‘ভারতীয়’ ভৃত্যের দেহ প্রভুর কত অত্যাচার সহ্য করতে পারে?

গ্রন্থপরিচিতি

।। বিশ্বেন্দু নন্দ ।।

‘ভারতীয়’ ভৃত্যের দেহ প্রভুর কত অত্যাচার সহ্য করতে পারে?’
ব্যতিক্রমী ঐতিহাসিকদেরও ইওরোপমন্যতা যায় না।

এলিজাবেথ কোলস্কির ‘কলোনিয়াল জাস্টিস ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া- হোয়াইট ভায়োলেন্স এন্ড রুল অব ল’ নামক বইটির বাঙলা তর্জমা বাংলাদেশের ‘ডাকঘর’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হতে চলেছে। এই বইটির বিষয়ে লিখছেন বিশ্বেন্দু নন্দ।

এলিজাবেথ কোলস্কি জানাচ্ছেন, ক্যাপটিভস-এ লিন্ডা কুলি দু’রকম উপকথা লিখছেন কোনভাবে বিদেশে উপনিবেশ তৈরি  করলো ব্রিটেন। প্রথমত ড্যানিয়েল ডিফোর রবিনসন ক্রুসোর মতো ভূমি আর মানুষের ওপর বিজয়ী হয়ে। দ্বিতীয়টি হলো জোনাথন সুইফটের গ্যালিভার ট্রাভলস যেখানে ঔপনিবেশিক শাসক নিজেই উপনিবেশের প্রজার হাতে বন্দী, নিপীড়িত। তৃতীয়টি কোলস্কি লিখেছেন, বিদেশে বিজয় নয়, সেনা নিয়ে পৌঁছনও নয়, খুব সাধারণ নিত্যনৈমিত্তিক কাজকর্ম যেমন সন্ত্রাস তৈরি করা, উপনিবেশের মানুষের জীবনকে খাদের কিনারে নিয়ে ফেলা এবং মেরে ধরে উপনিবেশে বন্দী করা এবং হওয়া।

ভারতীয়দের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক হিংসা ব্রিটিশ উপনিবেশের একটি স্বাভাবিক এবং আবশ্যিক অভিজ্ঞতা ছিল। শ্রমিকদের ওপর চরম অর্থনৈতিক শোষণের পাশাপাশি অবিশ্রান্তভাবে চলতো দৈহিক হিংসা এবং এই অবস্থাটি চা এবং নীল বাগিচাগুলোয় দেখা যেত আখছারই ‘নিষ্ঠুর নীলকর’ চাবকাতো, বন্দী করে রাখত এমন কী তাদের হত্যাও করত, এবং চরম দৈহিক হিংসা নামিয়ে আনার জন্যে তাদের কোনও রকম শাস্তি হতো না। ঔপনিবেশিক পারিপার্শ্বিক অভিজ্ঞতার নিরিখে বলা যায় যত পরিমান শ্রম হিংসা ঐতিহাসিক নথিতে আবির্ভূত হয়েছে সেটা মূল হিংসক ঘটনার মাত্র কয়েক ভগ্নাংশমাত্র।

ভারতীয় শ্রমিকেরা দৈহিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিচার চাওয়ার একটা বড় সমস্যা ছিল তারা যে শ্রমমূল্য পেতেন সেই অর্থে জীবনধারণ করা প্রায় অসম্ভব ছিল। ১৮১০-এ কলকাতা সুপ্রিম কোর্ট যখন নীলচাষী আলির কাছে জবাবদিহি চাইল কেন সে নীলকর জে ডব্লিউ কে লুকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিধিবদ্ধভাবে আদালতের কাছে ঠিক সময়ে অভিযোগ জানায়নি, আলি তার উত্তরে বললেন তাঁকে এবং তাঁর পুত্রকে স্টক্সকে ন’দিন নির্জলা উপবাস করিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি বললেন, যে মানুষটার পেটে খাদ্য নেই, সে কী করে এতদূরের আদালতের দরজায় বিচার চাইতে দাঁড়াবে?

