উত্তর সম্পাদকীয় ।। নজরুল আহমেদ ।।
বাংলাদেশের ছাত্রদের প্রতি সহমর্মিতা পোষণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন “সে যে কোনও মানুষেরই রক্ত ঝড়ুক না কেন তাঁদের প্রতি আমরা সহমর্মী, আমরা দুঃখী। এতগুলি তরুণ তাজা ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাণ চলে যাচ্ছে…” সাহায্যের বিষয়ে তিনি বলেছেন, ” বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে আমরা খুব বেশি কথা বলতে পারি না, এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপার। কিন্তু অসহায় মানুষ যদি আমাদের দরজায় কড়া নাড়ে তাহলে আমরা তাদের আশ্রয় দেব। রাষ্ট্রপুঞ্জের একটা প্রস্তাব আছে, কেউ যদি রিফিউজি হয়ে আসে পার্শ্ববর্তী এলাকা তাকে সম্মান জানাবে এবং আশ্রয় দেবে।” বাংলাদেশের অনেক ছাত্র পশ্চিমবঙ্গে পড়াশোনা করতে আসে এবং চিকিৎসার জন্যও আসে। তাঁদেরও যদি কোন সহযোগিতার দরকার হয় তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন বলেও জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র নিয়ে তার হাত-পা বাঁধা থাকলেও সীমিত সীমার মধ্যে থেকেই তিনি যে কথাগুলি বললেন সেটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
অথচ পশ্চিমবঙ্গের তথাকথিত বাম-গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনগুলো বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানাতে যে পোস্টার বানিয়েছে, তাতে লেখা আছে ” মমতা থেকে হাসিনা, স্বৈরাচার মানছি না ‘। হাস্যকর এবং অযৌক্তিক স্লোগান এই স্লোগান। ভারত রাষ্ট্রের একটা অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা রাজনীতি এবং ভারতীয় সংবিধান নিয়ে বিন্দুমাত্র খবর রাখেন তারা প্রত্যেকেই জানেন ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে রাজ্যগুলির ক্ষমতা খুবই সীমিত। ক্ষমতার সিংহভাগ কেন্দ্রীয় সরকারের হাতেই কুক্ষিগত। যতটুকু সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা রাজ্যগুলির হাতে আছে মোদির রাজত্বে সেটাও অনেকটা খর্ব করা হয়েছে। এই অবস্থায় একটা সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট শাসক হাসিনার স্বৈরশাসনের সঙ্গে গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধান মমতা বন্দোপাধ্যায়ের শাসনকে এক করে যারা দেখছেন তারা মূর্খ এবং অজ্ঞ। এই স্লোগানের মধ্যে হাসিনার সঙ্গে মমতাকে এক করে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু যার কাছ থেকে স্বৈরাচারের পাঠ নিয়েছেন হাসিনা সেই নরেন্দ্র মোদিকে আশ্চর্যজনকভাবে ভাবে এই স্লোগান থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে। ছাত্রদের উচিত এই শ্লোগান সংশোধন করা।
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন ও পশ্চিমবঙ্গ
বাংলাদেশে রক্তক্ষয়ী ছাত্র সংগ্রাম চলছে। শয়ে শয়ে তরুণ তাজা ছাত্র-ছাত্রীদের রক্তে বাংলাদেশের রাস্তা ভেসে যাচ্ছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পুলিশ ও সৈন্যদের গুলির আওয়াজ ও বারুদের ধোঁয়ায় বাংলাদেশের পরিবেশ যেমন বিষাক্ত হয়েছে তেমনই শহীদ ছাত্রছাত্রীদের রক্তে ভেসে গেছে বাংলাদেশের রাস্তা। এই অবস্থায় যখন ভারত-সহ সমস্ক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানরা হাসিনা সরকারের এই ফ্যাসিস্ট আচরণে নিরব তখন ভারতের এক অঙ্গরাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত রাষ্ট্রের সমস্ত রকমের সমালোচনা ও চোখ রাঙানীর সম্ভাবনাকে এক প্রকার অগ্রাহ্য করেই তিনি জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের কোনও অসহায় মানুষ যদি এই পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় চান তাহলে তিনি আশ্রয় দেবেন। সে বিষয়ে তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জের রিফিউজি বিষয়ক প্রস্তাবকেও হাতিয়ার করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণা যেমন একাধারে মানবিক অন্যদিকে নিঃসন্দেহে সাহসী ও বৈপ্লবিক। যথারীতি হাসিনার মেন্টর দিল্লির গেরুয়া শাসকের দলবল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এই অবস্থানের বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করেছে। বিজেপি-সহ ভারতের হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তানি ফ্যাসিস্ট
