লতা, লতা

।। অলোকপর্ণা ।।

“সাপ হোক বা লতা, সে দেখেছে একাধিকবার। চাইলে সে রুমকিকেও সেই সাপ দেখাতে পারে। ঘটনা হলো এমন যে, টুম্পা এবং রুমকিদের বাড়ির পিছন দিকের যে জঙ্গলে এখন ধুতরা, আকন্দ ফুটে আছে, সেখানে দুপুর তিনটে নাগাদ চোখ রাখলে একজন সাপুড়েকে মাঝে মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। নিজের ঘরের জানালা দিয়ে প্রায়সই টুম্পা সেই সাপুড়ের সাপ খেলা দেখে। চাইলে সে রুমকিকেও জ্যান্ত সাপ দেখাতে পারে।ছুটির দিন। দুপুরবেলা। সবুজ ধুতরা- আকন্দ বনের ভিতর।  জীবন্ত- ধকধকে- পিছল পিছল সাপ।”

লতা, লতা

পঞ্চাশ বছর বয়সে রুমকির বাবা বিছানায় পড়লেন। সেই প্রথম রুমকির সাপ দেখা। নেতানো ডাঁটার মতো বাবার দেহ তুলে ধরে রুমকি এটা ওটা করাতে গিয়ে একদিন ধামাচাপা সাপটাকে দেখে ফেলল। ফ্যাকাশে রক্তশূন্য। ইচ্ছে থাকলেও খোলস ত্যাগ করতে পারছে না এমন। ফোঁস করে ওঠা তো দূর অস্ত। অথচ ছোটোবেলায় ঘুমচোখে কতবার বাবাকে এই সাপ দিয়ে মাকে পেড়ে ফেলতে দেখেছে সে। কেউ বলে না দিলে বিশ্বাস হবে না যে,- এই সাপ সে-ই সাপ। অবশেষে একদিন স্কুল থেকে ফিরে, অনেক বছর আগে, অনেক অনেক বছর আগে, ঘরের দরজা ফাঁক করে রুমকি দেখেছিল খাটের চেয়ে কিছুটা উপরে মায়ের পাদুটো ঝুলে আছে। বেখাপ্পা জুতো পরে পরে সেই পায়ের গোড়ালিতে চিরপরিচিত কালো কালো কড়া। অযত্নে নখ বাড়তি। স্কুলব্যাগ খুলে রেখে রুমকি ড্রেসিং টেবিল থেকে নেল কাটার নিয়ে এসেছিল। যত্ন করে মায়ের ঝুলন্ত দুই পায়ের বাড়তি সমস্ত নখ সে কেটে ফেলেছিল যখন, তখন বাজে সবে সন্ধ্যে সাড়ে ছটা। পড়তে বসতে বলার মানুষটা ঝুলছিল, তাই ড্রেসিং টেবিল থেকে নেল পলিশও হাতে তুলে নিয়েছিল সে। মায়ের বাঁপায়ের আঙুলগুলো সেরে ডান পা শুরু করতে যাবে, এমন সময় জ্যেঠি রোজকার মতো দরজার পর্দা সরিয়ে মাকে টিভিতে ‘জন্মভূমি’ দেখতে যাওয়ার জন্য ডাকতে এলেন, আর বিছানার উপর সিলিং হতে ঝুলন্ত দেহ এবং নেল পলিশের শিশি হাতে বসে থাকা রুমকিকে দেখে তিনি আর্তনাদ করে উঠলেন। রুমকি আগে থেকেই আন্দাজ করছিল, তখন নিশ্চিত হলো যে, তার জীবনে বিপর্যয় কিছু একটা ঘটেছে বটে।

প্রতিরাতে বাবাই খেত, সক্কলে তাই জানতো, অথচ ঠাকুমা এর তিনদিন পর রুমকিকে বলেছিল, “খাইলি তর মায়েরে মুখপুড়ি!”