ভৃত্যদের ওপর মারাত্মক মৃত্যুমুখী অত্যাচারে গৃহস্বামীর আঘাতের অধিকারের সীমা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল ভারতীয় ভৃত্যর দেহ প্রভুর কত অত্যাচার সহ্য করতে পারে? চাকুরিদাতার অত্যাচারের আঘাতের সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যুমুখে পতিত হওয়ায়— আঘাত পাওয়ার পনেরো থেকে ত্রিশ মিনিটের মধ্যে হয়তো বা তারও কম সময়ে মৃত্যু ঘটায় বারবার অত্যাচারিতরা তাদের হিংসক আঘাতের মৃত্যুধার নয় মৃতের স্বাস্থ্যের গুণমান বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে। উনবিংশ শতকজুড়ে শক্তিহীন এবং রোগাক্রান্ত ভারতীয় দেহ নামক একটি একদেহী বস্তাপচা ছেঁদো যুক্তিকে অবলম্বন করেছে ইওরোপিয় আঘাতকারীরা। তাদের হাতে মৃত্যুঘটা ভারতীয়রা যখন আদালতে বিচার চাইতে গেছে তখন যে কোনও অভিযোগের বিরুদ্ধে এটাই ছিল শাসকের যুক্তি দেখানোর একচেটিয়া বয়ান।

উপনিবেশের শুরুর সময়ের ঔপনিবেশিক বাংলায় ইওরোপিয় অভিযুক্তরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে খুনের অভিযোগ থেকে খুন হওয়া মানুষের দৈহিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সমীক্ষাপত্রের জেরে নয় সদাচারণের শংসাপত্রে প্রায়শই ছাড়া পেয়ে যেত। ১৭৯৬-এর ১৫ জুলাই ফ্রান্সিস জোনস চট্টগ্রামের নুন কারখানার সুপারিন্টেন্ডেন্টের বিরুদ্ধে কলকাতায় অভিযোগ আনা হলো তাঁর এক কর্মচারীর মৃত্যুর দায়ে। জোনস ৩.৫ কিউবিট লম্বা এবং ৬-৭ ইঞ্চি গোলাকার একটি লাঠি দিয়ে তার কর্মচারীর মাথায় তিনবার আঘাত করে বাংলোর সিঁড়ি থেকে ফেলে দেয় এবং তার চোয়াল আর দাঁত ভেঙে যায়। আঘাত পেয়ে পড়ে গিয়ে তিনিবার শ্বাস নিয়ে সেই মুহূর্তেই প্রাণত্যাগ করে। বিচারের সময় জুরি জোনসকে ‘সাধারণ সদাচারের’ মানুষ হিসেবে বর্ণনা করে বললেন, মৃতের ওপর তার ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা ছিল না, তাই তাকে অনেক কম শাস্তিওয়ালা অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। জোনসের হাতে ছ্যাঁকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলো।

যে সব ক্ষেত্রে ইওরোপিয় নাবিক এবং সেনা দেশীয় সহসেনাকে খুন করেছে, সেখানে শাস্তি হয়েছে তুলনামূলকভাবে অনেক জোলো। ১৮১৫’র ১৬ মার্চ, ব্রিটিশ পণ্যবাহী জাহাজ মারিয়ার কমান্ডার ফিলিপ চার্লস হোগানের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মহম্মদ  রুজাকে হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়। রুজার পুত্র ভিখু খান এই ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শী ছিল। সে তার সাক্ষ্যে বলে ১৮১৪’র আগস্টে আন্দামানে যাওয়ার পথে মাঝ সমুদ্রে হোগান আর রুজা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। রুজা হোগানকে যখন বলেন ঝোড়ো পরিবেশ আর উঁচু ঢেউয়ের জন্যে রুজা জাহাজের একটি ধারে কাজ করতে অস্বস্তি বোধ করছেন, তখন হোগান তার আরেক নাবিককে বলেন, “ওকে পেটা, ওকে বাঁধ আর জলে ফেলে দে’’। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষ্যদর্শী আদালতকে জানায় রুজাকে জলের এক কিউবিট ওপরে পাঁচ দিন রাত ধরে কাছিতে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয় এবং তাকে কোনো কিছু খেতে বা পান করতে দেওয়া হয় না। বিপুল বর্ষা আর উত্তাল সমুদ্রের ওপর হোগান রুজার দেহ ঝুলিয়ে রাখে। হোগান প্রত্যেককে শাসিয়ে বলে কেউ যদি রুজার দিকে তাকায় বা ছোঁয়, তাহলে তাকে রুজার শাস্তি দেওয়া হবে। পঞ্চম দিনে ভিখু দেখে তার বাবা ডেকের ওপর জ্ঞানহীনভাবে পড়ে আছে এবং তারপরে মারা যায়। মামলা চলাকালীন অভিযুক্ত আত্মপক্ষ সমর্থনে বলে ‘যে সব মানুষ কাজ করে না তাকে খাওয়াও দেওয়া হয় না’। হোগানকে মুক্তি দেওয়া হয়।

