়া আমরা কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবো? তুমি ছাড়া কে আমাদের পবিত্র করবে,? কে আমাদের আজাদ করবে, তুমি ছাড়া? আমাদের নায়েব হয়ে তুমি তো এই ধরায় জন্ম নিয়েছ জন্মেছো। তুমি সৃজিত তুমি নূর এবং আগুন থেকে। আমরাই নিজেকে মিস্ত্রি বানিয়ে ক্রুশ বানাতে আমাদের দান করে দিয়েছি। এখন তুমি গ্রহণ করো তোমরা ক্রুশদণ্ড এবং সুরাইয়ার উপরে তুলে ধরো।
আমরা অবশ্যই বলবো, তুমি ভুল করোনি। আমরাও করিনি। বৃষ্টি অবিরাম না পড়লে, আমরা তার অপেক্ষা করেছি। আমরা নিজেকে তোমার দেহের দ্বারা জবাই করেছি, আরেকবার। সুতরাং তুমি ব্যতীত আর কোনো কোরবানি হবে না, হে হাবিবুল্লাহ। হে শাকায়েকুন নু’মান। যতবারই হোক, তুমি ফিরবে আবার জীবন্ত হয়ে।
ওঠো! এগিয়ে যাও, তুমি একা, হে আমাদের একমাত্র সম্বল, ধনাঢ্যদের গহ্বরেরও ঊর্ধ্বে যার অবস্থান। আমরা ঘুমন্ত ঘোড়ার পিঠে আমামদের অবসাদ, আমরা চাই তোমার কাছে পূর্ণতা।
তাহলে হও, এই বংশ এবং রিসালাতের পূর্ণতা দাতা। তুমি হও,
পুরানা সুন্দর ইতিহাসের পূর্ণতা দাতা। তুমি হও!
এমন কোন্ নেয়ামত আছে যাকে আমরা অস্বীকার করবো? তোমার দু’হাতে অগণিত নক্ষত্র।
তাহলে তুমি হও আমাদের আখেরী ইশারা। হও বর্ণানুক্রমিক ভগ্নাবশেষে আমাদের আখেরী ই্মারত । “আমরা মৃত হলেও নিরবধি জীবিত’। তোমার রক্তের উপরই আমরা ভরসা করি।
আমাদেরকে তবে দেখাও, জ্বলুক আমাদের জন্য তোমার নিষ্কলুষ রক্ত!
তোমার জখমের কারণে কেউ আর কৈফিয়ত চাইবে না। রোমকে আমরা সকলেই বলবো ‘আমরা তার সাথে থাকি না’। তোমাকে আমরা জল্লাদের হাতে অর্পণ করে দিলাম।
অতএব হে আমাদের দুধভাই, আমাদের ছোট্ট এই খেয়ানত ক্ষমা করো। চলমান কোনো কিছুই আমরা জানি না। সুতরাং তুমি সহিষ্ণু, সন্তুষ্ট থাকো।
অচিরেই আমরা স্বপ্নকে সত্য করবো এবং বিশ্বাস রাখবো স্বতন্ত্র মিলনে, রূহ এবং মোকাদ্দাস দেহের মধ্যে। তোমার আরশের জন্য পৃথিবীর সমস্ত গোলাপ যথেষ্ট নয়। পৃথিবী হালকা হয়ে গেছে। সে ঘুরছে। অতঃপর কবুতরের মতো পেখম মেলেছে তোমার আসমানে যেন, হে আমাদের মনোহর কোরবানি! সুতরাং তুমি আপনাকে জ্বালিয়ে দাও, আমাদের যাতে আলো হয়। এবং যাতে তুমি আপনাকে দূরন্ততম তারকা বানিয়ে উৎক্ষিপ্ত হতে পারো।
মহান সে মহান। তুমি আমাদের কেউ না; যদি তুমি নামো এবং বলো ‘আমার এমন দেহ আছে যে আমাকে ক্রুশে লাঠির উপরে আজাব দেয়।
যদি তুমি কথা বলো…. তোমার হুঁশ হবে। এবং উন্মোচিত হবে আমাদের হাকিকত। অতএব সবুর করতে শেখ, যাতে আমরা স্বপ্ন দেখতে পারি। তুমি মানুষ হবে না, গাছও না। প্রহেলিকা তুমি হও, হতে তুমি বাধ্য!
হও আকাশের ইলাহ এবং আমাদের মাঝে হামযায়ে ওয়াসল। তোমার সুউচ্চতম পার্শ্ব থেকে নবাগত মেঘপুঞ্জের বর্ষণ হও। হও আনন্দের ফুর্তি!
