মেজো মোল্লানির মৃত্যু

ছোটগল্প

।। জেসমিন নাহার ।।

ঝিমা মারা যাওয়ার পরে মেজোদাদির কান্নাকে আমার অনর্থক মনে হয়েছিল। ঝিমা মারা যাবার প্রায় বিশ বছর পরে মেজোদাদির ক্যানসার ধরা পড়ে!

মেজো মোল্লানির মৃত্যু হলো। পাড়ার মেজোদাদি আজ মারা গেলেন।

ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন.

বিকাল চারটার দিকে তিনি মারা গেছেন। সকালের দিকে আমি মানুষটাকে বারান্দার একপাশে একা শুয়ে থাকতে দেখেছিলাম। বারান্দায় একটা হাত কপালের উপরে রেখে চিৎ হয়ে শোয়া ছিল। কিছু একটা প্রস্তুতি চলছিল বোধ হয়। আর আনমনে কী যেন ভাবছিলেন। জানি না। কিন্তু সেই ভাবনা নিয়ে আমি খানিক গবেষণা করছিলাম। কী হতে পারে? হয়তো তাঁর জীবনে ফেলে আসা দিনগুলোর কথা, কিম্বা আসন্ন মৃত্যুর চেহারা কেমন হতে পারে! তাই কি? হয়তো তার ছেলেমেয়ে, পুতাপুতনি কারো না কারো ছবি ছিল মৃত্যুর মুখের মতোই অতি নিকটের। অথচ খুবই অপরিচিত । অস্পষ্ট। আবছায়া।

সেই সময় তাঁর ছেলেমেয়ে, পুতাপুতনি সকলে বাইরের আম গাছের নিচে বসে হেসে হেসে গল্প করছিল।ওদের মা অসুস্থ। তাদের ছেলেমেয়েদের দাদি অসুস্থ। বারান্দায় চিৎ হয়ে কপালে হাত দিয়ে নিজের ভাগ্য কিম্বা আয়ু হিসাব করছে। হয়তো ভাগ্য নাই জেনে চুপ করে আছে। আয়ুর হদিস কেউ কোনদিনই জানে না। অথচ ওরা— তাঁরই রক্তের বিন্দু ওদের মধ্যেও আছে— কিনা আমতলায় বসে গল্প করছে! কী অশোভন আচরণ! মেজোদাদির সকল ছেলেমেয়ে অবুঝের মতো বসে দ্বীন-দুনিয়ার গল্প করে যাচ্ছিল।

অলঙ্করণ: বৈশালী

এই যে আমি ভালোমন্দ আকাশ-পাতাল এত ভাল বুঝলেও নিজেও কিন্তু অসুস্থ মেজোদাদির পাশে যাইনি। দূরে দাঁড়িয়ে আমার ছোটবেলায় দেখা যুবতী মেজোদাদিকে কল্পনায় একবার ভাবতে চেষ্টা করলাম। কল্পনায় আমি তাঁর ছেলেমেয়েগুলোকেও দেখছিলাম। ব্যাঙের পোনার মতো সারা গ্রামে তারা কিলবিল করছে। ওর মধ্যে আমিও প্রাণপণ সাঁতরাচ্ছি।

মেজোদাদি পাড়ায় ঝগড়াটে দাদি নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই দেখছি তিনি হাঁপানির রোগী। শরীর সবসময় কাঁপত। কথা বলার সময় বেশি কাঁপতেন। বাঁশঝাড়ের পাতার মতো, এই বুঝি ছিটকে পড়ছে। যখন রান্না করতো তখন বাটনা বাটার সময় হাত যত ঘুরতো মাথা নড়তো ঠিক ততোটাই।

মেজোদাদির পাঁচ ছেলেমেয়ে। বড় ছেলে এবং ছোট মেয়েকে মেজো দাদি বেশি ভালোবাসত। কিন্তু বড় মেয়ে আর নিজের শাশুড়ির সাথে সে কখনো ভাল আচরণ করত না। বড়ো মেয়ে তাসলিমা শ্বশুরবাড়ি থেকে তার বাড়ি আসলে তার নামে শত্রুতা করে বাজে কথা লাগাত ছোটমেয়ে হামিদা। মা মেয়ে মিলে বড় মেয়েকে অতিষ্ঠ করে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে তবে ক্ষান্ত হতো। তার তিন ছেলেমেয়েকেই আমি ছোটবেলা থেকে বিবাহিত দেখেছি। এবং আলাদা আলাদা দেখেছি। ছোট বেটার বউ শিলাকে মেজোদাদি মোটেও দেখতে পারতেন না। রাগ হলে হাতে ঝাঁটা বাড়ুন যাই থাকত তাই দিয়ে তার ছোট বেটার বউকে মারতে যেতেন।

মেজোদাদির শ্বাশুড়িকে আমরা ঝিমা বলতাম। আমি তাঁকে অনেক বৃদ্ধ অবস্থায় দেখেছি। সবসময় শুয়ে বসে থাকতন। কোমর ভাঙা ছিল, হাঁটতে পারতেন না। পাড়ার মধ্যে ভালো মানুষ হিশাবে তাঁর বেশ নাম-ডাক ছিল। কিন্তু এই নামকরা ভালো মানুষের সাথে মিল ছিল না তাঁর বেটার বউ আলেয়ার। আলেয়া মেজোদাদির নাম। নামটা বেশ সুন্দর!