বাবা সবজি হলো যখন, রুমকির বয়স তখন উনিশ। বাড়িতে রোজগেরে বলতে জ্যেঠু আর ছোটোকাকু। বারো ক্লাস পাশ করার পর রুমকি তাই আর কলেজমুখো না হয়ে “এই-ই ভালো” বলে লেখাপড়া চুকিয়ে দিল। বাবা এভাবে সবজি না হয়ে গেলে হয়তো আরো বছর তিনেক নিজেকে পড়াশোনায় লেপ্টে রাখতে হত। সবকিছু ঘুচিয়ে সে বাবাকে নিয়ে পড়ল। “খেলা তো, খেলাচ্ছলে… কোনো ক্ষতি নেই”, বাবাকে পাশ ফিরিয়ে শুইয়ে বাবার পিঠের ঘায় পাউডার লাগায় সে। চান করিয়ে গা মুছিয়ে চুল আঁচড়ে দেয়। হাগায় ছোঁচায়। গরমকালে পিঠের ঘামাচি মারে, শীতকালে ফাটা পায়ে মলম মাখায়। নিজের আঙুলে নেল পলিশ লাগানো হয়ে গেলে বাবাকেও লাগিয়ে দেয়। এভাবে বাবার গা থেকে ধীরে ধীরে মানুষের গন্ধ টন্ধ উবে গিয়ে, এখন কেমন একটা বহুল ব্যবহৃত বাসন কোসনের বাস বেরনো শুরু হল। বড়লোকদের বাড়িতে পিয়ানো বাজে, কম  বড়লোকদের হারমোনিয়াম, ছোটোলোকদের সেসব কিছু না, বাজে খালি বাসনকোসন। থালা বাসনের মতো বাবা নিয়মিত ব্যবহৃত হতে থাকেন রুমকির দ্বারা। মাঝে মধ্যে নিজেকে পরীক্ষা করার জন্য সে অন্ধকারে বাবার গায়ে হাত বোলায়, কোনটা হাত, কোনটা পা, কোনটা হাঁটু, কোনটা বাঁ পায়ের তিন নম্বর আঙুল,- রুমকি চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারে। ক্লাস টেনে, কানাই দা ইতিহাসের আশি নম্বরের সাজেশন তৈরি করে দিয়ে বলেছিল “এমনভাবে আত্মস্থ করে নে যাতে চোখ বুজে এনসার করতে পারিস।” রুমকি এখন চোখ বুজে বাবাকে মুখস্থ বলতে পারে। বাবার হাত পা নাখ চোখ গাল কান সাপ হাঁটু আঙুল কপাল- সমস্ত। এতে কোনো নম্বর নেই যদিও। চোখ বুজে এটা ওটা ছুঁয়ে ছুঁয়ে নিজেই নিজেকে নম্বর দেয় রুমকি। পাশের বাড়ির টুম্পা আসে মাঝে মাঝে।

তখন নিজেকে সামলে নেয় সে। নাইটির উপর বুক ঢাকে গামছায়। টুম্পা গল্প করতে করতে কেমন নির্বিকার চোখে রুমকির বাবার দিকে চেয়ে থাকে। শেষে একদিন সে বলেই ফেলল, “তোর বাবা তোর মাকে ভীষণ মারতো, জানিস?”
রুমকি বলে, “জানি, মনে আছে আমার…”
“আমরা রাতেরবেলা খুব আওয়াজ পেতাম। তোর জ্যেঠুকে আমার মা বলেছিল, কেউ গা করেনি।”

রুমকির জ্যেঠুর সাম্প্রতিক মুখ মনে পড়ে। মাথার চুল মুছে গেছে, ধূর্ত চোখ, কেমন একটা দগদগে বেঁচে থাকা লোকটার। চুলের মতো অনেক কিছু মুছে যেতে যেতে তার পড়ে আছে সকাল সকাল নিচের কলতলায় সশব্দ চানটুকু। ওটুকু তার মনের জোর। তাই রুমকি নতুন করে আর রাগতে পারেনা।
“মা বলে, জীবন নষ্ট হচ্ছে তোর”, টুম্পার স্বরে আক্ষেপ ঝরে পড়ে।
“কই না তো!” অবিশ্বাসের সঙ্গে হেসে ওঠে রুমকি।

ওই হাসিতে টুম্পার জড়তা কেটে যায়। রুমকি ও রুমকির বাবার সামনে সে এরপর থেকে অনর্গল হয়ে ওঠে। বিভিন্ন অযৌন এবং যৌন আড্ডায় মাতে তারা। পাশে নিঃশব্দে নেতিয়ে পড়ে থাকেন রুমকির বাবা এবং তাঁর সাপ। একদিন কথায় কথায় জানা যায় টুম্পা জ্যান্ত সাপ দেখেছে, তখন সন্ধ্যে হয়ে গেছে বলে সাপ না বলে টুম্পা বলল ‘লতা’। সাপ হোক বা লতা, সে দেখেছে একাধিকবার। চাইলে সে রুমকিকেও সেই সাপ দেখাতে পারে। ঘটনা হলো এমন যে, টুম্পা এবং রুমকিদের বাড়ির পিছন দিকের যে জঙ্গলে এখন ধুতরা, আকন্দ ফুটে আছে, সেখানে দুপুর তিনটে নাগাদ চোখ রাখলে একজন সাপুড়েকে মাঝে মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। নিজের ঘরের জানালা দিয়ে প্রায়সই টুম্পা সেই সাপুড়ের সাপ খেলা দেখে। চাইলে সে রুমকিকেও জ্যান্ত সাপ দেখাতে পারে।ছুটির দিন। দুপুরবেলা। সবুজ ধুতরা- আকন্দ বনের ভিতর।  জীবন্ত- ধকধকে- পিছল পিছল সাপ। বাড়ি বসে এমন জ্যান্ত সাপ দেখতে পাওয়া যাবে ভেবে রুমকি উত্তেজিত হয়। বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে সে উত্তেজনায় ঘেমে ওঠে। সেই উত্তেজনা এমন মাথাচাড়া দেয় যে বাবার মুখচোরা সাপের চেহারা তার মনে পড়ে না। কল্পনার কালসাপ তার সামনে ঘনিয়ে ওঠে। খাঁড়া হয়। ফোঁস করে। এমনকি ছোবল পর্যন্ত মারে। গভীর রাতে খাটেতে রুমকি এপাশ ওপাশ করে। বাবার সাপটা তখন লুঙ্গির অন্ধকারে পড়ে পড়ে ঘুমোচ্ছিল। কাউকে এখন আর সে উত্যক্ত করে না, করতে চায় না। তার বৈরাগ্য এসেছে। একচক্ষু সাপ এখন মনের দুঃখে বনে। রুমকির মায়ের কথা মনে পড়ে তার। কিছু ঘনিয়ে উঠতে পারে না। হেরো সাপ। ভীরু সাপ। হেলে পড়ে থাকে হেলাফেলায়।