তোমার গুহার দরজায় স্বপ্ন লিখে রাখ। যেন আমাকে সোজাসরল পথ নির্দেশ করে। ।
যেন কাসিদার বৈঠকে বসেছে তোমার সাথে সবুজ গাছপালা, পাথর। এবং এমন সব বস্তু যাদের কালের দুর্বিপাক ভুলিয়ে দিয়েছে প্রজাপতি।
তোমার সাথে মাহফিলে বসেছে যা কিছু সমস্ত স্মৃতি দিয়েও তাদের ধরার ক্ষমতা নাই । উজ্জ্বলময় চাঁদও দরকার নাই। ভেঙে পড়বে না কখনই। তুমি সবকিছুতেই ঝুলে থাকো। কারণ তুমি ভেঙে পড়লে ভেঙে পড়বো আমরাও। যখন তুমি পরাজিত হবে, পরাজয় ঘটবে আমাদেরো এবং আমাদের মন্দির গুঁড়িয়ে যাবে।
তুমি মৃত হও -এসো এসো!- আবার মৃত হও। যাতে গণকেরা তাদের পেশা জারি রাখতে পারে। তুমি সুপ্ত ছায়া ধারণ করো। একাই যাতে মহিমান্বিত হও। এই ভারি মহাকাল তোমার জীবনময় জায়গা কখনো ছুঁতেও পারবে না। ওঠো! যতদূর তুমি পারো। তুমি আমাদের সবচেয়ে বেশি খুবসুরত শহীদ। দূরবর্তী হও! যতবেশি পারো। যেনো ওহীর মধ্যে তোমার প্রতিবিম্ব আমরা দেখতে পাই।
ওহে আমার লালে নীলে মেশানো মানচিত্র!
অতএব তোমার প্রতি সালাম সেইদিন, যেদিন তুমি সালামনগরে ভূমিষ্ঠ হয়েছো। এবং যেদিন মৃত্যুবরণ করেছো এবং যেদিন তুমি মওতের অন্ধকার থেকে পুনরুজ্জীবিত হবে।
স্বাগতম, হে আমার তুমি!
মাজাল্লাতুল কারমাল (সংখ্যা: ৬৬)
[মাজাল্লাতুল কারমাল ফিলিস্তিনের রামাল্লা থেকে প্রকাশিত একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা। পত্রিকাটি বৈরুত থেকে কবি মাহমুদ দারবেশ প্রকাশ করেন। ১৯৮১ সন থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এর প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। দারবেশের মৃত্যুর পর তিন পছর যাবত এটি বন্ধ ছিলো। ২০১১ সালে মরহুম কবি মাহমুদ দারবেশের স্মরণে ‘মাজাল্লাতুল কারমাল আল জাদীদ’ নামে পুনরায় পত্রিকাটি বের হয়।]
মাহমুদ দারবিশ (১৯৪১ – ২০০৮)
শায়ের মাহমুদ দারবিশ কবিতামোদিদের খুবই পরিচিত নাম। ফিলিস্তিনের মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম কন্ঠস্বর। যাদের কলমে এবং মুখে ফিলিস্তিনের মুক্তি ও স্বাধীনতার ঘোষণা উচ্চকিত হয়েছে। যাদের কবিতা তেলাওয়াতে পুরা আরব বিশ্ব নেচে উঠেছিলো। ইসরাইলী আগ্রাসন রুখে দেওয়া এবং হামলা থেকে বাঁচাবার দাবি জোরদার করেছিল এইসব কবিতা।
দারবিশ ১৯৪১ সনে ফিলিস্তিনের পশ্চিমাঞ্চলের বারোয়া নামক একটা পাড়াগাঁয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালের ভয়াবহ যুদ্ধের সময় তার পরিবার সহ তিনি ওই ছোটো অবস্থাতেই লেবাননে শরণার্থী হয়ে প্রবেশ করেন। তিনি নবীন বয়সেই কাব্যচর্চার প্রতি উৎসাহী ছিলেন। শুরুতে তিনি জাহেলী যুগের আরবি কবিতার অনুকরণে কাব্যানুশীলনের চেষ্টা করেছিলেন। প্রচীন আরবি সাহিত্য গবেষণার প্রতি আগ্রহ প্রবল। ১৯৬০ সনে মাহমুদ দারবিশ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘আসাফীরু বিলা আজনিহা’ প্রকাশ করেন। এরপর ১৯৬৪ সনে তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘আওরাকু জ্জাইতুন’ প্রকাশিত হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলোর অন্যতম হচ্ছে- ‘আশিক মিন ফিলিস্তিন’, ‘আখেরুল লাইল’, ‘হাবীবাতী তানহাদ্বু মিন নাওমিহা’, ‘ইয়াওমিয়াতু জারহিন্ ফিলিস্তিনী’, ‘আল আসাফীর তামুতু ফীল জালিল’, ‘আলকিতাবাহ আলা দ্বুয়ীল বুন্দুকিয়া’।
