ত্রিপুরার একটি বারমাসী গান

আবার পড়া

।। অদ্বৈত মল্লবর্মণ ।।

আমাদের চারপাশে বাংলা সাহিত্যের, বড় বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতির এমন অনেক মুল্যবান গ্রন্থ/পুস্তক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, যেগুলি আস্তে আস্তে আমাদের স্মৃতির আড়ালে চলে গিয়েছে, অথচ বড় বাংলা সংক্রান্ত যেকোনো আলাপে সেগুলি অমূল্য প্রায়। ‘প্রতিপক্ষ’ এই সকল টেক্সট পাঠকদের মাঝে পেশ করার একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সেই সূত্রে প্রথমে আমরা কথা সাহিত্যিক অদ্বৈত মল্লবর্মণের লোকসংস্কৃতি সংক্রান্ত প্রবন্ধ-নিবন্ধের পুস্তিকা ‘বারমাসী গান ও অন্যান্য’ থেকে বঙ্গীয় লোকসংস্কৃতি সংক্রান্ত আলাপগুলি প্রকাশ করছি। যার প্রথম গদ্য ‘ত্রিপুরার একটি বারমাসী গান’। ‘প্রতিপক্ষ পত্রিকায় চালু হচ্ছে নতুন বিভাগ ‘আবার পড়া’।’
– সম্পাদকীয় দফতর, ‘প্রতিপক্ষ’।

ত্রিপুরার একটি বারমাসী গান

পল্লীর স্ত্রীলোকদের মধ্যে যে সব যুবতীর স্বামী বিদেশে থাকে, তাহারাই প্রধানত বর্ষীয়সীদের নিকট হইতে শিখিয়া শিখিয়া এই গানগুলি গাহিয়া গাহিয়া তাহাদের অন্তরের মধ্যে স্বামী বিরহটিকে উজ্জ্বল করিয়া জাগাইয়া রাখে। গানগুলি সকরুন সুরে গাহিবার সময় তাহাদের নয়নযুগল হইতে দরদর ধারে অশ্রু বিগলিত হইতে দেখা গিয়াছে। পাড়ার পাঁচজন-সাতজন মেয়েছেলে একত্রিত কোন কাজ করিতে বসিলে কোনো একজন স্ত্রীলোক বারমাসী গায় এবং সকলে কাজের সঙ্গে সঙ্গে শুনিয়া যায় সেই অশ্রুময় কাহিনীগুলি।

বারমাসী গানগুলি নিরক্ষর সমাজের প্রাণস্বরূপ। কে বা কাহারা এই সকল বিরহ বেদনাপূর্ণ ভাষায় গানগুলি রচনা করিয়া গিয়াছে, তাহা খুঁজিয়া বাহির করা নিতান্ত পক্ষে অসম্ভব হইলেও এই শ্রেণীর গানগুলি মুখে মুখে নানাস্থানে প্রচারিত হইয়া সর্বদা পল্লীবাসীর মানসিক আনন্দের খোরাক স্মরণাতীত কাল হইতেই যোগাইয়া আসিতেছে। বিরহ বা বেদনার সুরটিই হইল এই গানগুলির প্রাণ। সাংসারিক ঝঞ্ঝাট ও নানা খুঁটিনাটিতে চির ভারাক্রান্ত পল্লীবাসীদের কেহ কেহ নিশাথিনীর শান্তিপূর্ণ মধুময় রাগিনীর সঙ্গে তাহাদের প্রাণের আবেগপূর্ণ রাগিনী মিশাইয়া এই গানগুলি গাহিয়া থাকে।

গানগুলি প্রধানত দুইটি নায়ক ও নায়িকার মধ্যে, নায়ক চলিয়া যায় বিদেশে বা প্রবাসে আর নায়িকা থাকে অন্তঃপুরে। অসহনীয় বিরহ বেদনার এবং প্রিয় অদর্শনে নিতান্ত কাতর হইয়া নায়িকা তাহার নায়কের আগমনের জন্য পথপ্রান্তে চাহিয়া থাকে। কিন্তু নায়ক আসে না। নায়িকা ক্রমেই অধৈর্য হইতে থাকে।