অন্যদিকে এটা বলা দরকার, ছাত্র প্রবল আন্দোলনের চাপে পড়ে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট সংরক্ষণের শতকরা হার কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও এতে ছাত্র আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে না। বাংলাদেশে যে উত্তাল ছাত্র আন্দোলন চলছে সেটা এখন আর শুধু কোটা সংস্কারের দাবিতে বন্দি নেই , সার্বিকভাবেই হাসিনা সরকারের ফ্যাসিস্ট শাসনের সার্বিক বিরোধিতার চেহারা নিয়েছে এই আন্দোলন। ছাত্র-ছাত্রী-সহ সার্বিকভাবেই বাংলাদেশের মানুষ এখন হাসিনাকে সিংহাসন থেকে নামাতে চাইছে। বিগত প্রায় ৩ দশক ধরে হাসিনা যে কায়দায় বাংলাদেশে সরকার চালাচ্ছে সেটা স্বৈরাচারের সব মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। মানুষকে কোনওরকম ভোট দিতে না দিয়ে ভারত রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদতে দু দশক ধরে বাংলাদেশের সিংহাসন ধরে রেখেছে শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্র নীতি একান্তভাবেই ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন। এ ব্যাপারে কোনও অঙ্গরাজ্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। তারপরেও সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও একটা দায় থেকে যায়। সেই দায় অনুভব করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দায় মানবিকতার দায়। পড়ছি দেশ বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে পশ্চিমবাংলার মানুষের ভাষাগত, সংস্কৃতিগত সব ধরনের মিল আছে। রাজনৈতিক কারণে দুই বাংলা ভাগ হলেও হৃদয়ের টানে দুই বাংলা এখনো এক। তাই বাংলাদেশের এই বিপদের দিনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর একটা দায় থেকেই যায়।
বাংলাদেশের মানুষ, যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিয়ে খবর রাখেন তারা প্রত্যেকেই কমবেশি জানেন যে একুশে জুলাই হল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সবথেকে বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি, দলীয় শহিদ দিবস। রবিবার বৃষ্টিস্নাত দিনেই ছিল সেই শহিদ স্মরণ সমাবেশ/। কলকাতা শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলার শহীদ সমাবেশের মঞ্চ থেকেই বাংলাদেশের ছাত্রদের প্রতি সহমর্মিতা পোষণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে তিনি ঠিক কী বলেছেন সেই বক্তব্যটা তুলে ধরা উচিত। তিনি বলেছেন “সে যে কোনও মানুষেরই রক্ত ঝড়ুক না কেন তাঁদের প্রতি আমরা সহমর্মী, আমরা দুঃখী। এতগুলি তরুণ তাজা ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাণ চলে যাচ্ছে…” সাহায্যের বিষয়ে তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে আমরা খুব বেশি কথা বলতে পারি না, এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপার। কিন্তু অসহায় মানুষ যদি আমাদের দরজায় কড়া নাড়ে তাহলে আমরা তাদের আশ্রয় দেব। রাষ্ট্রপুঞ্জের একটা প্রস্তাব আছে, কেউ যদি রিফিউজি হয়ে আসে পার্শ্ববর্তী এলাকা তাকে সম্মান জানাবে এবং আশ্রয় দেবে।” বাংলাদেশের অনেক ছাত্র পশ্চিমবঙ্গে পড়াশোনা করতে আসে এবং চিকিৎসার জন্যও আসে। তাঁদেরও যদি কোন সহযোগিতার দরকার হয় তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন বলেও জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র নিয়ে তার হাত-পা বাঁধা থাকলেও সীমিত সীমার মধ্যে থেকেই তিনি যে কথাগুলি বললেন সেটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। পররাষ্ট্র বিষয়ে প্রতিটি দেশেরই একটা রাষ্ট্র নীতি আছে। সেটা ভারত রাষ্ট্রেরও আছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গেই ভারতের সম্পর্ক ভালো। সেই রাষ্ট্রীয় ভালো সম্পর্কের মধ্যে সাধারণ মানুষের ভালো-মন্দ গুলি খুব একটা উঠে আসে না। পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতের মোট পাঁচটি রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমানা আছে। পশ্চিমবঙ্গ বাদ দিয়ে সেইগুলি হলো আসাম, মিজোরাম, মেঘালয়, ও ত্রিপুরা। পশ্চিমবঙ্গ বাদ দিয়ে এই চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে কিছু বলেছে কি? না বলেনি। তাদের বলার সাহসও নেই তাদের কোনও দায়ও নেই। তাছাড়া তাঁরা প্রত্যেকেই নরেন্দ্র মোদীর অঙ্গুলীহেলনে চলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি জানেন না তিনি এই ধরনের কথা বলার পর সমালোচিত হবেন? হ্যাঁ তিনি জানেন। বিজেপির বহুদিনের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যক্ষ মদতে বাংলাদেশিরা নাকি পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ছে। এর সঙ্গে ধর্মেরও একটা যোগ আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি মুসলমান তোষণকারী। যদিও এই অভিযোগের কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই তবুও বিজেপির আক্রমণ ও অভিযোগের সম্ভাবনাকে তোয়াক্কা না করেই ও একপ্রকার রাজনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে মমতা বাংলাদেশের ছাত্রদের প্রতি যে সহমর্মিতা জ্ঞাপন করলেন এবং কেউ সাহায্য চাইলে তাদের সাহায্য করবেন বলে জানালেন সেটা নিঃসন্দেহে একটা গণতান্ত্রিক ও মানবিক সিদ্ধান্ত । রাষ্ট্রপুঞ্জের যে রিফিউজি বিষয়ক প্রস্তাব রয়েছে সেখানেও বলা আছে নিজ দেশে আক্রান্ত হয়ে কোন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হলে পড়সি দেশের তাকে আশ্রয় দেওয়া উচিত। এটা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদের সঙ্গেও যুক্ত। