মেঘ খোলো চোখ খোলো

ভাষার ভাঙাচোরা হয়, বর্ণের উড়ান ধরা থাকে ছাঁচঘরে, আলো খেলে বেদনায়, বেদানার লালগুলো মিশে যায় রক্তকরবী দিনে, ভাষার আলাপে, কিংবা তোমার নীরবে, নীরবতায়

।। রঞ্জন মৈত্র ।।

জন্ম যাবে গুসকরা পেরিয়ে কোথাও

ময়দান

কারা নতুন আর তুণও পায়ে পায়ে
বাড়ানো দন্ত্য ন যাচ্ছে সামান্য দূর দিয়ে
জায়মান ভূগোল ও গোলকিপার
জালের মধ্যে রাখো
কারা বিজয় নামের পায়ে সদ্য মোজা
তার হলুদ যায় যায়
একটি অন্তস্থ অ নেমে আসে নদীধারে
সন্ধে আসে ছায়াদের কোচিং সেন্টার
বাড়ি রেফারিও যাবে
ফাঁড়ির সামনে বাস থেমে গেলে
বালিগঞ্জ টালিগঞ্জ কিছু নেই
দূরে ছাপাখানা দূরে হারুদার বাইন্ডিং
সব ড্রিবলিং ডজ ধনুকাকৃতি শট
অসীম প্রচ্ছদ হয়ে ঘাসে পড়ে আছে

খোলা মেঘ

ছাড়াতে ছাড়াতে চোখে জল আসে
কে সন্ধে কি সকাল
দুই ভাগ সাদা পৃথিবীর মাঝে এক ফোঁটা
ঝাঁজটুকু কড়াই থেকে উড়ে যায় পড়োশীতে
মা কি চলে যাবে
জন্ম যাবে গুসকরা পেরিয়ে কোথাও
মেঘচোখ রোদচোখ
রান্নাঘরের পাশে শাওনে ফোড়নে
ধুয়ে যাচ্ছে কাদামাখা বুটগুলো
খেলাগুলো খেতে চাইছে
মেঘ খোলো চোখ খোলো
মা আছো আলুসিদ্ধর মধ্যে পৃথিবীর কুচি
কালজানি বেয়ে তারা খুঁজে নেবে লাল পরগণা
উদয় অস্ত ছাড়াতে ছাড়াতে তিন ভাগ জল আসবে চোখে

রঞ্জন মৈত্র

কবি।  জন্ম ভারতের পঃবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায়, শৈশব কেটেছে বিষ্ণুপুরে, এখন পঃবঙ্গের ইছাপুরে স্থায়ী বাসিন্দা। পেশাগত জীবনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কমার্শিয়াল ট্যাক্স বিভাগের আধিকারিক ছিলেন।সম্পাদনা করেছেন ‘মুহুর্ত’ পত্রিকা,  প্রয়াত কবি উত্তর বসুর সহকারী হিসেবে ‘ঋকবৈদিক’ পত্রিকা। এরপর যথাক্রমে ‘কবিতা ক্যাম্পাস’ এবং ‘নতুন কবিতা’ পত্রিকা।
প্রকাশিত বই: ‘আমার আজান’ (ঋকবৈদিক, ১৯৮৯), ‘সুবর্ণরেখা রানওয়ে’ (কৌরব, ১৯৯৩), সেভেন বেলোর বাড়ি’ (কবিতা ক্যাম্পাস, ১৯৯৭), ‘কলোকাল ট্রেন’ (কৌরব, ২০০৮), ‘আলোতোয়া অডিওমঞ্জরী’ (নতুন কবিতা, ২০০৮), ‘পা’কে বলে দেখি’ (নতুন কবিতা, ২০১৫), ‘চাঁদ নামের অটোআলা’ (সৃষ্টিসুখ, ২০২০) এবং ‘রঞ্জনরশ্মি’ (নির্বাচিত কবিতা সংকলন, কৌরব; ২০১১)।

Share