মেজোদাদির সংসার মানে ছিলো মেজোদাদা, মেজোদাদির ছোটমেয়ে হামিদা, এবং মেজোদাদি। এই সংসারে তাঁরা সবাই ঝিমাকে মনে করতেন একটা উটকো ঝামেলা!

ঝিমা যখন মৃত্যুপথ যাত্রী কিন্তু তখন তিনি ছিলেন মেজোদাদির চরম শত্রু। রান্না করলে খাবার কম দিতেন, বেশি বেশি পায়খানা করবেন সেজন্য। গোশতো রান্না করলে গুনে মাত্র দু টুকরো দিতেন। পিঠা তৈরি করলে কখনো ঝিমা পর্যন্ত পৌঁছাত না। ঝিমা রান্নাঘর পানে তাকিয়ে থাকতেন যতক্ষণ পর্যন্ত মেজোদাদি রান্নাঘর থেকে বের না হয়। কিন্তু যখন বের হতেন তখন খালি হাতেই বের হতেন। মেজোদাদির খালি হাত দেখে ঝিমার মুখে নেমে আসতো দুঃখের ছায়া।

ঝিমা যদি কখনো বলতেন , “ও বউ, তা পিঠে আমারে দুডো খাতি দে”। তখন মেজো দাদি প্রচণ্ড ঝগড়া বাঁধিয়ে দিয়ে পালটা বলতেন, “পিঠে খাতি দোবো? এই মুড়ো বাড়ুনে গু তুলে তোর নালচ মুখি ঘষে দোবো”। ঝিমাও তখন দাঁতহীন মুখে তোতলায়ে তোতলায়ে কিছু কথা বলতেন। কিন্তু কথার চেয়ে ঝিমার চোখ থেকে পানি ঝরতো বেশি। এই সব ছবি দেখে আমি বড় হয়েছি।

মেজোদাদি শত অত্যাচার ছিল ঝিমার প্রতি, কিন্তু মেজোদাদা তা চোখ বুঝে না দেখার ভান করে থাকতেন। অন্ধের মতো জীবন যাপন করতেন মেজো মোল্লা। মনে হতো, যেন কোনো এক বিশেষ কারণে তিনি তাঁর স্ত্রীর কাছে ধরা খেয়ে বসে আছেন কী সেই কারন?

ঝিমা পড়ে থাকাকালীন সময়ে তাঁকে খেদমত করেছে পাড়ারই মানুষ। পাড়ার মানুষের আদর-যত্নে কয়েক বছর বেঁচে থেকে তিনি মারা গিয়েছিলেন। ঝিমা মারা যাওয়ার পরে মেজোদাদির কান্নাকে আমার অনর্থক মনে হয়েছিল। ঝিমা মারা যাবার প্রায় বিশ বছর পরে মেজোদাদির ক্যানসার ধরা পড়ে। মাঝের এই বিশ বছর দাদি সুখে শান্তিতে সংসার করে গিয়েছেন। ছোট মেয়ে হামিদার বিয়ে হয়ে যাবার পরে স্বামী-স্ত্রী দুজনে সুখে সংসার করেছেন।

কাজ চোর ছিলেন মেজোদাদি, কাজে ফাঁকি দিতেন। মেজো দাদির অধিকাংশ কাজ করে দিয়েছে মানুষে। দেখা যেত পাড়ার কোন ছোট মেয়ে তাঁর বাড়ির উপর দিয়ে যাচ্ছে, তাকে ডেকে বলতেন, ‘‘আমার সোনা ভালো, মধু ভালো, আমার উঠানটা একটু ঝাড় দিয়ে দে’’। আবার অন্য আরেকজন গেলে তাকে ডেকেও থালাবাসন পরিষ্কার করে নিতেন। যদি কখনো কেউ কাজ না করে চলে আসতো তাহলে বলতেন, “ওরে ও খানকির ঝিয়েরা, আমারও নুড়কুত ছিল”। কাজ করানোর জন্যেই বোধহয় তাঁরও মেয়ে হয়েছিলো। যাদের বিয়ে হয়ে যাবার পরে তিনি একা হয়ে গিয়েছেন।