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটা অঙ্গরাজ্য হলেও বাংলাদেশের মানুষ এই বিপদের দিনে ক্ষণিকের জন্য থাকতে পশ্চিমবঙ্গকেই যে বেছে নেবেন সেটাই তো স্বাভাবিক। আর সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত বাড়ানো টাও বাঞ্ছনীয়।
বাংলাদেশের উত্তাল ছাত্র আন্দোলনের ঢেউ এই পশ্চিমবঙ্গেও আছড়ে পড়েছে। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলি প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে। গত শুক্রবার বাম-গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনগুলি কলকাতায় বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন এর ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল। তাদের মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস থেকে। কিন্তু মিছিল কিছুটা অগ্রসর হওয়ার পরই আটকে দেয় পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। এবং কিছু ছাত্রকে কিছু সময়ের জন্য গ্রেফতারও করে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। পুলিশের এই আচরণ নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। কিন্তু যেইভাবে বাম-গণতান্ত্রিক ছাত্র গঠনগুলির একটা অংশকে দেখছি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার স্বৈরাচারের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক করে দেখছে সেটা অত্যন্ত অবাক করে দেওয়ার বিষয়। আজ সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একটা অংশ একটা বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। সেটা নিয়ে যে পোস্টার বানানো হয়েছে, সেখানে লেখা আছে ” মমতা থেকে হাসিনা, স্বৈরাচার মানছি না ‘। হাস্যকর এবং অযৌক্তিক স্লোগান। ভারত রাষ্ট্রের একটা অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা রাজনীতি এবং ভারতীয় সংবিধান নিয়ে বিন্দুমাত্র খবর রাখেন তারা প্রত্যেকেই জানেন ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে রাজ্যগুলির ক্ষমতা খুবই সীমিত। ক্ষমতার সিংহভাগ কেন্দ্রীয় সরকারের হাতেই কুক্ষিগত। যতটুকু সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা রাজ্যগুলির হাতে আছে মোদির রাজত্বে সেটাও অনেকটা খর্ব করা হয়েছে। এই অবস্থায় একটা সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট শাসক হাসিনার স্বৈরশাসনের সঙ্গে গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধান মমতা বন্দোপাধ্যায়ের শাসনকে এক করে যারা দেখছেন তারা মূর্খ এবং অজ্ঞ। এই স্লোগানের মধ্যে হাসিনার সঙ্গে মমতাকে এক করে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু যার কাছ থেকে স্বৈরাচারের পাঠ নিয়েছেন হাসিনা সেই নরেন্দ্র মোদিকে আশ্চর্যজনকভাবে ভাবে এই স্লোগান থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে। ছাত্রদের উচিত এই শ্লোগান সংশোধন করা। যেভাবে রাজনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে এবং সীমিত ক্ষমতার মধ্যে থেকে বাংলাদেশের ছাত্রদের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছেন এবং অসহায় বাংলাদেশীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে তাতে অন্তত এই ইস্যুতে মমতার প্রশংসা করা উচিত। তার মানে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন স্বৈরাচারী আচরণের সমালোচনা করা যাবে না। অবশ্যই করা যাবে। এবং সেই সমালোচনা করা উচিতও। অতীতেও রাজ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের স্বৈরাচারী মনোভাবের সমালোচনা করেছেন রাজ্যের মানুষ এবং মিডিয়ার একটা অংশ। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সমালোচনা সাধারণ নাগরিকরা করবে এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইসুতে হাসিনার স্বৈরাচারের সঙ্গে মমতাকে এক করে দেখাটা একদমই কাম্য নয়।
নজরুল আহমেদ
গণজ্ঞাপন বিষয়ক গবেষক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবেক সাংবাদিক।