।। অভিষেক ঝা ।।
“তহন মন ছিল না ওটা ওয়াকফের জমি?”— “ তহন মনে ছিল না ওই জমির পর্চা দেওয়া যাবে না?”— “তহন মনে ছিল না আমরা ভাটিয়া, নদীর নিচায় থাহি, আমাদের সবকিছু নিচা?”— “তহন মনে ছিল না শালা ভঁইষগুলো জলকাদা মেখেও থেকে যাবে?”— “তহন মনে ছিল না এগুলা কাদা, জংলা, পাঁক সরায়ে ক্ষেতি করে নিবে?” — “তহন মনে ছিল না আমরা শালা চাঁড়াল?”— “তহন মনে ছিল না আমরা জোঁক?”— “তহন মনে ছিল না যারা কবরে ধান রুইয়া থাহে, তারা রক্তবীজ?”— “ তহন মনে ছিল না আমরা বাইরে থেকে আইছি?” “তহন মনে ছিল না যারা মুসলমানকেও ডরায় না, তারা দানো?” “তহন মুসলমান গ্রামে বাড়ির দখল নিতে পাঠাতো কেডা?” — সমস্ত প্রশ্ন শেষে আর কয়েকটা দিন হাতে নিয়ে একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন নিয়ে বাড়ি ফিরে তারা।
গোর
“কবরের ভিতর কে শুয়ে আছে ঠাক’মা?”
“হুর ছেড়ি! গোর তো মুসলমানের হয়। এইডা সমাধি; সমাধির ভিতর কেউ হুইয়া থাহে না। আসন কইরে বইসা থাহে। সমাধির ভিতর তোর ঠাকুরদার ঠাকুরদা বইসে আছে; নমো কর…” ।
কথাটা এই নিয়ে কতবার হল? গুনে দেখলে একশবারেরও বেশি। প্রথম হয় নয় বছর আগে। বারো বছরের মেয়েটা উঠে যায়। দুটি বৃষ্টির মাঝের স্যাঁতস্যাঁতা সময়। পা টিপে টিপে যাবে জায়গাটায়। একটা ছ্যাতাময় ঘোড়ানিম। গা দিয়ে লাল পিঁপড়ার পাল বয়ে যাচ্ছে। চোখ চমকে যায়। এত বড় বিছা! বিশাল লাল গা নাড়িয়ে চলেছে। গাছটা মানুষ হলে ভয় পেত! গাছ নির্বিকার। শিকড় দিয়ে জল শুষেই চলেছে। শিকড়ের ফ্যাকসা নদীগুলো জাগে। শিকড়ে এসে লাগছে মাটির জল। মাটির ভিতর থাকা তার ঠাকুরদার ঠাকুরদা। আসছে মাটি হয়ে যাওয়া হাড়। মাটি হয়ে যাওয়া রক্ত আসছে। মাটি হওয়া মাটি। সমাধির মাথার কাছে ছাতা। ডাঁট বাঁকা। একধার ক্যাঁতড়ানো। মেলে দিয়েছে তার ঠাকুরমা। বর্ষার জলে না ভেজে যেন। সারা গ্রীষ্ম ধরে না পোড়ে যেন। যাতে লোকটা একটু জিরতে পায়। এই এলাকায় প্রায় চল্লিশটা