সারাটি বৎসর নায়কবিহনে, নায়কের জন্য পথ চাহিয়া কেমন করিয়া যে হতভাগিনী কাল কাটায় তাহাই গানগুলিতে মূর্ত হইয়া ফুটিয়া ওঠে। বারটি মাসের দুঃখ বিনাইয়া বিনিয়া অজ্ঞাত কুলশীল ছবি গানগুলির মধ্যে চালিয়া দিয়া গিয়াছেন। বাস্তবিকই গানগুলি বেদনাপূর্ণ ও মর্মস্পর্শী।

পল্লীর স্ত্রীলোকদের মধ্যে যে সব যুবতীর স্বামী বিদেশে থাকে, তাহারাই প্রধানত বর্ষীয়সীদের নিকট হইতে শিখিয়া শিখিয়া এই গানগুলি গাহিয়া গাহিয়া তাহাদের অন্তরের মধ্যে স্বামী বিরহটিকে উজ্জ্বল করিয়া জাগাইয়া রাখে। গানগুলি সকরুন সুরে গাহিবার সময় তাহাদের নয়নযুগল হইতে দরদর ধারে অশ্রু বিগলিত হইতে দেখা গিয়াছে। পাড়ার পাঁচজন-সাতজন মেয়েছেলে একত্রিত কোন কাজ করিতে বসিলে কোনো একজন স্ত্রীলোক বারমাসী গায় এবং সকলে কাজের সঙ্গে সঙ্গে শুনিয়া যায় সেই অশ্রুময় কাহিনীগুলি।

ত্রিপুরার পল্লীগুলিতে প্রধানত লীলার বারমাসী, ফুল্লরার বারমাসী, সীতার বারমাসী,  মা-বাপের বারমাসী, রাধার বারমাসী, ভেলুয়ার বারমাসী এবং শান্তিকন্যার গীতগুলি গীত হইতে দেখা যায়। কী কবিত্ব হিসাবে, কী ভাষায়,  কী শব্দমাধুর্যে সবগুল্লি বারমাসীই খুব সুন্দর। পল্লীর প্রাণের যথার্থ আবেগ ও বেদনা যেন গানগুলিতে মূর্ত্ত হইয়া ফুটিয়া রহিয়াছে।

পল্লীকে বুঝিতে হইলে, পল্লীর ব্যথা বেদনা ও সাধ আকাঙ্খাগুলিকে হৃদয়ঙ্গম করিতে হইলে পল্লীর নিজস্ব সাহিত্যের সঙ্গে আমাদের পরিচিত হওয়া আবশ্যক বলিয়া মনে করি। কারপ, ইহার মধ্যে পল্লীর নিজস্ব ভাবধারাটি ওতঃপ্রোতভাবে বিজড়িত রহিয়াছে। এখন শান্তি কন্যার বারমাসী নামক গানটির পরিচয় দেওয়া যাইতেছে।

ত্রিপুরার পল্লীগুলিতে প্রধানত লীলার বারমাসী, ফুল্লরার বারমাসী, সীতার বারমাসী,  মা-বাপের বারমাসী, রাধার বারমাসী, ভেলুয়ার বারমাসী এবং শান্তিকন্যার গীতগুলি গীত হইতে দেখা যায়। কী কবিত্ব হিসাবে, কী ভাষায়,  কী শব্দমাধুর্যে সবগুল্লি বারমাসীই খুব সুন্দর। পল্লীর প্রাণের যথার্থ আবেগ ও বেদনা যেন গানগুলিতে মূর্ত্ত হইয়া ফুটিয়া রহিয়াছে।

শান্তির শৈশবে কোনো ধনী সদাগরের ছেলের সঙ্গে বিবাহ হইয়াছিল। বিবাহের পর সদাগরি প্রথা অনুসারে স্বামী বার বৎসরের জন্য ‘বার বাইস তের ডিঙ্গা’ সাজাইয়া বাণিজ্য করিতে গেল।