শনিবার দুপুরের আকাশ উদার। তার পেটের মধ্যে দিয়ে ভেসে যাচ্ছে অক্টোবরের মেঘ। টুম্পা ছাদে পিঠ পেতে শুয়ে আঙুল তুলে দেখাল, “দেখ দেখ, ওই মেঘটা কেমন পেনিসের মতো!” বলে সে হেসে কুটিপাটি।
কই! কই!- বরং উটের মতো দেখালো রুমকির চোখে।
টুম্পা বললো, “হাওয়া লেগে ভেঙে গেল,- তাই উটের মতো দেখাচ্ছে এখন, আগে সে ছিল তেমন তাগড়াই!”
“তোর সাপুড়ে আসবে কখন?”
“কী জানি!” বলে টুম্পা ছোটোকাকির রোদে শুকোতে দেওয়া একটা আমসি মুখে ভরে নেয়।
“যদি আজ না আসে?”
“আজ না এলে কাল”
“আর এলেই সাপখেলা?”
“এলেই সাপখেলা।“

শুকোতে দেওয়া আমসি ফাঁকা হয়ে এসেছে যখন প্রায়, তখন ধুতরা, আকন্দের বনে আন্দোলন দেখা দিল। রুমকি টুম্পাকে ঠেলা মেরে ডেকে তুলল। দুজনে পাশাপাশি ছাদের পাঁচিলের আড়াল থেকে দেখল সাপুড়ে বনে প্রবেশ করছেন।

গভীর রাতে খাটেতে রুমকি এপাশ ওপাশ করে। বাবার সাপটা তখন লুঙ্গির অন্ধকারে পড়ে পড়ে ঘুমোচ্ছিল। কাউকে এখন আর সে উত্যক্ত করে না, করতে চায় না। তার বৈরাগ্য এসেছে। একচক্ষু সাপ এখন মনের দুঃখে বনে। রুমকির মায়ের কথা মনে পড়ে তার। কিছু ঘনিয়ে উঠতে পারে না। হেরো সাপ। ভীরু সাপ। হেলে পড়ে থাকে হেলাফেলায়।”

উপর থেকে দেখে রুমকির মনে হলো, লোকটা অনেকদিন চান করেনি। মাথার চুলগুলো জট পাকিয়ে আছে কেমন। ছাদ থেকে এক বালতি জল ছুঁড়ে দেবে নাকি সাপুড়ের মাথায়? টুম্পা চুপ করে সব দেখছে। সাপুড়ে ধীরে ধীরে ধুতুরার বন সরাচ্ছেন, আকন্দের জঙ্গল ফাঁক করছেন। প্রবেশ করছেন আরও গভীরে। ওই সবুজে, সাপুড়ের থলের মধ্যে জ্যান্ত একটা সাপ কোথাও লুকিয়ে রাখা আছে! রুমকির বুক ধুকপুক করে। সে দেখে ছাদের পাঁচিলের আড়ালে লুকোনো টুম্পার চোখের পলক পড়ছে না আর।
“তোকে বশ করে ফেলল নাকি?”
“চুপ চুপ!” টুম্পা রুমকির মুখ দুহাতে চেপে ধরে।

সাপুড়ে ধীরে ধীরে টুম্পার ঘরের জানালার নিচে এসে দাঁড়িয়ে পড়লেন। ওখানে বনের গভীরতা কম। এই প্রথম সাপুড়ের সর্বাঙ্গ দেখতে পেল রুমকি। মানুষটার ঊর্ধাঙ্গে সাদা মলিন জামা। নিম্নাঙ্গে লাল রঙের মলিন ধুতি। কাঁধ থেকে ঝুলছে একটা মেটে থলি। তার মাথায় প্রকৃতই জট। দুটো পা খালি। পরিস্কার জমিতে এসে কাঁধ থেকে থলেটা মাটিতে নামিয়ে রাখলেন মলিন সাপুড়ে। টুম্পা নিঃশ্বাস চেপে বললো, “এইবার! এইবার!”