ক্ষেত। এদের ভালোমন্দ দেখতে হয় তাঁকে। ধানের শিশুগুলি বাতাসে চুল উড়ায়। নাচন দেখে তাঁর ভালো লাগে। এই দৃশ্য সেই প্রথম দিন থেকেই আছে। তাঁর মনে হয়। দেখতে হয় তাকে আরো কিছু। পুকুরে ছাড়া মাছ বর্ষায় রাস্তায় না আসে যেন। গোলাপজাম গাছে আসা গোলাপজাম পাকে। তার আগায় যেন পোকা না ধরে । বড় শখের গন্ধরাজ লেবুতে যেন সুবাস আসে। সেই সুবাসে মুসুর ডালে চিপে দু-থাল ভাত খেয়ে নেওয়া যায়। ছাগলগুলো যেন পোয়াতি হয়। খটাশে যেন ছাগলের বাচ্চা নিয়ে না পালায়। গরুর বাঁটে দুধ থাকে। রোজ সন্ধ্যায় শাঁখ বাজে। ভাত ভর্তি থাকে পেট। শেষ দুপুরে খানিক ঘুম আসে। তারপরের জিভ, দাঁত আর মূর্ধার উলু উলু রব। তারা তাঁকে জানায় এইসব। আমরা ভালো আছি। আমরা ভালো আছি। সুখে আছি বড়ো। তারা ভালো আছে। তারা শান্তিতে আছে। তাদের ঘুম হয়। তারা তাঁর মাটি শরীরে স্রোত বয়। চল্লিশ বছর হল ঘোড়ানিম গাছটার। গাছটার শিকড়ে জোয়ার লাগে। রসালো হয় গা। সুবিশাল বিছার আকার পায় পিঁপড়ার পাল। তৈরি করে সেতু। সেতু তৈরি হয়। সেতু দিয়ে বছর বয়ে চলে। বিশ। তিরিশ। পঁয়ত্রিশ।
“মেঘ ডাকছে গে, রাঙা ঠাকুরঝি ”। মাটিতে সবুজ জাজিম। রোদের শেষ জামগাছের মাথায়। উলটা দিক থেকে দিন আগাচ্ছে। দিন ঝুঁকছে সবুজে। কালো হয়ে আসে সবুজ। বাঁট ভারী এখন। চারপাশ থম। কাপড় তুলতে ছুটে। ছুটতে ছুটতে ডাকে ঠাকুরঝিকে। ফুটা হয়ে জল নামবে। রাঙা ঠাকুরঝি থমকে আছে। মেঘ বিদেশি ঠেকে তার । “ক’দিন হইল তোর আসা?”। দুই বছরের বিয়ে তার। “এখনও দিন কইস না ক্যান?”। নকশি কাঁথা তুলছে সে। হলুদ এক জগত। চারটা নীল কালো পাখি। লাল চোখ। সবুজ শাড়ি ধান কুটে। ঢেঁকি থেকে চাল ছিটকায়। সব গুটায়ে যায়। জলভাসি হওয়ার আগে। দিনের রাজত্ব এখন। জল অবিরল। কড়ি খেলবে সে। ঠাকুরঝিদের ডাকে। বড়, মেজো মাঝে। রাঙা শেষে। ছোটো, সেজো প্রথমে। তারা খেলছে। চুল মেলেছে সে। দিনরঙা চুলে জল। শুকাতে দেরি আছে। চারপাশ জুড়ে সোঁদা। কী আরাম এইখানে!