দেখিতে দেখিতে শান্তির বাল্যসুলভ চাপল্যের মধ্যে ধীরে ধীরে যবনিকা পড়িল, শরীরে নবযৌবনের মুকুল অঙ্কুরিত হইতে লাগিল। কিশোর তনিমা ছাপাইয়া রূপলাবণ্যের জোয়ার আসিল, ভাদ্র মাসের কূলে কুলে পূ্র্ণসলীলা তটিনীর মতো। এই সময় স্বভাবত প্রাণাধিক প্রিয়তমের জন্য প্রাণ তাহার আলুলি-বিকুলি করিতে লাগিল। এই সময় সে তাহার পিত্রালয়ে।

এদিকে শান্তির স্বামীও বহুদিনের প্রিয়া বিচ্ছেদের দরুণ নিতান্ত আকুয়ল হইয়া প্রবাসে থাকিয়াই বারবার তাহার প্রিয়াকে স্মরণ করিতে লাগিল। তারপর বাণিজ্যের বার বৎসর পূর্ণ হইবার এক বৎসর বাকি থাকিতেই সে ফিরিয়া আসিল। কিন্তু দীর্ঘদিনের পত্নীর নিকট হইতে দূরে থাকায় সে শান্তির চরিত্রে সন্দিহান হিয়া তাহাকে পরীক্ষা করিবার জন্য মনোযোগী হইলো।

একদিন কলসী লইয়া শান্তি সরোবরে জল ভ্রিতেছিল, ইত্যবসরে তাহার স্বামী ছদ্মবেশে অপরিচিত প্রণয়ীর বেশে উপস্থিত হইয়া শান্তির নিকট তাহার অবৈধ প্রণয়জ্ঞাপন করিল। শান্তি তাহার প্রেম ঘৃণায় প্রত্যাখ্যান করিল। তারপর সে দীর্ঘ বারটি বৎসর পর্যন্ত নানাভাবে শান্তির প্রেম পাইবার জন্য চেষ্টা করিল। শান্তি তাহার প্রেম ঘৃণায় প্রত্যাখ্যান করিল। তারপর দীর্ঘ বারটি বৎসর পর্যন্ত নানাভাবে শান্তির প্রেম পাইবার জন্য চেষ্টা করিল। কিন্তু অচলা-অটলা শান্তি কিছুতেই তাহাকে আমল দেয় নাই। শান্তির চরিত্রে এইরূপ অপূর্ব দৃঢ়তায় এবং পবিত্রতায় মুগ্ধ হইয়া শেষে সে আত্ম-পরিচয় প্রদান করে। দীর্ঘ দিবসের পর স্বামী স্ত্রীর মিলন হয়।

ছদ্মবেশী স্বামী :
জল ভর শান্তি কন্যা, জল ভর তুমি।
যে ঘাটে ভরিয়া জল গো, চৌকিদার আমি।।

শান্তি:
রাজা দিছে রাজদীঘি, শানের বান্ধান ঘাট।
শান্তিকন্যা জল ভরিতে কিসের চৌকিদার।।

ছদ্মবেশী স্বামী:
এই মাস ভাঁড়াইলে শান্তগি, না পুরাইলে আশ।
নব রঙ্গ ছুরত লইয়া সামনে কার্ত্তিক মাস। (ধূয়া)

ছদ্মবেশী স্বামী:
এইত কার্ত্তিক মাসে দুই তার উঠে চান্দ।
দেখা দিয়া রাখ শান্তি নাগরের পরাণ।।

শান্তি:
তুমি যেরে পরের ছাইলা, আমি পরের নারী।
আমার কি যে শকতি আছে, দেখা দিতে পারি।।

ছদ্মবেশী স্বামী:
এই মাস ভাঁড়াইলে শান্তি না পুরাইলে আশ।
নব রঙ্গ ছুরত লইয়া সামনে অঘ্রাণ মাস।। (ধুয়া)
এইত আঘ্রাণ মাসে ধানে বান্ধে কীট।
তোর যৈবন দেখে আমার চিত্ত নহে স্থির।।

