।। জহির খান ।।
বিজুলী আলোক
যায় সেই আরো এই একটি নতুন পৃথিবীর মায়া
গায়ে পায়ে নিয়নের আলো পড়ে মনে পড়ে যাপন
মনে করে নেয় দেয় মায়ামেঘ ধূলিমাখা উঠোন
লাল এক দীর্ঘ চিন্তা উড়ে যায় সেই— আকাশ
কালোজামা পড়া বণিকের ফার্ম হাউজের চাপ
নিলাম হয় মানুষের ভিতরের মানুষ আর চিন্তা
একজোড়া ডায়নোসর বাবার পিঠে উঠে উঠুক
জল তৃষ্ণায় ক্লান্তিতে বেঁচে থাক— থাকুক মুখ
দিন মাস বছর কত কথা বেঁচে থাকে তাহলে
এখন প্রমিথিউস তীব্র প্রতিবাদ হয় মানুষ হোক
বটবৃক্ষকে সামনে রেখে এগুতে পারি ঠিক ঠিক
স্বকীয়তা হারিয়ে
ঝড়ের বেগে চলছে সময়
অসমাপ্ত গল্পের পিছনে
তবুও নিষ্ঠুর গল্পের নায়ক
দেখার চেষ্টাই করলোনা
তোমাকে
বিগলিত দৃশ্যপট
বুক পকেটে নিয়ে হাঁটি চৈত্রের দুপুর
দৃশ্যত এক কবিতা হবে প্রিয় সময়
তাহারা যাত্রার বিকেল হয়ে ফিরবে
বা নাই ফিরে আসুক আর এই তল্লাটে
দুপুরের সুমিষ্টঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ুক পাড়ায়
গলির মুখ থেকে বেড়িয়ে আসুক কবি
টিউব টাইপ সন্ধ্যায় নেমে আসুক পাহাড়
এখন
পাতারা ভুলে বসুক দীর্ঘ এক ছায়াশরীর
ফেকহী কিতাবাদী আলোর মুখ—
ধরে রাখি খাঁ-খাঁ রোদ পরস্পরে
সোশ্যাল ওয়ার্ক
রাত আর কতোই মমতা দেয় জড়িয়ে নেয় ঘুম
তবুও খুব করে ভালোবাসি তোকে- ভালোবাসি
স্তনের কুঁড়ি ফুটি ফুটি একটা ঘোর চুষে খাই
মায়ায় তোর কোমল ঠোঁটের স্মিত হাসি দেখি
গায়ে জড়িয়ে নেই গোলাপের সুগন্ধি কোলাহল
তুমিও খুব দেখো শরীরের আড়মোড়া মাতলামি
বিছানার চাদর বালিশও বুঝে নেয় যুগল চাহিদা
আহত ব্লাউজ ফেটে পড়ে বেড়িয়ে আসে ভোর
ডাষ্টবিনে পা বাড়ায় সোস্যাল ডেমোক্র্যাট ট্রেড
এখন
উঠো সোনা অনেক সকাল হলো অফিসে যাও
ভালো থেকো চুমু আসো ধরো বাজারের লিস্ট
প্রচ্ছদের ছবি- শিল্পী শাহানুর মামুন
জহির খান
বাংলাদেশের শূন্য দশকের কবি। জন্ম ১৯৮১। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ‘অননুমোদিত কবিতা’, ‘নিয়মের কোন গতিই মিথ্যানা’, ‘অভ্যন্তরীণ কবিতা’। ইতোমধ্যে দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন সংকলনে সংকলিত হয়েছে তাঁর কবিতা, অনূদিত হয়েছে ইংরেজি ভাষাতেও। দীর্ঘদিন সম্পাদনা করেছেন “রাস্তা” (শিল্প সাহিত্য বিষয়ক কাগজ)। চতুর্থ বই “খান সাহেবের কবিতা” প্রকাশের অপেক্ষায়