“এইহানে থাকব ক্যামনে?”। হাঁ হয়ে জিগাইছে সে তার সোয়ামীকে। “এইহানেই থাইকতে হবে”। চুপ করে শুনে নেয় সে। পুরো জায়গাটায় একটা মড়া গন্ধ লেগে থাকে। সারাদিন ধরে বাতাস বাস মারে। এইসব জায়গার কথা সে শুনেছে। শুনেছেই কেবল। দেখতে যে হবে জীবনে ভাবে নাই। জায়গাটারে জংলা বলা চলে না। জঙ্গল কইলেই ঠিকঠাক হয়। কিন্তু জংলা বলতে হবে। মানুষের কিছু কাজকাম ছিল এখানে। তাই জঙ্গল নয়। জংলা। অনেকগুলান গোর রয়েছে জায়গাটায়। অনেক কয়টা ইঁটের। আর বেশিরভাগ মাটি আর শুকায়ে আসা বাঁশ। এই জায়গাটাই ফাঁকা পাওয়া গেছে। ফাঁকা জায়গা পাওয়া বাপের ভাগ্যি এখন। শিয়ালকাঁটা আর লজ্জাবতী ছেয়ে আছে। হাঁটতে গেলে পা জড়িয়ে আসে। মাটি জুড়ে লতাদের দাপট। গায়ে গায়ে মাদারি গাছ। বাদে, একটু বাদে। বুনা টগর ডাক দেয় । ভোরবেলা উঠে সে শোনে। কবরগুলায় ফুল দিয়ে আসতে বলে কেউ। গাছগুলো সাদা চোখে তাকায়ে আছে। তাদের দিকে তাকায়ে থাকে তারা। বিশ ঘর লোক জুটে। প্রথম কোদাল চললো এই মাটিতে। গোর দেওয়া বাদে। কুড়াল চললো মাদারের গায়ে। ল্যাটল্যাটা মাদারের রক্ত ঝরে। রক্ত মেখে ফিরে ভাসুর একদিন। সে জল এগিয়ে দেয়। কাঁসার গেলাস। গেলাসের গায়ে রক্ত লাগে। মাদারের নয়। এই একটি কাঁসার গেলাসই রয়েছে। আগে ছিল আটটা। পাঁচটা ঠাকুরঝি ছিল। এখন এক। এইসব নিয়েই তার এখন। কবরগুলোয় গাঁইতি চালাতে ভয় আসে। একটু দোনোমোনা আসছে। সকলের মনে দোলাচল খানিক। শহরে গেল কেউ কেউ। ফিরে এল। কবরগুলো বেঁচে উঠছে। গাঁইতির শব্দে জীবন বয়। মাটির গাঁথনি বেশি সময় নেয় না। মাটির কাছে ফিরে যায় ইঁট। কিছু হাড়গোড় বেরিয়ে আসছে। সেগুলি আবার মাটিতে ফিরে যায়। গাছ, কাঁটা, কবর সব সরে যায়। এইসব গেলে বেরিয়ে আসে সে। মাটি। মাটি মানুষকে আশেপাশে দেখে। মাটির বীজের লোভ আসে। বীজ পায় মাটি। প্রত্যেক বর্ষায় ঘরে সাপ ঢোকে। সাপ মারে সে বাটাম দিয়ে। তেঁতুলবিছার কামড়ে মরে দু’মাসের ছেলে। ডালে ইঁদুর পরে। ইঁদুর সরায়ে ডাল খায় তারা। জল আসে। সব বীজ ধুয়ে যায়। শহরে কাজে যায়। বাড়িতে বাড়িতে বাসন ধোয়। আবার বীজ পোঁতে। আবার মাটি পায় বীজ। বীজের বীজ আসে। নিয়মিত বীজ মাটি পেলেই ঘুম আসে। নিয়মিত ঘুম। অনেকদিনের পরের ঘুম। ঘুমের ভিতর স্বপ্ন লকলকায়। নিজের বীজ ছড়িয়ে দেয় স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখে সে। স্বপ্ন দেখে তার ভাসুর। তার সোয়ামী। তার না হারানো ঠাকুরঝি। স্বপ্নে হারিয়ে যাওয়া তার ঠাকুরঝিরা। তারা সকলে স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন শেষে জন্মান তিনি। ঘোড়ানিম মাটি পায়। শিশু এক ঘোড়ানিম।
“দিনে ডাহে গে, রাঙা ঠাকুরঝি ”। মাটিতে সবুজ জাজিম। শেষ রোদ চালতাগাছের মাথায়। উলটা দিক থেকে মেঘ এগুচ্ছে। সবুজে ঝুঁকছে মেঘ । সবুজ কালো হয়ে আসে। চারপাশ থম। এখন বাঁট ভারী । কাপড় তুলতে যায়। ধীর পায়ে। যেতে যেতে ডাকে ঠাকুরঝিকে। জল নামবে ফুটা হয়ে । রাঙা ঠাকুরঝি থমকে আছে। দিন অচেনা ঠেকে । “ক’দিন হইল আসা?”। দশ বছরে হলো তাদের বাস। “এখনও দিন বলে ডাকিস ক্যান?”। সে নকশি কাঁথা তুলছে । নীল এক জগত। চারটা কালো হলুদ পাখি। চোখ লাল। লাল শাড়ি ধান বুনে। রুয়ে যায় ধান শিশু। একের পর এক। গুটায়ে যায় সব। জলে ভেজার আগেই। এখন মেঘের রাজত্ব । অবিরল জল । সে কড়ি খেলবে । ওদের ডাকে। ঠাকুরঝি আর বউমারা আসে। বড়, মেজো শেষে। রাঙা মাঝে। ছোটো প্রথমে। তারা খেলছে। সে চুল মেলেছে । মেঘরঙা চুলে সাদা ভাসে। চুলে জল। শুকাতে দেরি আছে। সোঁদা জুড়ে আছে চারপাশে। এইখানে কী আরাম!