শান্তি:
আপন সোয়ামী যার দীঘল পরবাসী।
যৈবনের মুখে তার ছাই আর মাটি।।

ছদ্মবেশী স্বামী:
এই মাস ভাঁড়াইলে শান্তি না পুরাইলে আশ।
নবরঙ্গ ছুরত লইয়া সামনে পৌষমাস।। (ধূয়া)
এইত পৌষ না মাসে শীতের অঙ্কুরি।
তোমার বাড়ির অতিথ হইলে রসুই দিবা কি।।

শান্তি:
ডাইল দিবাম, চাউল দিবাম, আর দিমাম হাড়ি।
রসুই কইয়া খাইতে দিবাম সুবর্ণের থালি।।

ছদ্মবেশী স্বামী:
এই মাস ভাঁড়াইলে শান্তি না পুরাইলে আশ।
নবরঙ্গ ছুরত লইয়া সামনে মাঘ মাস।। (ধূয়া)
এইত মাঘ না মাসে রাজায় খেলায় পাশা।
আম-ডাল ভরসা কইরা কোকিল করে বাসা।।

শান্তি:
বাসা করুম লণ্ডভণ্ড, পাইরা মারুম ছাও
যথায় গেছে প্রাণের সাধু, যাইব তথায়।।

ছদ্মবেশী স্বামী:
এই মাস ভাঁড়াইলে শান্তি না পুরাইলে আশ।
নবরঙ্গ ছুরত লইয়া সামনে ফাল্গুন মাস।। (ধূয়া)
এইত ফাল্গুন মাসে বৈদের বড় জ্বালা।
বৈদের তাপে সোনার শরীল হইল তোমার কালা।।

শান্তি:
পুষ্কণিতেকি করিবে তার উভে।
বৈদেশে যাহার পতি, কি কজরিবে তার রূপে।।

ছদ্মবেশী স্বামী:
এই মাস ভাঁড়াইলে শান্তি না পুরাইলে আশ।
নবরঙ্গ ছুরত লইয়া সামনে চৈত্র মাস।। (ধূয়া)

শান্তি:
এইত চৈত্র না মাসে গেরস্ত বাইন্যায় বীজ।
আন গো কটোরা ভরি খাইয়া মরি বিষ।।
বিষ খাইয়া মইরা যাইবারত, কান্দবে বাপ মায়।
আর ত না দিবে বিয়া পরবাসীর ঠাঁই।।

ছদ্মবেশী স্বামী:
এই মাস ভাঁড়াইলে শান্তি না পুরাইলে আশ।
নবরঙ্গ ছুরত লইয়া সামনে বৈশাখ মাস।।

শান্তি:
এইত বৈশাখ মাসে ভূমিতে নালিতা।
সর্বলোকে খায় শাকরে, নারীঊর আঙ্গে তিতা।।
রান্ধিয়া বাড়িয়া শাকরে তুইল্যা লইলাম থালে।
প্রাণের সাধু দেশে নাই শাক পারশিব কারে।।

ছদ্মবেশী স্বামী:
এই মাস ভাঁড়াইলে শান্তি না পুরাইলে আশ।
নবরঙ্গ ছুরত লইয়া সামনে জৈষ্ঠ মাস।।

শান্তি:
এইত জ্যৈষ্ঠি না মাসে নানা কৃষির ফল।
দেশে আর বৈদেশে যায়রে এ আম কাঁঠল।।
আহা রে পাপিষ্ঠ ফলরে পাকিলে সে ঝরে।
অভাগিনীর শান্তির ধৈবন আঞ্চল বাইয়া পড়ে।।

ছদ্মবেশী স্বামী:
এই মাস ভাঁড়াইলে শান্তি না পুরাইলে আশ।
নবরঙ্গ ছুরত লইয়া সামনে আষাঢ় মাস।।