মেজো দাদির বাড়িতে কোন আত্মীয় আসলে মেজোদাদা বাড়তি কোনো বাজার করতেন না। দোকান থেকে স্বামী-স্ত্রীর খাওয়ার মতো তেল কিনে আনতেন। বাড়িতে আত্মীয় স্বজন বলতে তাদের দুই মেয়ে, মেজোদাদির ছোটবোন, এবং মেজোদাদার দুই বোন আসতেন এই আত্মীয়গুলো আসলেই মেজো দাদির সাথে মেজো দাদার নীরব ঝগড়া লেগে যেত। মনে হতো, যেন মেজো দাদা কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে আড়াইশো তেল কিনে বাড়ি ফিরছেন। তেল দেখে মেজো দাদি তার দু’মেয়ের সাথে আলাপ করে বাজার থেকে পুনরায় তেল কিনে আনতেন। যখন অনেক ব্যঞ্জন একসাথে রান্না করা দেখতেন, খাবার সময়, তখন মেজোদাদির মুখ থাকতো গোমড়া আর মেজোদাদার মুখে ফুটে উঠতো মিটমিটিয়ে হাসি। আত্মীয়-স্বজন চলে গেলে মেজোদাদি শুরু করতেন ঝগড়া! কিন্তু সেই ঝগড়ায় প্রতিপক্ষ হিশাবে মেজোদাদা মোটেও দাঁড়াতে পারতেন না। মাঝে-মাঝে মেজোদাদির হাঁপানি রোগ বেশি হতো। তখন বাজারের ওবায়দুরের দোকান থেকে ঔষধ কিনে আনা হতো। জ্ঞান হবার পর থেকে মেজোদাদিকে ওবায়দুরের দোকানের ওই এক শিশি ঔষধ খেতে দেখেছি। তাঁকে বড়ো কোন ডাক্তারের কাছে কখনো যেতে দেখিনি।

ঝগড়া আর খাওয়ার মাঝে মেজোদাদির জীবন আটকে ছিল। দুই মেয়ের বাড়ি ব্যতীত কখনো অন্য কোন আত্মীয়ের বাড়ি তাঁকে যেতে দেখিনি। একদিন ছোটমেয়ের বাড়ি থেকে ফিরে তিনি আর তাঁর ছোটমেয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে পাড়া মাথায় করেছিল। পাড়ার সকলে তাঁদের কান্না শুনে তাঁদের বাড়িতে হাজির। মেজোদাদির শরীর চুলকাতো। তাই তাঁকে তার ছোটমেয়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। ডাক্তার তাঁকে পরীক্ষা করে বলেছিল, জন্ডিস এবং পাকস্থলীতে পাথর হয়েছে। মেজোদাদাও বাজার থেকে বাড়ি ফিরে এই খবর শুনেছিলো। মেজোদাদা তাঁর স্ত্রীর অসুখের কথা শুনে নিজ উদ্যোগে যশোরের ভালো ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেন। কিন্তু ডাক্তার জানালেন, মেজোদাদি বাঁচবে না। অপারেশন করলেও বাঁচবে না। তবুও বাঁচানোর আশা নিয়ে মেজোদাদিকে অপারেশন করা হয়েছিলো। অপারেশন করার পরে মেজোদাদির অবস্থা আরও করুণ হয়ে গিয়েছিল। উঠে দাঁড়ানোর শক্তি ছিলো না মোটেও। রাতদিন শুয়ে থাকতেন বারান্দায়। তাঁর তিন বেটার বউয়ের মধ্যে বেশি সেবা করতো তাঁর মেজো বেটার বউ খোদেজা। অন্য দুই বউ তিনবেলা শাশুড়িকে দেখতে আসতো। এসে সেবা যত্নও করতো কিন্তু তা মেজোদাদির মনের মতো হতো না। মেজোবেটার বউয়ের সেবাও তাঁর ভালো লাগতো না। কিন্তু মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলতেন না। শুয়ে শুয়ে হয়তো নিজের শাশুড়ির কথা ভাবতেন। হয়তো ভাবতেন তার বেটার বউদের নিকট থেকে পাওয়া সেবা তাঁর শাশুড়ির তুলনায় স্বর্গের সুখের মতো। তাঁর শাশুড়িকে তো তিনি ভাতে মেরেছেন, মেরেছেন কথাতেও। কিন্তু তার বেটার বউয়েরা তাঁর মুখের কাছে খাবার তুলে ধরে, রাত-দিন সাধে খাবার জন্য। কিন্তু তাঁর মুখের রুচি হারিয়ে গিয়েছে। আর কিছুই খেতে পারেন না। ক্রমে ক্রমে জানা গেল মেজোদাদির ক্যানসার হয়েছে!