ঘোড়ানিমের তলে বসা হয়েছে। গোল করে আছে তারা। গান আর নাচ শেষ হয়েছে খানিক আগে। ফুল ঝরছে ইষদ। বসন্তকাল। তারা ভালো আছে। মাটি তাদের। জলায় মাছ আছে। পরামর্শ চলে। তিনি পরামর্শ দেন। বিধান বার করেন। বিধান পেতে তাদের আর কোনো বাউন লাগে না। এই এলাকার বাষট্টিটা ক্ষেত। এদের ভালোমন্দ দেখতে হয় তাঁকে। ধানের শিশুগুলি বাতাসে চুল উড়ায়। নাচন দেখে তাঁর ভালো লাগে। এই দৃশ্য সেই শেষ দিন অবধি থাকবে। তাঁর মনে হয় এমন। দেখতে হয় তাঁকে আরো কিছু। জলার মাছ বর্ষায় ভোঁদড়ে সব না খায় যেন। যেন গাছে আসা আম পাকে। তার আগায় যেন পোকা না ধরে । বড় শখের গন্ধরাজ লেবুতে যেন সুবাস আসে। সেই সুবাসে মুসুর ডালে চিপে দু-থাল ভাত খেয়ে নেওয়া যায়। ছাগলগুলো যেন পোয়াতি হয়। শেয়ালে যেন না নিয়ে যায় ছাগলের বাচ্চাদের। গরুর বাঁটে দুধ থাকে। রোজ সন্ধ্যায় শাঁখ বাজে। ভাত ভর্তি থাকে পেট। শেষ দুপুরে খানিক ঘুম আসে। তারপরের জিভ, দাঁত আর মূর্ধার উলু উলু রব। তিনি শোনেন। বিড়বিড় করেন। আমরা ভালো আছি। আমরা ভালো আছি। সুখে আছি বড়ো। ভালো আছি। শান্তিতে আছি। ঘুমাই নিশ্চিন্তে। এবার ঘুমানো যায় নিশ্চিন্তে। ঘুম আসে। আমি সমাধিতে যাবো। ঘোড়ানিম তলে সমাধি থাকবে। জেনো সব দেখছি। রোদ-বৃষ্টিতে কষ্টও পাচ্ছি খানিক। ছাতা দিও। তারা কাঁদে। ঘোড়ানিম তলে মাটি গভীর হয়। ডেঁয়ো পিঁপড়ার সার ঘোড়ানিম জুড়ে বর্ষার রসদ খোঁজে। কোটর বানায়। বিয়াল্লিশ বছর হলো ঘোড়ানিম গাছটার। গাছটার শিকড়ে একটি মানুষের শরীর। রসালো হয় গা। সমাধি তৈরি হয়। লোকে আসে। বসে থাকে। চায় কিছু। আবীর দেয়। গোবর লেপে। সাঁঝে বাতি দেয়। আকন্দের গাছ লাগায়। রাতে শিয়াল আসে। আকন্দের নিচে দাঁড়ায়। সুবিশাল কালো হয়ে চলতে থাকে পিঁপড়ার পাল। তৈরি করে সেতু। সেতু তৈরি হয়। সেতু দিয়ে বছর বয়ে চলে। দশ। বিশ। তিরিশ। চল্লিশ। তারা চলে যায়। পঞ্চাশ। ষাট। তারা কোথায়? সত্তর। আশি। নব্বই। তিনি শুয়ে থাকেন ঘোড়ানিম তলে। বুড়া এক ঘোড়ানিম।
