আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বড় বাংলার সাহিত্য ও মওলানা ভাসানী

আমাদের কথা

।। সম্পাদকীয় দফতর ।।

আজ ১৭ নভেম্বর, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যু দিবস। ‘প্রতিপক্ষ’ তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে। তিনি রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। কিন্তু তাঁর চিন্তা ও রাজনৈতিক আলাপ বড় বাংলার সাহিত্য ভাবনার ক্ষেত্রে বিশেষ প্রেরণা জোগায়। হে পাঠক, আপনি জানলে অবশ্যই আনন্দিত হবেন যে ‘লাল’ মওলানার জন্মদিনে ‘প্রতিপক্ষ’ বিশেষ ভাসানী সংখ্যারও পরিকল্পনা করেছে। পশ্চাত্য শিক্ষিত কমিউনিস্টের কাছে তিনি ‘কমিউনিস্ট’ বা ‘লাল মওলানা’ হিসাবে স্বীকৃতি ও পরিচিতি পেলেও মজলুম, শূদ্র ও সর্বহারার কাছে তিনি ‘সবুজ’, তিনি তাদের মুর্শিদ বা পীর। বড় বাংলার ভক্তি আন্দোলন রাজনৈতিক রূপ পরিগ্রহণ করলে তার রূপ কি হতে পারে লালে আর সবুজে মিশ্রিত মওলানা ভাসানীর মধ্যে আমরা তার সম্ভাবনাগুলো পরিষ্কার দেখতে পাই। তাই তাঁকে নিয়ে আমাদের প্রচুর ভাবতে হবে। নানান দিক থেকে তাঁকে পর্যালোচনার কর্তব্য আছে। আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব যদি বড় বাংলার লেখক ও পাঠক সমাজ আমাদের সঙ্গে থাকেন।

আমরা প্রতিপক্ষের সাহিত্যকর্মীরা বড় বাংলার সমাজ, ইতিহাস, গণমানুষ, ভাষাবৈচিত্র্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে কেন্দ্র করে সাহিত্যকর্ম এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী। ‘সাহিত্য’ বলতে কী বোঝায় তা আমরা ইতোমধ্যেই পাঠককূলকে জানিয়েছি। আরও একবার বলি, মানুষের সঙ্গে সমন্ধ তৈরি করার মাধ্যমই হলো সাহিত্য, এমনটা আমরা ভাবি। এই ভাবনা আমাদের একার নয়, বরং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের দরবারে এই ভাবনা বহুকাল ধরেই রয়েছে, আমাদের সাহিত্যের স্বর্ণযুগ, যাকে আধুনিকতাবাদীরা ‘মধ্যযুগের সাহিত্য’ আখ্যা দিয়ে বসে আছেন, সেই স্বর্ণযুগের মধ্যেই ভাবনা ছিল, এমনকি রবীন্দ্রনাথও এই ভাবনা ধারণ করেছেন, আমরা এই ভাবনা-পরম্পরার উত্তরসূরী মাত্র। বৃহৎ বঙ্গের মানুষের যাপিত ও ভাব জগতের সঙ্গে সম্বন্ধ তৈরির হেতুতেই আমরা ‘প্রতিপক্ষ’কে সামনে রেখে সাহিত্য করতে হাজির হয়েছি নতুন উদ্যম। যার উদ্দেশ্য আরও অগ্রসর হয়ে বিশ্বকে ধারণ করা। যে ইতিহাস ও মনোজগতের সুতা আমরা ছিঁড়ে ফেলেছি সেই ক্ষত স্থানগুলোকে সারিয়ে তোলা সবার আগে দরকার।

এখন এই যে বৃহৎ বঙ্গ বা বড় বাংলার কথা আমরা বলছি, এই ‘বড় বাংলা’ তো শুধুই আরাকান থেকে শুরু করে পূর্ববঙ্গ, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ, ঈশানবঙ্গ, ত্রিপুরবঙ্গ, মানভূম ও ধলভূমের বৃহৎ ভৌগলিক পরিসর নয়, বরং এই ভৌগলিক পরিসরের ভাববৈচিত্র্য, গণমানুষের যাপিত জীবনের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ভাষাবৈচিত্র্যের মধ্যে যে ভাবসম্পদ বা দার্শনিক ঐক্য রয়েছে, যা বৃহৎ বঙ্গের অভিসন্দর্ভ তৈরি করে প্রাচ্যবিদ্যার অন্দরে, আমরা সেই দার্শনিকতার চিহ্ন ও মর্মবস্তুর সন্ধান চালাতে হাজির হয়েছি হে পাঠক আপনার দরবারে। আর এই দার্শনিক প্রত্যয় ও অভিসন্দর্ভের ঐক্যে আমাদের রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক প্রেরণা মওলানা ভাসানী। আর বৃহৎ বঙ্গের ভাষা ও সাহিত্যের দরবার থেকে এই বিষয়ে আমাদের জন্যে প্রেরণা হয়ে আছেন দীনেশচন্দ্র সেন। আমরা হরপ্রাদ শাস্ত্রীকে মনে রাখি। আজ তাঁরও মৃত্যুদিবস। আজ মওলানা ভাসানীর মৃত্যুদিনে তাই আমরা তাঁর ‘বড় বাংলা’র রাজনৈতিক স্লোগানকে আমাদের সাহিত্য ভাবনার অন্দর থেকে স্মরণ করছি।