শান্তি:
এইত আষাঢ় মাসে গাঙ্গে নয়া পানি।
কত কত সাধুর নাওরে উজান আর ভাইটানি।।
যে-অ সাধু পাছে গেছে সে-অ আইল আগে।
অভাগিনীর প্রাণের সাধু খাইল লঙ্কার বাঘে।।

ছদ্মবেশী স্বামী:
এই মাস ভাঁড়াইলে শান্তি না পুরাইলে আশ।
নবরঙ্গ ছুরত লইয়া সামনে শাঙন মাস।।

শান্তি:
এইত শাঙা মাসে শাঙানিয়া ধারা।
ডাহুক ডুম্বূরার ডাকে শরীর করলাম কালা।।
ডাহুক মারুম ডুম্বূর মারুম, পাইড়া মারুম বীজ।
যথায় গেছে প্রাণের সাধু করিবাম উদ্দীশ।।

ছদ্মবেশী স্বামী:
এই মাস ভাঁড়াইলে শান্তি না পুরাইলে আশ।
নবরঙ্গ ছুরত লইয়া সামনে ভাদর মাস।।

শান্তি:
এইত ভাদির মাসে গাছে পাকা তাল।
প্রাণের সাধু দেশে নাইরে কেবা খাইবে তাল।।
তাল খাইত, পিঠা খাইত, নবীন গাভীর দুধ।
জোড়া মন্দির ঘত্রে গিয়া কহিতাম দুঃখ-সুখ।।

ছদ্মবেশী স্বামী:
এই মাস ভাঁড়াইলে শান্তি না পুরাইলে আশ।
নবরঙ্গ ছুরত লইয়া সামনে আশ্বিন মাস।।

শান্তি:
এইত আশ্বিন মাসে নব দুর্গার পূজা।
কেহ মানে মেষ মহিষ, কেহ মানে অজা।।
কেহ মানে মেষ মহিষ, কেহ বা ছাগেল।
আমার সাধু দেশে আইলে দিতাম জোড়া পাঁঠা।।

ছদ্মবেশী স্বামী:
এই মাস ভাঁড়াইলে শান্তি না পুরাইলে আশ।
নবরঙ্গ ছুরত লইয়া সামনে কার্ত্তিক মাস।।
এই কার্ত্তিক মাসে বৎসরের শেষ।
হাইস্যা বিদায় দেওগো কন্যা যাই গো আপন দেশ।।

শান্তি:
ভিন্ন দেশের ভিন্ন পুরুষ, আমি ভিন্ন নারী।
আমার কিরে শাকতি আছে বিদায় দিতে পারি।
ঘরে আছে বৃদ্ধ মা-বাপ, জিজ্ঞাস করি আমি।
কি করগো বৃদ্ধ মা বাপ, কি কর বসিয়া।
কারখে লইছিলে টাকা কড়ি কার ঠাঁই দিছিলা বিয়া
সোনার বাঁটায় ধান্য দুর্বা, রূপার বাঁটায় তেল।
ধীরে ধীরে বুড়াবুড়ি জামাই চাইতে গেল।

আউলাইয়া মাথার কেশ দুই ভাগ করিয়া।
প্রণাম জানাইলো সতী চরণে ধরিয়া।
আইসো আইসো শান্তি কন্যা তোরে দেই গো বর।
আশম,আনের চভন্দ্র যেমন বেড়িল তারাগণ।

অদ্বৈত মল্লবর্মণ

 ১জানুয়ারি, ১৯১৪- ১৬ এপ্রিল, ১৯৫১। বাঙালি ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক। তৎকালীন কুমিল্লা জেলার অধীনে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া মহকুমার গোকর্ণঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিতাস একটি নদীর নাম  উপন্যাস লিখে তিনি বাংলা সাহিত্যের চিরস্মরণীয় ও অমর প্রতিভা হিসেবে সবিশেষ স্বীকৃতি লাভ করেন। এই উপন্যাসটি সর্বপ্রথম ‘মাসিক মোহাম্মদী‘ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

Share