“তহন মন ছিল না ওটা ওয়াকফের জমি?”— “ তহন মনে ছিল না ওই জমির পর্চা দেওয়া যাবে না?”— “তহন মনে ছিল না আমরা ভাটিয়া, নদীর নিচায় থাহি, আমাদের সবকিছু নিচা?”— “তহন মনে ছিল না শালা ভঁইষগুলো জলকাদা মেখেও থেকে যাবে?”— “তহন মনে ছিল না এগুলা কাদা, জংলা, পাঁক সরায়ে ক্ষেতি করে নিবে?”—“তহন মনে ছিল না আমরা শালা চাঁড়াল?”— “তহন মনে ছিল না আমরা জোঁক?”— “তহন মনে ছিল না যারা কবরে ধান রুইয়া থাহে, তারা রক্তবীজ?”— “ তহন মনে ছিল না আমরা বাইরে থেকে আইছি?” “তহন মনে ছিল না যারা মুসলমানকেও ডরায় না, তারা দানো?” “তহন মুসলমান গ্রামে বাড়ির দখল নিতে পাঠাতো কেডা?” — সমস্ত প্রশ্ন শেষে আর কয়েকটা দিন হাতে নিয়ে একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন নিয়ে বাড়ি ফিরে তারা। সব শোনে সে। ঘোড়ানিমের তলে যায় । আবীর দেওয়া, গোবর লেপা গোরটার দিকে তাকায়। একখান আকন্দও গাছও পুঁতেছে সে। খটাশ আসে। দাঁড়ায়ে থাকে গাছের নিচে। মাথা নিচু করে বসে আছে সে। গোরটার কাছে। ভাবছে সে। এক মাঝবয়সী ঘোড়ানিমের তল। ভাবছে। একখান সমাধির কথা । বুড়া এক ঘোড়ানিমের তলে। সন্ধ্যা প্রদীপ দিতে হবে। ওঠে। তেলে ভিজাচ্ছে বাতি।
হ্যাঁ ঠাক’মা আমরা বলে ইন্ডিয়াতে থাকতে পাবো না আর? আমরা কি হিন্দু না?
চল্লিশ বছর ধইরে মুসলমানের গোরেরে পুষে পুষে হিন্দু বানায়েছি। তারপরেও?
কবরের ভিতর কে শুয়ে আছে ঠাক’মা?
অভিষেক ঝা
জন্ম ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে। জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার গঙ্গা দিয়ারা অঞ্চলে। কর্মস্থল কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ির তিস্তা অববাহিকায় অবস্থিত। বর্তমানে বসবাস করেন জলপাইগুড়ি শহরে। অভিষেক মূলত গদ্যকার। তার গদ্যের একমাত্র সংকলন “হোঃ” নিষাদ থেকে প্রকাশিত। গদ্য লেখার পাশাপাশি অনুবাদও করে থাকেন অভিষেক। অদ্বয় চৌধুরির সঙ্গে সম্পাদনা করেছেন ‘কাশঃ কাশ্মীরি পণ্ডিত ও কাশ্মীরি মুসলমানদের সাম্প্রতিকতম ছোটোগল্পের অনুসৃজন’ । অভিষেকের সম্পাদনায় অহমীয়া ও অহমীয়া দোয়ান থেকে অনূদিত ‘ত্রস্তের শিকড়বাকড়: নির্বাচিত মিঁঞা কবিতা’ এখন অবধি যেকোনো ভাষায় মিঞা কবিতার একমাত্র সংকলন।