মনে রাখা দরকার, মওলানা ভাসানী ও দীনেশচন্দ্র সেনরা যে ‘বড় বাংলা’ বা ‘বৃহৎ বঙ্গ’-নিয়ে কথা বলেছেন বারবার, তাঁদের ভাবনাটুকু বৃহৎ বঙ্গের ভাষা, সাহিত্য, নন্দনতত্ত্ব এবং অপরাপর ইতিহাসের মধ্যে হাজির থেকেছে বরাবর। সেই পরম্পরা ধারণ করে তারা এগিয়ে গিয়েছেন জ্ঞানতাত্ত্বিকভাবে এবং রাজনৈতিক আলাপের মধ্যে দিয়ে। মওলানা ভাসানীকে স্মরণ করার মধ্যে দিয়ে আমরা ‘বড় বাংলা’র আলাপকে আবারও উস্কে দিতে চাই।

মওলানা ভাসানী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রসঙ্গে জানাচ্ছেন, তিনি বঙ্গের কোনো বিচ্ছিন্ন ভৌগলিক অঞ্চলকে বাংলাদেশ বলতে রাজী নন। বরং তাঁর চোখে পূর্ববঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ-সহ আদিবঙ্গের সবটা মিলিয়ে বঙ্গ। সুলতানি আমলের বঙ্গ, নবাবী আমলের যে বঙ্গ বা তারও অনেক আগে থেকে বঙ্গ জনপদ থেকে বঙ্গের ধারণা বিস্তৃত হয়ে যতদূর ছড়িয়ে পড়েছে সাংস্কৃতিক ঐক্যের নিরীখে সেই সবটুকুকে নিয়েই তিনি ‘বড় বাংলা’র আলাপ করেছেন। যে বাংলা ভূমিমানুষের, নিপীড়িতের, শূদ্রের, মজলুমের, সর্বহারার… যে বাংলার অধিবাসীরা আর্যীয় আলোকবাদ থেকে শুরু ঔপনিবেশিক আলোকবাদের আগ্রাসনে ক্রমশই প্রান্তিক হয়েছে, নিপীড়নের শিকার হয়েছে, ব্রাহ্মণ্যবাদের ছোবলে শূদ্র হয়েছে, পদদলিত হয়েছে বহিরাগতের, যে বাংলা ঔপনিবেশিকতার হাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে, লুঠ হয়েছে, বুর্জোয়া আধুনিকতা আর পণ্যবাদী দুনিয়ার দ্বারা তছনছ হয়েছে, যে বাংলা ‘হিন্দুত্ব’ আর ইসলামিক জাতিবাদে (এমনকি বাঙালি জাতিবাদেও) খণ্ডিত হয়েছে- সেই বৃহৎ বঙ্গের এইসব নিপীড়িত, শূদ্র, মজলুম, সর্বহারার হক আদায় করে তাদের বাসযোগ্য দেশভূমিকে মানবমুখর করতে চেয়েছেন ভাসানী জাতিবাদ ও পরিচিতবাদের উর্দ্ধে উঠে। দীনেশচন্দ্র সেন যেমন ভাষা, সংস্কৃতি আর সাহিত্যের আলাপের ভিতর থেকে বৃহৎ বঙ্গের প্রান্তিকতায় নিজেকে একাত্ম করেছেন, ঠিক তেমনই ভাসানী রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে বড় বাংলার প্রান্তিক মানুষদের জয়গাঁথা রচনা করতে চেয়েছেন। এই জয়গাথা বঙ্গের মানুষ ভজনার ভাবচর্চার পরম্পরা ছাড়া আর কী বা! তিনি ইসলামের আলোকে ‘হুকুমতে রব্বানিয়া’ বা রবুবিয়াতের যে আলাপ করেছেন, মানুষ ভজনার আলাপই। আল্লাহ বা ঈশ্বরকে স্রেফ শাসক বা আইনদাতা হিসাবে পর্যবসিত করবার বিপদ মওলানা ভাসানীর চেয়ে তীব্র ভাবে আর কেউ বোঝেন নি। তাই তিনি ‘শাসনবাদ’ নয়, চেয়েছিলেন ‘পালনবাদ’। গড়তে চেয়েছিলেন জীবের প্রতিপালন ব্যবস্থা, যার মধ্যে শুধু মানুষ না, পশু পাখী কীট পতঙ্গ জীব অণুজীব সকলে অন্তর্ভূক্ত। ‘মানুষ ভজনা’ কোন মিস্টিক ব্যাপার না, জগতের সকল দেখা বা অদেখা জীব ও তাদের আবাবসসহ প্রকৃতি ও প্রাণ সুরক্ষার রাজনীতি রয়েছে তার