মেজোদাদি তাঁর শাশুড়িকে সবসময় গালি দিতেন। কিন্তু তাঁর তিন বেটারবউ তাঁকে ভক্তি ভরে ‘মা’ ডাকে। তিনি তাঁর শাশুড়ির মুখে পায়খানা তুলে দিতে চাইতেন। কিন্তু তাঁর ছোটবেটার বউ শিলা তার গালের শ্লেষ্মা নিজহাতে সাফ করেছে। পাড়ার সকলে জানত মেজো মোল্লানির জীবনে খারাপ কিছু আছে। কিন্তু সব ভুল প্রমাণিত হয়েছিল। ঝিমাকে যেভাবে পাড়ার মানুষ সাহায্য সেবা করেছিলো মেজোদাদিকেও পাড়ার মানুষ সেভাবে পাল্লা দিয়ে তার বেটার বউদের সাথে সাথে সেবাযত্ন করেছিল।

কিন্তু তিনমাসের মাথায় মেজোদাদি আজ মারা গেলেন। তিনি মারা যাওয়ার পরপরই তাঁর পরিবারে ফুটে উঠেছে এক নতুন চিত্র। মা বারান্দায় মৃত লাশ হয়ে পড়ে আছে। অন্যদিকে তার পাঁচ ছেলেমেয়ে মায়ের বড়োঘর আর রান্নাঘরের জিনিস ভাগাভাগি নিয়ে বাঁধিয়েছে গোলযোগ! বেশি আওয়াজ তুলেছে বড়ো ছেলে আজিজুল আর ছোটমেয়ে হামিদা! আজিজুল তার মায়ের রান্নাঘরের সমস্ত জিনিস দাবি করছে আর হামিদা বলছে মায়ের ধান সিদ্ধ করার হাঁড়িটা নেবে! হাঁস-মুরগিগুলো নাকি তার পাওনা। মেজোদাদি সুস্থ থাকলে এই দুই ছেলেমেয়ে যা চাইতো হয়তো তা দিতেন। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ে থেকে বুঝেছেন তাঁর কোনো ছেলেমেয়ে তাঁকে ভালোবাসে না। আজিজুল এবং হামিদা মুহূর্তের জন্যও অসুস্থ মায়ের পাশে বসেনি। বসে কয়েকটা গল্প পর্যন্ত করেনি, সেবা তো পরের বিষয়। মেজোদাদি তাঁর ছোটমেয়ের দুই মেয়েকে কাছে টেনে আদর করতে চাইতন। কিন্তু হামিদার বরের বারণ ছিল তাঁর শাশুড়ির কাছে যেন তার দুই মেয়েকে বসানো না হয়। হামিদার বর লোকলজ্জার ভয়ে কয়েকবার দেখতে এসেছে কিন্তু দূরে দাঁড়িয়ে দেখে চলে গিয়েছে। দুই মেয়ের একজনও তাদের মাকে ভালোবাসেনি। তাই সেবা-যত্নের ধারও ধারেনি। তারা ভালোবেসে ছিল তুচ্ছ হাঁড়ি কড়াই আর হাঁস মুরগি। সেই সব পেয়েই খুশি ছিল। কারো জীবন থেকে কিছু খসে পড়ল কিনা তার হিসাবনিকাশের সময় নাই কারো। কী চলে গেলো কার জীবন থেকে কে জানে? ছেলেরাও ঠুনকো কিছু জিনিস পেয়ে খুশি হয়ে মায়ের গোসল করানো শেষ হলে খাটিয়াটা দক্ষিণ মাঠে বহন করে নিয়ে চলে গেল। বারান্দায় হঠাৎএকটা শত শূন্যতা তৈরি হলো। আগামীকাল ভোরে তার কোন চিহ্নই থাকবে না।

আজ পাড়ার ঝগড়াটে মেজো মোল্লানীর মৃত্যু হলো। নিশ্চয়ই আমরা সকলেই প্রত্যাবর্তন করব। কিন্তু গল্পটি কিভাবে লিখব আমি শুধু সেটাই ভাবছি!

অলঙ্করণ: বৈশালী

জেসমিন নাহার

তরুণ গল্পকার। উপন্যাস লিখনেও হাত দিয়েছেন। প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় ‘প্রতিপক্ষ’ পত্রিকাতেই। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের যশোহর জেলার শার্শা উপজেলায় বাড়ি। গোরপাড়া সর্দারবাড়ির মেয়ে। বাবা নুরুল ইসলাম (রহঃ) চিশতিয়া তরিকার ফকির ছিলেন। সেই কারণে ফকিরি ধারার সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে। মা রওশানারা বেগমের সঙ্গে বাস করেন জেসমিন। আধুনিকতার মধ্যে নামসাকিন হারিয়ে বিমূর্ত হতে চান না। প্রকৃতির মাঝে যাপিত জীবনকে মূর্তভাবে পরখ করতে চান। গদ্যেও জীবনের মূর্তভাবকে প্রকাশ করার ইচ্ছায় লেখালেখি করেন।

Share