।। মেসবা আলম অর্ঘ্য ।।
১৩
কারা যেন আমার উঠানে শুয়ে আছে
তুষার থামার পর
হু হু করে নেমেছে পুর্ণিমা
শেষরাতে
শহর ভরা ডাবের ননীর মতো আলো—
তার উপর কারা যেন জড়াজড়ি করে শুয়ে আছে
১৪
কী বাতি জ্বালবো এই ঘরে?
কোথায় থাকে তোমার প্রাক্তন?
আমি তোমার চোখের ভিতর
ঠোঁটের ভিতর
বুনলাম যেই তারাচুমকির মালা
ও সেটা কাদায় পুতে রেখে গেছে
আমার ফুলগাছে গড়াচ্ছে ওর জুতার আঁচড়
১৫
মাংস কাঁদছে তার
অর্থ আর অসীমের মাঝে
মামুলি খুমারি
সব হার মেনে নেয়া
আকাশগলা মাটি। মাটিরং ফুলের কাফনে—
দেখাগুলি, শোনাগুলি
নির্ণয় নিষ্পত্তিগুলি, মুহূর্তে একলা জ্বলে
নিভে যাওয়া
একবিন্দু পানি’র
আশ্চর্য অনিঃশেষ আয়ু
অপর তার সে, এই অকূল
নদীর কিনারে
১৬
আমি যেই শ্যাওলা চাদর
আমি যেই ছুঁড়ে দেয়া ঢিল তার গায়ে
লহরী উঠছে—
পুকুর মুছে নেমে যাচ্ছি,
এবং সহসা
চাদর টেনে ঢেকে ফেলছি
নিজেকে আবার—
যেন আমি কোনোদিন
যথেষ্ট ঢিল হয়ে
যথেষ্ট আমার ওই
পুকুরের জলে ছিলামই না
তবু, যা কিছু কিনার, তল— গভীর কাদায় যার
ধীরে ডুবে… কৃষ্টির মতো
গেঁথে যাবো—
তারও তলদেশে,
অন্ধকার শ্যাওলার তাবৎ পৃথিবী
আমি এক ছুঁড়ে দেয়া ঢিল
তার গায়ে
মেসবা আলম অর্ঘ্য
জন্ম : ডিসেম্বর ১৯৮১, ঢাকা। প্রকাশিত কবিতা গ্রন্থ-গ্রন্থিকা : ‘আমি কাল রাতে কোথাও যাই নাই’(২০০৮), ‘তোমার বন্ধুরা বনে চলে গেছে’(২০১১), ‘মেওয়াবনে গাণিতিক গাধা’(২০১১), ‘তোমার সাথে আক্ষরিক’(২০১৬)।
তৃতীয় লেখাটি বাঁধুনীতে এক অপুর্ব শ্যাংগ্রিলা আমদানী করেছে অংশবিশেষে।