মধ্যে। পরম প্রতিপালক আল্লাহ দুনিয়ার সকল প্রাণ ও প্রাণবৈচিত্র্যের প্রতিপালক। তাঁর চোখে হিন্দু নাই, মুসলিম নাই, খ্রিস্টান নাই, ইউরোপীয় নাই, প্রাচ্য নাই… তাঁর চোখে সবাই সমান। রবুবিয়াতের আলাপ তো এটাই। ‘হুকুমতে রব্বানি’ সেই প্রতিপালকের আদর্শের ভিত্তিতে কায়েম করা জীবন ব্যবস্থা। ভাসানী তাঁর গুরুর কাছ থেকে এই বিদ্যা পেয়েছেন। আর এই ভাবকেই তিনি তাঁর রাজনৈতিক আলাপে ধারণ করে গেছেন। যেখান থেকে বড় বাংলার মানুষের হক ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কথা তিনি বারবার বলেছেন। বলেছেন তিনি যখন কংগ্রেস কিংবা স্বরাজ্য পার্টির রাজনৈতিক কর্মী, কিংবা যখন মুসলীম লীগের নেতা হিসাবে এবং তারপর যখন আওয়ামী লীগ ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির গড়ে তুলছেন তখনও। যখন আসন্ন মুক্তিযুদ্ধের জন্য উনসত্তরে সাবেক পূর্বপাকিস্তানে গণ অভ্যূত্থানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদী নেতা হিসাবে হাজির হচ্ছেন তখনও। বাংলাদেশের তাঁর রাজনৈতিক আলাপের মধ্যে তাঁর ভাবমূর্তি ও চিন্তাই কেন্দ্রীয়স্তরে থেকেছে। এমনকি তাঁর জীবনের শেষ কয়েক বছর, স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশেও এই চিন্তাই তাঁর রাজনৈতিক আলাপের কেন্দ্রভাগে ছিল।

মনে রাখা দরকার, মওলানা ভাসানী শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, শুধু একজন বিপ্লবী নন, তিনি একজন পীর, একজন মুরশিদ। গুরুবাদী ধারায় তিনি বিশ্বাসী একজন আধ্যাত্মিক পুরুষ। যে ধারায় আল্লাহ, নবী ও আদম একাকার। কারন এই তিনের সম্বন্ধ উপলব্ধির মধ্য দিয়েই আমাদের রুহানি কর্তাসত্তার বিকাশ ঘটতে পারে। এই ধারা বড় বাংলার ভক্তির ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। ইসলাম ও কোরআন শিক্ষাকে মানুষ সহ সকল জীবের মহিমা প্রতিষ্ঠার রাজনৈতিক সংকল্পে যেমন দৃঢ়, অন্যদিকে বঙ্গের ‘যাহা আছে ভাণ্ডে তাহা আছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে’র আলাপের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। মানুষের মধ্যেই তিনি আছেন, মানুষকেই আল্লা দুনিয়ায় তাঁর খলিফা হিসাবে পাঠিয়েছেন। অতএব ফেরেশতারা যা বুঝতে পারে নি, মানুষকেই তার নিজের মধ্যে সেই দিব্যতার স্বাদ উপলব্ধি এবং সামাজিক-রাজনৈতিক ভাবে কায়েম করতে হবে। মওলানা ভাসানীর আধ্যাত্মিক চিন্তায় ‘মানুষ’ এবং মানুষের মহিমা গুরুত্বপূর্ণ। তাই মানুষই প্রতিপালনের ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। এই জন্য ধর্ম, বিশ্বাস কিম্বা আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে তিনি নিপীড়িতের, সর্বহারার, শূদ্রের, মজলুমের। এই জায়গা থেকেই কমিউনিষ্টদের সঙ্গে তাঁর সখ্য। অথচ তিনি ইউরোপীয় অর্থে ‘কমিউনিষ্ট’ নন।