উপরের আবরণ মোচন করে সাপুড়ে তার সাপকে বাইরে নিয়ে এলেন। শনিবার দুপুরের সাপখেলা শুরু হলো ঢিমেতালে। সাপুড়ের অন্য কোনোদিকে মন নেই। ছাদের উপর থেকে গোপনে বিনামূল্যে সাপখেলা দেখতে লাগলো রুমকিরা। সাপুড়ে মাথায় হাত বুলিয়ে সাপকে ডেকে তুললেন। সাপ জেগে উঠে প্রথমেই সাপুড়েকে প্রণাম করলো। তারপর শুরু হল তাণ্ডব। ধুতুরার বনে, আকন্দের জঙ্গলে সাপুড়ের সাপ নেচে উঠল অপূর্ব ভঙ্গীমায়— তলপুষ্পপুট, ভ্রমর, ললাটতিলক, নিবেশ, ললিত ও অন্যান্য বিভিন্ন মুদ্রায় সাপ নেচে চলল অবিরত। কোথাও কোনো ক্লান্তি নেই। কোথাও নেই কোনো জড়তা। ছাদের উপর পাঁচিলের আড়ালে সেই নাচ দেখে অর্গল ভেঙে টুম্পা খামচে ধরল রুমকির কাঁধ। আর রুমকি বললো, “আমার মাথা ঘুরছে!”

ছাদের উপর দুদিকে দু পা ছড়িয়ে বসে আছে রুমকি আর টুম্পা। সাপুড়ে চলে গেছে একটু আগে। দুজনের চোখে ক্লান্তির ঘুম নেমে আসছে এখন। রুমকি ঘোরের মধ্যে থেকে বলে, “ব্যথা করছে কেমন,”
টুম্পা সাড়া দেয়, “ও একটু অমন হয়, ঠিক হয়ে যাবে খন।”

সন্ধ্যে করে ঘরে ফিরে এসে রুমকি দেখে বাবা কাত হয়ে পড়ে আছে। রুমকি তাকে ঠেলে সোজা করে বসাল। তারপর চামচে করে জলে ভেজা মুড়ি খাওয়াতে খাওয়াতে সাপুড়ের গল্প করল। নাচনের গল্প করল। বাসনের গন্ধে ভরে আছে বিছানা। সাপের হদিস মাত্র নেই কোথাও। রুমকির এখন কষ্ট হল বাবার সাপটার জন্য। নাচ না জানা সাপটা চিরশীতঘুমে শায়িত। সেই কবে, রুমকির ছোটবেলায় তার মা এই সাপের নাচন দেখেছিল। সহ্য করতে না পেরে মা গলায় দড়ি দিয়েছিল- এমনটাই বলে জ্যেঠি। জল খাইয়ে বাবাকে হিসি করাতে গিয়ে সে দেখে, বয়স্ক সাপ এখন চিরনিদ্রায় অবসরপ্রাপ্ত। সাপুড়ের সাপের পাশে তাকে সর্বহারার মতো লাগে। উদবাস্তু মনে হয়।

সাপের মাথায় হাত রেখে চোখ বুজে বিড়বিড় করে সাপুড়েকে স্মরণ করে প্রার্থনা করে রুমকি, বলে,

“তুমি আমারি মতন মরিও মরিও
শ্যাম কলঙ্কের হার গলেতে পরিও
তুমি পুড়িও তখন.. আমারি মতন
বুকে লইয়া দুখের চিতা।”

বাবা সারবে না সবাই জানে। তবু সাপটা সেরে গেলে বেশ হতো— সাপের মাথায় একেবারে সাপুড়ের মতো হাত বোলাতে বোলাতে রুমকি মনে মনে বলে।

অলঙ্করণ পৌলমী গুহ

অলোকপর্ণা

পশ্চিমবঙ্গের তরুণ গদ্যকার, কথাসাহিত্যিক। নিজেকে অক্ষরশ্রমিক বলে থাকেন। কোলকাতায় জন্ম। পেশাগত কারণে বসবাস ব্যাঙ্গালোরে। দশটা-আটটায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। প্রকাশিত বই- ‘ঝিঁঝিরা’ (২০১৫), ‘হাওয়াশহরের উপকথা’ (২০১৮), ‘দাস্তানগো’ (২০১৯) এবং ‘রণ বিশ্বাস কারো নাম নয়’ (২০১৯)।

Share