১৮১৬’য় দিল্লিতে একটি সেনা আদালতে বুন্দুর নামক এক বেয়ারার মৃত্যুর অভিযাগে মামলা চলছিল। জনৈক আর্টিলারি ক্যাপ্টেন রবার্ট গ্রানশ’ সূত্রে জানা যায় তার মাথায় ছাতা তুলে ধরার সময় হঠাৎ তার টুপিটি পড়ে যায়। উত্তেজিত হয়ে রবার্ট প্রথমে তার ভৃত্যের মাথার বাঁদিকে আর সেই দিকেই দেহে আঘাত করায় সে কথা বলতে বা হাঁটতে পারছিল না। গ্রানশ’ তাকে ইওরোপিয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে সে মারা যায়। গভর্নর-জেনারেল সিদ্ধান্ত নেন গ্রানশ’র বিরুদ্ধে মামলা না করার; তিনি কারন দেখান এটি যদিও খুবই জঘন্য নরহত্যা, তবুও এই ঘটনাটি মামলা চালাবার উপযুক্ত নয়।

উপনিবেশের শুরুর সময়ের ঔপনিবেশিক বাংলায় ইওরোপিয় অভিযুক্তরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে খুনের অভিযোগ থেকে খুন হওয়া মানুষের দৈহিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সমীক্ষাপত্রের জেরে নয় সদাচারণের শংসাপত্রে প্রায়শই ছাড়া পেয়ে যেত।

এলিজাবেথ লিখছেন, কীভাবে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সময় জুড়ে হিংস্রতাকে সংহত করার ভিত্তিতে সাম্রাজ্যের রথ অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলেছে। ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ইতিহাস চর্চায় এই অনবরত হিংসার প্রসঙ্গ খুব বেশি আসেনি। নীলকর, গরীব ইওরোপিয়, সেনা বাহিনী থেকে নাবিক যেভাবে ভারতীয়দের ওপর হিংসার তরবারি নামিয়ে এনেছে তা অস্বাভাবিক এবং গোটা সাম্রাজ্য জুড়ে এই হিংসা মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি বলছেন আদতে হিংসা মূল ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ আইনের দর্শনেই ছিল। জন লকের মূলত সম্পত্তির অধিকারের দর্শন বিষয় থেকে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ সম্পত্তির আইনের মুল ভিত্তিটা গড়ে উঠেছে। তিনি বলছেন উপনিবেশে যে মানুষটা খেটেখুটে জমি চাষ করে জমি তার। কিন্তু দেশিয়রা যদি সেটির ওপর তাদের অধিকার ফলাতে আসে তাহলে তাদের পশুর মত হত্যা করতে হবে।

এলিজাবেথ কোলস্কি বলছেন, ব্রিটিশর মুঘল পূর্ব সময়ের বিচারহীনতা, একচ্ছত্র শাসনের বিরুদ্ধে উপনিবেশের আদালত তৈরি করে বিচার দেওয়ার যোগ্যতা এবং একই সঙ্গে আইনের চোখে সকলের সমতা তৈরি করার দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কোলস্কি দ্বিধাহীনভাবে বলছেন ঔপনিবেশিক আইন ছিল ঔপনিবেশিক হিংসাশ্রয়ী শাসনের ভিত্তি।

সহিংস্র অত্যাচারই উপনিবেশ কর্তৃত্ব চালাবার ভিত্তি ছিল; তিনি অত্যাচারের যে সব মারাত্মক উদাহরণ তুলে এনেছেন সেগুলো কোথাও কোনও দিন আমরা পড়িনি। সাম্রাজ্য সহযোগিতার রোম্যান্টিক বয়ান নিয়ে ডালরিম্পল ইত্যাদিরা বহু আলোচনা করেছেন, এই প্রায় অনালোচ্য দিককে কোলস্কি মারাত্মক জোর দিয়ে তুলে আনছেন, অথচ, প্রথাবদ্ধ ইতিহাসে তার বই আলোচনাতেই আসে না।

এতদিন সযত্নে লুকিয়ে রাখা ঔপনিবেশিক হিংসার দরজা খুলে দিচ্ছেন কোলস্কি।

অথচ কোলস্কির অসামান্য বই কলোনিয়াল জাস্টিস ব্রিটিশ ইন্ডিয়ায় মাঝে মাঝেই সূক্ষ্মভাবে ইওরোপমন্যতা ফুটে বেরিয়েছে। তার বক্তব্য উপনিবেশের প্রথম দিকে কোম্পানি যে সব ‘‘চরিত্রে উত্তম, সৎ এবং ভুল না করা’ বাছাই আমলা শাসন করার কাজে মূলত বাংলায়, মাদ্রাজ আর বম্বেতে পাঠাত, তারা উপনিবেশের তৃতীয় মুখ, অসরকারি ব্যবসায়ী, নীলকর, চা বাগান মালিক-আমলা, সেনা, মাল্লা, চোর ডাকাত খুনে শ্বেতাঙ্গদের হিংসা এবং সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ। তিনি বলছেন অসরকারি ব্রিটিশ ব্যক্তি হিংসায় সাম্রাজ্য টলোমলো হলেও অমায়িক ব্রিটিশ আমলারা সেই সব শ্বেতাঙ্গ হিংসা, অবিচার, অসদাচরণ রুখতে ব্যর্থ হয়।