বঙ্গের লোকভাবনা এখানকার প্রাক-আর্যীয় সনাতন ধারা, ভক্তি-আন্দোলন ও ইসলামের সঙ্গে ভক্তিধারার নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠা। বঙ্গের প্রেক্ষিতে এখানার সুফিবাদ ইত্যাদিকে মওলানা পর্যালোচনা করেছিলেন বঙ্গের কৃষিনিবিড় সভ্যতার ভাষাকে বুঝতে। ইউরোসেন্ট্রিক আখান্যে গা না ভাসিয়ে তিনি শ্রেণীরাজনীতির মধ্যে বপন করেছিলেন রুহানিয়াতের প্রাণ। প্রতিপালনের ব্যাখ্যার ভিতর দিয়ে তিনি যে সাম্যের বয়ান হাজির করেছিলেন, তা শুধুই মনুষ্য সমাজের বস্তুনিবিড় আলাপ নয় বরং তা প্রকৃতি-বস্তু-মানুষের আন্তঃসম্পর্কের ভারসাম্যের আলাপ। জল-জমি-জঙ্গল, বৃক্ষমালা, নদ-নদী, বায়ু, সকল লিঙ্গ, সকল বর্ণ, সকল ধর্ম রক্ষার আলাপ। মানুষ ও প্রকৃতির ভারসাম্যপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়টিকে রবুবিয়াতের আলাপে তিনিই বোধহয় প্রথম তুলে ধরেছিলেন। আজকাল ইকো-সোশ্যালিজম, ইকো-ফেমিনিজম ইত্যাদি শব্দগুলি পরিচিত। কিন্তু ভাষা, সংস্কৃতি, শ্রেণী ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে হকের লড়াইয়ের সঙ্গে বাস্তুভারসাম্যের কথা প্রতিপালনের অভিসন্দর্ভের মধ্য দিয়ে সর্বপ্রথম হাজির করেছিলেন ‘লাল মওলানা’। মওলানা বুঝেছিলেন, বঙ্গের গণযাপন প্রকৃতিনির্ভর। এখানকার অর্থনীতি, সংস্কৃতি, গণযাপন, উৎসব- সবই প্রকৃতিকেন্দ্রিক, কৃষি ও নদীকেন্দ্রিক এবং অরণ্যসম্পর্কিত, সমুদ্রমুখর– তাই শ্রেণী ও সংস্কৃতির আলাপে প্রকৃতিকে হাজির করেছিলেন। বহিরঙ্গে রাধা অর্থাৎ প্রকৃতি আর অন্তঃরঙ্গে কৃষ্ণের যে আলাপ চৈতন্য-নিত্যানন্দরা করে গেছেন, সেই দার্শনিকতা ও তার রাজনৈতিক অভিমুখকে আধুনিক পরিসরে এগিয়ে নিয়ে গেছেন ভাসানী তাঁর রবুবিয়াতের চিন্তার ভিতর দিয়ে। এর মানে তিনি দাঁড় করিয়েছে আল্লাহ আমাদের অন্তরে, কিন্তু খলিফা হিসাবে তাঁর সকল সৃষ্টির সুরক্ষা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আমরা নিজেরাও ‘প্রকৃতি’ হয়ে উঠি। তাই তিনি বৃহৎ বঙ্গের মানুষের, প্রাণ ও প্রকৃতির আলাপ যেমন করেছেন, তেমনই একই সঙ্গে জাতীয়তাবাদের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বের নিপীড়িত, সর্বহারার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। সোভিয়েত বিপ্লব কিংবা চিন বিপ্লবের প্রতি তাঁর সমর্থন ও সংহতি সেখান থেকেই। এভাবেই তিনি আন্তর্জাতিকতাবাদের পক্ষের মানুষ, তবে তা ভাণ্ড ও বিশ্বব্রহ্মাণ্ড নিয়ে বঙ্গের দার্শনিক পর্যালোচনা ও পরম্পরার বাইরে নন। যেখানে ইসলাম উপমহাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য থেকে আলাদা বা বিচ্ছিন্ন নয় আর। শূদ্র মজলুম ও সর্বহারার ভাষা হয়ে উঠেছে।

এই মওলানাকে আমাদের আরও গভীর ভাবে জানতে হবে ও আত্মস্থ করতে হবে।

Share

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top