মাহমুদ দারবেশ এসব যখন লিখছিলেন, তখন তিনি ছিলেন ইসরাইলের মধ্যে। ১৯৭১ সনে তিনি ইসরাইল ছেড়ে তিনি মিশরের কায়রোতে গিয়ে সেখানেই থাকা শুরু করেন। এরপর থেকে মাহমুদ দারবেশ আরবি সাহিত্যের জগতে বিরাট বিরাট বড়ো বড়ো ঘটনার সূত্রপাত করেন। ১৯৭১ সালের পরে তার আরো কয়েকখানা কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। যেমন, ‘উহিব্বুকা ওয়ালা উহিব্বুকা’, ‘মুহাওয়ালাতু রকম ৭’ এবং অন্যান্য গ্রন্থাবলী।
মাহ্মুদ দারবিশ ২০০৮ সালের শনিবার দিনে আগস্টের ৮ তারিখ মৃত্যুবরণ করেন। ১৩ই আগস্ট দারবিশকে ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক জায়গা রামুল্লার একটি পূর্বনির্ধারিত কবরস্থানে দাফন করা হয়।
অনুবাদ বা ভাষান্তরে কবিতা বদলে যায়, এটা আমাদের জানা। তাই অনুবাদে যা অসম্ভব সে সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য জানিয়ে রাখি।
‘আওরাকু জ্জাইতুন’ মাহমুদ দারবেশ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে দ্বিতীয়। এটা (شعر التفعيلة) ছন্দমাত্রা বজায় রেখে লেখা হয়েছে। তন্মধ্যে শুধু দুইটি কবিতা আলাদা। (الولاء) আল ওয়ালা (বন্ধুত্ব) নামের কবিতাটি (بحر البسيط المخبون: একধনের কাব্যরীতি) নিয়মে লেখা হয়েছে। (الموت في الغابة) আল মাওতু ফীল গাবাহ (জঙ্গলের গভীরে মরণ) কবিতাটি লেখা হয়েছে (بحر الكامل الأحذ المضمر: একধনের কাব্যরীতি) নিয়মে। আরব বিশ্বে ষাটের দশকে কবিতায় (شعر التفعيلة: ছন্দমাত্রা) নিয়মটি খুব জনপ্রিয় ছিলো। আরবে সর্বপ্রথম এই নিয়মে কবিতা লিখেছিলেন আল্লামা আব্দুল লতিফ তাইয়েব। তার লেখা কাব্যগ্রন্থটি লন্ডনে ১৯৪৬ সনে প্রকাশিত হয়। নাম ছিলো (الكأس التي تحطمت) আল কা’সুল্লাতী তাহাত্তামাত (চূর্ণবিচূর্ণ পেয়ালা)। কবি তাইয়েবের পরে আরব কবিদের মধ্যে এই কাব্যরীতি ছড়িয়ে পড়ে। মাহমুদ দারবেশ এই রীতিতে সফল কাব্য রচনা করেন। এর মধ্যে তিনি বিশেষ নতুনত্ব আনবারও চেষ্টা করেন। এতে তিনি আরবের বিখ্যাত কাব্যতত্ত্ববিশারদ ভাষাতাত্ত্বিক খলিল বিন আহমদের ছন্দরীতির সুষম এবং সুন্দর ব্যবহার করবার চেষ্টা করেছিলেন। এবং বহুলাংশে তিনি সফলও হয়েছিলেন।
মাজাল্লাতুল কারমাল ফিলিস্তিনের রামাল্লা থেকে প্রকাশিত একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা। পত্রিকাটি বৈরুত থেকে কবি মাহমুদ দারবেশ প্রকাশ করেন। ১৯৮১ সন থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এর প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। দারবেশের মৃত্যুর পর তিন পছর যাবত এটি বন্ধ ছিলো। ২০১১ সালে মরহুম কবি মাহমুদ দারবেশের স্মরণে ‘মাজাল্লাতুল কারমাল আল জাদীদ’ নামে পুনরায় পত্রিকাটি বের হয়।
আরিফ বিল্লাহ
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে জন্ম। সেখানেই বড় হয়েছেন। তবে ছেলেবেলার অধিকাংশ সময়েই কাটিয়েছেন চাটগাঁয়। কওমিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা। চিন্তা ও প্রজ্ঞার পুরানা চর্চার মাদ্রাসাগুলো খুঁজে খুঁজে পড়াশুনা করেন, লেখেন। তাঁর নিজের থেকে যা কিছু বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, তার সঙ্গে নিজেকে তিনি জোড়া লাগান। অনলাইনে প্রকাশিত ‘এরিস্টটল ও রুহানিয়াত’- ফরহাদ মজহারের কথোপকথনের অনুলিপি গ্রন্থটি ছাড়াও আরবিয় ইসলামি ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ কিছু গ্রন্থ নিয়ে কাজ করছেন।