কোলস্কি এই বই-এর কয়েক জায়গায় বুঝে না বুঝে ২৫০ বছর আগেকার সাম্রাজ্যবাদী বার্কের স্বরে কথা বলছেন। পলাশীর পরে আমরা জানি কীভাবে ক্লাইভ আর হেস্টিংস এবং তার পরে ছিয়াত্তর বা তিরানব্বইতে বাংলা দুয়ে, বিভিন্ন এলাকায় লুঠ আর পীড়ন চালিয়ে সাম্রাজ্য বাড়িয়েছে ইওরোপকে ধনী করেছে। এইসব আমলাকে বার্ক প্রায় দেবশিশু আখ্যা দিয়েছিলেন – যাদের পূর্বের কুচুটেরা ঘুষটুস দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত বানিয়ে দিচ্ছে। বার্ক বলছেন, এই দুর্নীতিতে ডুবতে আমলাদের খুব একটা ইচ্ছে ছিল না।
 
বাংলা বা অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের কাছে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রশাসকেরা কেউই দেবশিশু ছিল না। অসরকারি শ্বেতাঙ্গ যাদের কোলস্কি উপনিবেশের তৃতীয় মুখ আখ্যা দিচ্ছেন, তারা যে হিংসা চালাত সেটাও ছিল সাম্রাজ্য প্রসারে দেশিয় মানুষদের ভয় দেখিয়ে রাখার একটি উপাদান। যে কাজ সরকারি আমলা বা পদাধিকারীর পক্ষে অনেক সময় করে ওঠা অসম্ভব ছিল, ব্যক্তিগতস্তরে হিংসা নামিয়ে আনা, সেটাই সাম্রাজ্য এইসব প্রাতিষ্ঠানিক বা ভবঘুরেকে দিয়ে করিয়ে আইনে ছাড় দিত। তাই তাদের হিংসা দুর্নীতিগুলি দেখো দেখা হতো  না— বিচারের প্রশাসনিক ঢং রক্ষা করা হত শুধু – ইওরোপিয়দের ওপর ইওরোপিয়দের অত্যাচার কিছুটা বিচার পেত—দেশিয়দের ওপর ইওরোপিয় অত্যাচারের কোনও সুরাহাই হত না। অসরকারি ইওরোপিয়দের অত্যাচারের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা দেশিয়িদের বিচার না দেওয়াই ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের নীতি— আমলাদের যোগ্যতা অযোগ্যতা এখানে কোনও মান দাঁড়াত না।

কোলস্কিই হোক বা স্বেনই হোক— ইওরোপিয় আমেরিকিয় ঐতিহাসিকদের ইওরোপমন্যতা থেকে বেরোনো খুবই কঠিন।

বিশ্বেন্দু নন্দ
বিশ্বেন্দু নন্দ

লেখক, গবেষক, সংগঠক। উপনিবেশপূর্ব সময়ের সমাজ অর্থনীতিতে  কারিগরদের ইতিহাসের খোঁজে সর্বক্ষণের কর্মী। হকার, কারিগর সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন প্রায় তিন দশক। বাংলায় পরম্পরার উৎপাদন বিক্রেতাদের বিষয়ে লিখেছেন নিরন্তর। বাংলার উপনিবেশপূর্ব সময়ের পরম্পরার চাষী-হকার-কারিগর-ব্যবস্থা বিষয়ে খোঁজ করছেন। দেশীয় উৎপাদন ব্যবস্থা ছাড়াও দেশীয় প্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে। ‘পরম’ পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। অড্রে ট্রুস্কের আওরঙ্গজেব, ম্যান এন্ড দ্য মিথ, স্বেন বেকার্ট এম্পায়ার অব কটন, যদুনাথ সরকারের মুঘল এডমিনিস্ট্রেসন, আহকমই আলমগিরি অনুবাদ করেছেন। পলাশীপূর্বের বাংলার ৫০ বছর, পলাশীপূর্বের বাংলার বাণিজ্য দুটি মৌলিক পুস্তকের রচয়িতা। 

Share