।। নীলাব্জ চক্রবর্তী ।।
সিনেমার ব্যাকরণে একটা আয়নাক্ষেত ঢুকে পড়লে
ট্রায়াল রুমে অথচ
একটা ঢালু দিন
ঝুলছে
শার্টের হাতায় একটা চৌকো অভ্যাস
ভাঁজ হচ্ছে
একটা গল্প
একটা গ্রাফপেপার
সিনেমার ব্যাকরণে ওরা এটা এরকম ভাবে করে থাকে
বর্তুলাকার একটা রঙ
স্তন ভেবে
আয়নাক্ষেত
ধোঁয়া একটি সাদাকালো অভ্যাসে বসানো
ঠোঁট বদল করছে
যে হলুদ তীরচিহ্ন কোনদিকে
ঝুঁকে
কিছু খুঁজছেন
কবিতাটা শেষ হয়ে আসছে
লক্ষ করুন…
ফিরে আসবে আসবে
একটা বিকেল কিছু রাজনৈতিক
রঙ
উঠছে
থোকা থোকা ব্যবহার উঠছে
কী স্মুদ
কটা দেওয়াল
নাকি একটা আয়না
আরেকটা আয়নার কাছে সরে
আমাকে লক্ষ করে
খালি
কবিতার মতো
কিছু একটা ফিরে আসবে আসবে…
কিছু একটা
তারপর
একটা দূরবীণ
উলটে ফেলা
গল্পের সামনে এসে দাঁড়ায়
প্র্যাকটিক্যাল কথার মতো
একটাই রঙ সবার বালিশে
থেকে যাওয়া
একটাই স্বপ্ন উঠছে
শান্ত প্যানোরামার ভেতর
কোনও সাদা দৃশ্যে
ধুলো হচ্ছে কুচো কুচো গান
এমন ব্যবহার
কে
সম্পর্ক করছে
এই নিয়ে
কিছু একটা ভালবাসা লিখব লিখব তো…
স্মৃতিস্তব্ধ
স্মৃতিস্তব্ধ একটা রঙ
জলের নীচে
স্টার্চড একটা অভ্যাস হয়ে
যে কবিতাটা
অনেক আগেই লেখা হয়ে গেছে
বারবার স্নানের টেবিল সই করার টেবিল
বারবার
এই জিরাফছাপ দিন
কার
এক অন্যমনস্ক ভাষায়
সংখ্যাগুলো
কেমন স্লিপ করছে…
একটা পুরানো বিজ্ঞাপন
তারিখ পড়লো
নীল
ক্যাম্বিসের স্মৃতিতে যেমন রোদ পড়ল আবার
একটি রসস্থ কবিতায় ভেসে
পুরনো বিজ্ঞাপন উঠল
ধ্বনি ফেলে
ভাষার পোশাক ফেলে
কখনও
পাথরের দেওয়াল অবধি ছুটে গেল
যে গণিতসম্ভাবনা
ঝুঁকে
যে আমরা
ইস্যুর পর ইস্যু নির্বাচন করে
কিছু নেই
কোথাও
শুধু
কী মসৃণ এই খসখসে ভাবটা বইছে…
নীলাব্জ চক্রবর্তী
শূন্য দশকের কবি। জন্ম ১৯৭৭ সালের আগস্ট মাসে, কলকাতায়। নিবাস: পুরানো কলকাতায়। প্রকাশিত কবিতার বই: ‘পীত কোলাজে নীলাব্জ’ (জানুয়ারি ২০১১, ৯য়া দশক, ‘গুলমোহর… রিপিট হচ্ছে’ (ই-বুক) (নভেম্বর ২০১৩, বাক্), ‘প্রচ্ছদশিল্পীর ভূমিকায়’ (জানুয়ারি ২০১৪, কৌরব), ‘লেখক কর্তৃক প্রকাশিত’ (জানুয়ারি ২০১৭, ‘আপনার বার্গার আরও মজাদার বানিয়ে তুলুন’ (জানুয়ারি ২০১৮, ঐহিক. প্রকাশিত উপন্যাস: ‘কোনও চরিত্রই কাল্পনিক নয়’ (উপন্যাস, জানুয়ারি ২০১৯, সৃষ্টিসুখ)
ভালোলাগা: গানের পুরনো আর কবিতার নতুন। শর্ট ফিল্ম নির্মাণ করতে চান।